১২ ডিসেম্বর, ২০২২
জুয়েল রানা, 
ছবি: তাসকিন আহমেদ
তাসকিন আহমেদ ইনজুরি থেকে ফিরেছেন খুব বেশিদিন হয়নি। চট্টগ্রামের ভারতের বিপক্ষে শেষ ওয়ানডে খেললেও ছিলেন না ছন্দে। ছিল না তার আপন ছন্দ। ছিল না বোলিং ধার। তাতে ভুগেছে বাংলাদেশ। হাসি ফোটেনি তাসকিনের মুখেও। বোঝাই যাচ্ছিল ম্যাচ ফিটনেস পুরোপুরি পাননি ডানহাতি পেসার। এজন্য চট্টগ্রাম টেস্টে তাকে পাওয়া নিয়েও শঙ্কা তৈরি হয়েছে। ম্যাচ শুরুর ৪৮ ঘণ্টা আগে তাসকিনের মুখে আশার কথা শোনা গেল না। বরং ঢাকায় দ্বিতীয় টেস্টকে লক্ষ্য বানিয়ে এগোচ্ছেন বলে মনে হলো।
সোমবার অনুশীলনের আগে তাসকিন এসেছিলেন সংবাদ সম্মেলনে। চট্টগ্রাম টেস্ট খেলার জন্য শারীরিক ও মানসিকভাবে কতটা প্রস্তুত এমন প্রশ্নের উত্তরে তাসকিন বলেছেন,‘এটা (টেস্ট ম্যাচের ওয়ার্কলোড) নিয়ে এর মধ্যে টিম ম্যানেজম্যান্টের সঙ্গে কথা হয়েছে। যেহেতু মাত্রই চোট থেকে ফিরেছি, তাঁরা আমার বিল্ড আপ নিয়ে দুশ্চিন্তা করছে। ওয়ার্কলোড বিল্ড আপ, ফিটনেস, বোলিং লোড – সব কিছু বাড়ানো নিয়ে কাজ করছি। যদি এই ম্যাচের আগে লোড পুরোপুরি হয়, যদি টিম ম্যানেজম্যান্ট মনে করে আমি খেলব, তাহলে খেলব। যদি না হয়ে থাকে, তাহলে হয়তো এই টেস্টটা ম্যানেজম্যান্ট নাও খেলাতে পারে। সেক্ষেত্রে দ্বিতীয় টেস্টটা লক্ষ্য করতে হবে। এটা নিয়ে ম্যানেজম্যান্ট দুশ্চিন্তা করছে। আমার সঙ্গে কথাও বলেছে। আমাকে ওয়ার্কলোড পরিকল্পনা দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী কাজ করছি।’
পুরোনো পিঠের চোটে তাসকিনকে ঢাকায় দুই ওয়ানডেতে পাওয়া যায়নি। চট্টগ্রামে দলের সঙ্গে যোগ দিয়ে একদিনের অনুশীলনে মাঠে নেমে যান এ পেসার। সেদিন তাকে লাল ও সাদা বলে বোলিং করতে দেখা যায়। রাইজিংবিডির সঙ্গে কথোপকথনে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু জানিয়েছিলেন, তাসকিনকে নিয়ে শেষ ওয়ানডেতে ঝুঁকি নেওয়া হবে না। কারণ সামনে দুইটি টেস্ট আছে। কিন্তু টিম ম্যানেজমেন্ট তাকে ঠিকই চট্টগ্রামে মাঠে নামায়।
তাসকিনের বর্তমান বোলিং আক্রমণের প্রধান অস্ত্র গতি। কিন্তু সেদিন রান ফোয়ারার উইকেটে তাসকিন ১৩০-১৩৫ গতির আশেপাশে বোলিং করেছেন। কখনো তার গড়পড়তা ১২০ কি.মি গতিতে বোলিং করেছেন। দেখে মনেই হয়েছিল ম্যাচ খেলার জন্য প্রয়োজনীয় ফিটনেস পাননি এ পেসার। তবুও তাকে খেলানোয় অবাক হয়েছিলেন অনেকেই। চট্টগ্রামের অনুশীলনের ২২ গজে আজ বোলিং করেছেন। শুরুতে অল্প রান আপে বোলিং করলেও ধীরে ধীরে গতি বাড়িয়েছেন। এরপর পূর্ণ ছন্দ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে, ১৫ সেশন খেলার জন্য প্রস্তুত কি তাসকিন? ধোঁয়াশায় তাসকিন। ধোঁয়াশায় টিম ম্যানেজমেন্টও।
