০২ Jun, ২০২৩
মো: শামীমুল হক খান, 
ছবি: এশিয়ান টাইগার মশার প্রজনন ক্ষেত্র বৃদ্ধি পাচ্ছে জার্মানিতে
বৈশ্বিক উষ্ণায়ন এবং জার্মানির তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে দেশটিতে হিট স্ট্রোক, ভেক্টর-জনিত অসুস্থতা এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য ঝুঁকির সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। জার্মানির রোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা সম্প্রতি এক জার্নালে সতর্কতামূলক এই গবেষনা অভিমত প্রকাশ করেছে।
রবার্ট কোচ ইনস্টিটিউট বলেছে যে, দাবানল এবং কৃষি ধূলিকণা থেকে ফুসফুসের রোগ একটি ক্রমবর্ধমান সমস্যা হয়ে উঠতে পারে। আবার সূর্যের অতিবেগুনী বিকিরণের কারণে ত্বকের ক্যান্সার হতে পারে, কারণ জার্মানিতে দীর্ঘ সময়কাল মেঘমুক্ত আবহাওয়া বিদ্যমান থাকে।
জার্নাল অফ হেলথ মনিটরিং, জার্মানিতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের উপর ইনস্টিটিউটের তিনটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। যার প্রথমেই গবেষকগন সাম্প্রতিক দেশে ‘হায়ালোমা টিক্স’ এর প্রাদুর্ভাবের বিষয়ে উল্লেখ করেছেন, এটা টাইফাসের জন্য দায়ী ব্যাকটেরিয়া বহন করতে সক্ষম, যার ফলে নতুন রোগের হুমকি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ঠান্ডার কারনে এতোদিন মশকের প্রজনন বাধাগ্রস্থ হতো। অথচ তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারনে বর্তমানে টিক্স এবং এশিয়ান টাইগার প্রজাতির মশার প্রজনন ক্ষেত্র বৃদ্ধি পাচ্ছে, ফলে ডেঙ্গু, হলুদ জ্বর, জিকা ভাইরাস ছড়ানোর আশংকাও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
উষ্ণায়নের ভয়াবহ প্রভাব পড়েছে সাগরপৃষ্ঠে। সাগরের তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে আরেকটি ভয়ংকর ঝুঁকির মুখোমুখি হতে যাচ্ছ জার্মানবাসি। যার নাম ‘ভিব্রিও ব্যাকটেরিয়া’। এটা প্রায় 20 ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার উপরে নোনা জলে বৃদ্ধি পায়, যা ত্বক ভেদ করে শরীরে অভ্যন্তরে প্রবেশ করে এবং দ্রুত অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে চিকিৎসা না করা হলে দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের মধ্যে গুরুতর অসুস্থতার কারণ হতে পারে।
সাম্প্রতিক বছরগুলিতে জার্মানির বাল্টিক সাগর উপকূলে বেশ কয়েকজন সাঁতারু ভিব্রিও ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন।
তবে সবচেয়ে বড় হুমকি আসে দীর্ঘায়িত তাপপ্রবাহ থেকে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তন এবং বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথে এটি প্রতিনিয়ত চরমসীমায় উঠে যাচ্ছে। রবার্ট কোচ ইনস্টিটিউট জানিয়েছে, গত বছর জার্মানিতে তাপপ্রবাহে প্রায় ৪,৫০০ জন মারা গেছে।
