১১ ডিসেম্বর, ২০২৩
ছবি: বাহুবলে দৈনিক কালবেলার প্রতিনিধি এসএম টিপু সুলতানকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা
জাতীয় দৈনিক কালবেলা পত্রিকার বাহুবল প্রতিনিধি এসএম টিপু সুলতানকে গুলি করে হত্যা চেষ্টা চালিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ৯ ডিসেম্বর দুপুর ১টারদিকে বাহুবল উপজেলা পরিষদের গেইটের কাছে।
এ হত্যা চেষ্টার ঘটনায় টিপু সুলতান বাদী হয়ে দুলালকে আসামী করে বাহুবল মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। জানা যায়, গত ১৭ সেপ্টেম্বর বাহুবল উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক বিতর্কিত সভাপতি দুলালের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধকর্মের সচিত্র ভিডিও ভয়েস প্রতিবেদন দৈনিক কালবেলা অনলাইন ভার্সনে পত্রিকা কর্তৃপক্ষের তত্বাবধানে প্রকাশিত হয়। দুলাল মিয়া ওরফে রানা মালদার সন্দেহ প্রবণ হয়ে ওই নিউজের দায়ে সাংবাদিক এস এম টিপু সুলতানকে দায়ী করে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে বেড়ায় যা মানুষের মুখে মুখে রটে।
গতকাল দুপুর ১টারদিকে সাংবাদিক এস এম টিপু সুলতান ও দৈনিক মানবকণ্ঠের বাহুবল প্রতিনিধি নাজমুল ইসলাম হৃদয় পেশাগত দায়িত্বের অংশ হিসেবে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ খলিলুর রহমানের সাথে সাক্ষাৎ শেষে উপজেলা গেইটের সামনে আসা মাত্রই বিপরীত দিক থেকে সাদা রঙের একটি প্রাইভেট কারের লকিং গ্লাস দিয়ে ধাক্কা দিয়ে গাড়ি থামিয়ে নেমেই টিপু সুলতানকে কালবেলা পত্রিকায় আমার বিরুদ্ধে লিখলে কেন তোকে এখন গুলি করে হত্যা করব বলে হুমকি দেয় দুলাল ওরফে রানা।
এসময় উপস্থিত সাংবাদিক নাজমুল ইসলাম প্রতিবাদ করলে তার হাতের মোবাইল সেট কেড়ে নেয়ার চেষ্টা চালায়। তাৎক্ষণিক পথচারী লোকজন আসতে দেখে দুলাল কার নিয়ে উপজেলা পরিষদ চক্কর দিয়ে চলে যায় এবং পরে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়। এ ঘটনায় সাংবাদিক টিপু ও নাজমুল নিরাপত্তাহীনতায়বোধ করছেন।
উল্লেখ্য, বাহুবল উপজেলার পশ্চিম জয়পুর গ্রামের খুর্শেদ আলীর পুত্র দুলাল। মোঃ দুলাল মিয়া নামে জাতীয় পরিচয়পত্র থাকলেও তার রয়েছে রানা মালদার নামে পাসপোর্ট এবং সে ইতালী প্রবাসী। তার বিরুদ্ধে আদালতে রয়েছে সন্ত্রাস, মারামরি, চাঁদাবাজির একাধিক মামলা। তার অত্যাচারে তার নিজ গ্রামের মানুষও অতিষ্ট হয়ে উঠেছেন। ছাত্রলীগ থেকেও তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
এব্যাপারে বাহুবল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃ মশিউর রহমান জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা তদন্ত পূর্বক ব্যবস্হতা গ্রহন করব।