০৯ মে, ২০২৩
ছবি: আলফে ছানির অনুভূতি গ্রামের মাটিও মানুষের জন্য হৃদয় পুড়ে
জন্ম গ্রামের অজপাড়ায়, শৈশবের কিছুটা কেটেছে গ্রামেই। ৯ বছর বয়সে বাবা মারা যান। আমি মোজাদ্দেদে আলফে ছানি তবে বাড়ির সবাই নাসির বলেই ডাকে। পড়া লিখার সুবাদে বাড়ির বাহিরেই শৈশব কেটেছে, যৌবনে পা রাখা সেটাও বাহিরে। কিছুদিন বাড়িতে থাকলেও, এখন পেটের দায়ে থাকতে হয় বাহিরে। গ্রামের মাটিও মানুষের জন্য হৃদয় পুড়ে।
সবসময় গ্রামে থাকতে মন চায়। শহরের মানুষ গুলো কেন যেন অচেনা, সবাই সবসময় নিজের প্রয়োজন নিয়ে কথা বলে, প্রয়োজন ছাড়া কাহারো কোন সময় নেই। আর গ্রামের মানুষ গুলো কত মমতাময়, কারো বিপদে সার্থ ছাড়া সাহায্য করতে সবাই ঝাপিয়ে পড়ে একসাথে। আমার চাকরি ভালো লাগেনা, কৃষক হতে মন চায়। কিন্তু কৃষক হবো কিভাবে? কৃষক হতে তো জমি জমা লাগে। আমাদের সকল জমি যমুনা নদীর গর্ভে, বাড়ির ভিটা সেটাও।
অনেক আগে থেকে নানা বাড়িতে থাকি, সেখানে কিছু জমি রেখেছি। এবার ভুট্টা চাষ করেছি, আলহামদুলিল্লাহ ভালো ফলন হয়েছে। ভুট্টা তুলতে আমার মা সহ সবাই এসেছে, বড় মামা, মামি, মামাতো ভাই পাঁচ জন, মামাতো বোন, আরো অনেকে। আমার নানা এসেছেন শখ করে, কাজের ফাঁকে ক্ষেতে বসে গাইলেন গান, হয়তো অতীত মনে পরেছে। আমার নানার বয়স ৯০ পার হবে, যৌবন কালে গান করতেন, এখন ওসব করে না। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন। আমার শশুর বাড়ি নিজ গ্রামে হওয়ায়, আমার শশুর ও শ্যলক ও এসেছে কাজে সাহায্য করতে। দুইটা দিন জমিতে কাজ করলাম, ( এর আগেও অনেক করেছি )নিজে কে কৃষক ভাবলাম, সাথে এটাও অনুভব করলাম যে,
এক জন কৃষকের ঘাম কতটা দামি।