১৫ Jun ২০২৫
হোম স্বাস্থ্য সারাদেশ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি ও বাণিজ্য খেলাধুলা বিনোদন আন্তর্জাতিক ধর্ম ও জীবন লাইফ স্টাইল শিক্ষা প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান পরিবেশ চাকরি বা ক্যারিয়ার মতামত আইন-আদালত কৃষি ও প্রযুক্তি বিশেষ সংবাদ অপরাধ সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিশ্বকাপ ফুটবল
সারাদেশ / আইন-আদালত / অপরাধ

চন্দনাইশে পিতা খুন, ছেলে জেল হাজতে

০১ অগাস্ট, ২০২৩

মোঃ আয়ুব মিয়া,
চন্দনাইশ উপজেলা ( চট্টগ্রাম ) প্রতিনিধি

ছবি: সংগৃহীত

চন্দনাইশ দোহাজারী পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড দিয়াকুল এলাকায় জায়গা জমির ভাগ-বাটোয়ারার বিরোধের জের ধরে উভয় পক্ষের সংর্ঘষে পিতা নিহত ছেলে আহত অবস্থায় জেল হাজতে। 
 

স্থানীয় ভাবে জানা যায় গত ২৮ জুলাই সকালে ছালেহ আহমদের বর্গা চাষি বিরোধীয় জমিতে বীজতলা তৈরি করার সময় ছালেহ আহমদের অপর দুই ভাই মনির আহমদ ও বশির আহমেদের সাথে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে সংর্ঘষে লিপ্ত হয়। 

এ সময় মৃত মুন্সি মিয়ার ছেলে ছালেহ আহমদ (৫৫), মনির আহমদ (৪৫), বশির আহমদ (৪১), ছালেহ আহমদের ছেলে মো. ইব্রাহিম প্রকাশ বাবু (১৮) আহত হয়। আহতদেরকে মুমূর্ষু অবস্থায় দোহাজারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেন। 

সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২৯ জুলাই সকালে ছালেহ আহমদ চমেক হাসপাতালে মারা যায়। মনির আহমদ বর্তমানে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

 মো. ইব্রাহিমকে গত ৩০ জুলাই হাসপাতাল থেকে ছাড় দেয়ার পর পুলিশ বশির আহমেদের দায়ের করা মামলায় আটক দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করেন বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস.আই হাসান ।

 তিনি বলেন, ছালেহ আহমদেরা ৪ ভাইয়ের নামে ২০১১ সালে দিয়াকুল এলাকায় জমি ক্রয় করে। সে জমির ভাগ-বাটোয়ারার বিরোধের জের ধরে মারামারির ঘটনায় ছালেহ আহমদের ১০ বছর সাজা হয়। সাজাপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে ছালেহ আহমদ আটক হওয়ার পর ভাইদের মধ্যে আপোষ মিমাংসা করে ছালেহ আহমদ মুক্তি পায়। সেই থেকে ছালেহ আহমদ স্বপরিবারে পার্শবর্তী সাতকানিয়া উপজেলার নলুয়া মরফলা এলাকায় শশুর বাড়ীতে বসবাস করে আসছিলেন। 

তার ভাগের অংশ বন্ধক দেয়া জমি কৃষককে গত ২৮ জুলাই বুঝিয়ে দিতে গিয়ে মারামারিতে নিজে নিহত হয়। এ ব্যাপারে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেছেন, মারামারির ঘটনায় ছালেহ আহমদ চিকিৎসারধীন অবস্থায়  চমেক হাসপাতালে মারা যায়। 

বশির আহমেদের দায়ের করা মামলায় তার ছেলে মো. ইব্রাহিমকে চিকিৎসা শেষে গত ৩০ জুলাই আটক করে আদালতে প্রেরণ করা হয়। বশির আহমেদর দায়ের করা মামলায় ইব্রাহিমের আঘাতে তার পিতা ছালেহ আহমদ আহত হয় মর্মে উল্লেখ রয়েছে বলে ওসি জানান। 

এ মামলায় ৩০২ ধারা সংযুক্ত করার জন্য আবেদন দেয়া হয় বলে জানিয়েছেন তিনি। ছালেহ আহমদের সুরুতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে লাশ মর্গে প্রেরণ করা হয়। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ছালেহ আহমদের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কোন অভিযোগ দেয়া হয়নি বলে তিনি জানান।

 ঘটনার পর থেকে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। অপরদিকে ছালেহ আহমদের পরিবারের পক্ষ থেকে থানা কর্তৃপক্ষ কোন রকম হত্যা মামলা না নিয়ে ছালেহ আহমদের ছেলে মো. ইব্রাহিমকে আটক করেছে। 

Related Article