২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
হোম স্বাস্থ্য সারাদেশ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি ও বাণিজ্য খেলাধুলা বিনোদন আন্তর্জাতিক ধর্ম ও জীবন লাইফ স্টাইল শিক্ষা প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান পরিবেশ চাকরি বা ক্যারিয়ার মতামত আইন-আদালত কৃষি ও প্রযুক্তি বিশেষ সংবাদ অপরাধ সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিশ্বকাপ ফুটবল
সারাদেশ / লাইফ স্টাইল / সাহিত্য ও সংস্কৃতি

ড. জাহিদ আহমেদ চৌধুরী বিপুল ও তার মাদকবিরোধী আন্দোলন

২৭ অগাস্ট, ২০২৫

ছবি: মাদকবিরোধী সংগঠন 'ঝলক ফাউন্ডেশনের" চেয়ারম্যান এবং  দূর্নীতি বিরোধী ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এর সদস্য ড. জাহিদ আহমেদ চৌধুরীর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি।

মাদক এক সর্বনাশা নেশা। এই নেশা থেকে উত্তরণের উপায় খোঁজে যখন পরিবারের কেউ একজন নেশাগ্রস্ত হয় । ড. জাহিদ আহমেদ চৌধুরী এই কাজটি করছেন যা সবার জন্য অনুকরণীয় ও অনুসরণীয় । ড. জাহিদ শৈশবকাল থেকে সংগঠন প্রিয়। তার মাদকবিরোধী সংগঠন ঝলক ফাউন্ডেশন সমাজে সচেতনতা এনেছে । তিনি মাদকবিরোধী আন্দোলন চালাচ্ছেন সুদীর্ঘ ৩০ বছর ধরে ।

সর্বনাশা নেশার চোরাবালিতে তলিয়ে যেতে বসেছে আমাদের যুবসমাজ, নেশার আগ্রসন ঠেকানোর জন্য চাই সম্মিলিত উদ্যোগ, এই উদ্যোগ নেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি । মাদকের বিরূপ প্রভাব সম্পর্কে তিনি সবার মধ্যে সচেতনতা তৈরি করার জন্য মাদকবিরোধী আন্দোলন গড়ে তুলতে চাচ্ছেন।

তিনি মাদকবিরোধী আন্দোলন বছরজুড়ে বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকেন । অনুষ্ঠানের মধ্যে প্রতিমাসে মাদক পরামর্শ সহায়তা গোলটেবিল শোভাযাত্রা মানব বন্ধন আলোচনা ও সামাজিক অনুষ্ঠান । তার সবচেয়ে বড় কাজ হল মাদকবিরোধী সংগঠন ঝলক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা । তিনি এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি। মাদকমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে  তিনি বেশ কিছু সেমিনার করেছেন দেশে ও বিদেশে, পেয়েছেন অসংখ্য পুরস্কার। 

ড. জাহিদ আহমেদ চৌধুরী মাদকবিরোধী সংগঠন 'ঝলক ফাউন্ডেশনের" চেয়ারম্যান এবং  দূর্নীতি বিরোধী ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এর সদস্য।

মাদকের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে মাদক মুক্ত বাংলাদেশ চাই, নেশা সর্বনাশা, সর্বনাশা নেশা,  ড্রাগ ফ্রী বাংলাদেশ নামে  এই চারটি গ্রন্থ তিনি রচনা করেছেন ।

এছাড়াও ড. জাহিদ আহমেদ চৌধুরী  কয়েকটি সংগঠনের সাথে যুক্ত আছেন। এবং একাধারে একজন মানবাধিকার কর্মী ও বরেণ্য মিডিয়া ব্যক্তিত্ব।   নিরাপদ সড়ক নিয়ে কর্মরত সংগঠন সেবক এর উপদেষ্টা,  সামাজিক সংগঠন শুদ্ধচিত্ত বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন এর উপদেষ্টা, সম্পাদক মাদক প্রতিরোধ নিউজ, নির্বাহী সদস্য বাংলাদেশ  ক্রাইম  রিপোর্টার্স  সোসাইটি, চেয়ারম্যান অবাক বাংলাদেশ {প্রতিবন্ধীদের উন্নয়নে কর্মরত}, ভাইস চেয়ারম্যান জাতীয় মানবাধিকার সোসাইটি বাংলাদেশ , উপদেষ্টা  মানবাধিকার খবর, আজীবন সদস্য ও সহসভাপতি  জালালাবাদ সম্মাননা যুব অর্গানাইজেশন বাংলাদেশ। 

উপদেষ্টা ডন গ্রামার স্কুল, উপদেষ্টা ও পৃষ্ঠপোষক স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থা, সদস্য সিলেট স্টেশন ক্লাব লিমিটেড, আজীবন সদস্য বনানী সোসাইটি, আজীবন সদস্য জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন ঢাকা বাংলাদেশ, উপদেষ্টা টেলিভিশন রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ, উপদেষ্টা বাংলাদেশ উইমেন  ফ্যাশন ডিজাইনারস সোসাইটি , সাংস্কৃতিক সম্পাদক  সিলেট রত্ন ফাউন্ডেশন, কাউন্সিলার ইয়ুথ কাউন্সিল অব বাংলাদেশ, কর্মসংস্থান সম্পাদক সিলেট বিভাগ যোগাযোগ ও উন্নয়ন পরিষদ, নির্বাহী সম্পাদক অর্থধারা,  সহসভাপতি  জাতীয় সাংবাদিক পরিষদ,  উপদেষ্টা সম্পাদক  দৈনিক জনতার কথা,  সম্পাদক বিপ্লবী বার্তা, উপদেষ্টা সম্পাদক  সাপ্তাহিক অপরাধচিহ্ন, বাল্কান বাংলাদেশ ক্যাটালিস্ট অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির  সহসভাপতি {বাংলাদেশ চেপ্টার}, অনারারী ট্রেইড ও ইনভেস্টমেন্ট কাউন্সিলর অফ কনসুলেট অফ দ্যা রিপাবলিক অফ সাউথ সুদান, অনলাইন  জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ এর উপদেষ্টা, আজীবন সদস্য কেন্দ্রীয়  মুসলিম সাহিত্য সংসদ, উপদেষ্টা   গ্লোবাল কনজুমার এন্ড হিউম্যান  রাইটস ফোরাম,  উপদেষ্টা জেসিআই ঢাকা স্পার্কস, তিনি এরকম অনেক সংগঠনের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত ।

ড. জাহিদ আহমেদ চৌধুরী আন্তর্জাতিক সংগঠক হিসেবে জাতিসংঘের সেমিনারে যুক্তরাস্ট্র,  যুক্তরাজ্য, সুইজারল্যান্ড, জার্মানি, নরওয়ে, ফ্রান্স,  সংযুক্ত আরব আমিরাত, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, সাউথ আফ্রিকা,কুয়েত, মিয়ানমার, সাউথ কোরিয়া, ভারত ও নেপাল ভ্রমণের সুযোগ পেয়েছেন ।

ব্যক্তিগত জীবনে তিনি অমায়িক ভদ্র পরোপকারী এবং দানশীল একজন স্বনামধন্য সমাজসেবক, যিনি দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে মাদকবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত। মাদকের ভয়াবহতা থেকে সমাজ ও যুবসমাজকে রক্ষা করতে তিনি একনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি বিশ্বাস করেন, মাদকের বিরুদ্ধে লড়াই কোনো ব্যক্তিগত বিষয় নয়, এটি একটি সম্মিলিত সামাজিক দায়িত্ব।

শৈশব থেকেই সংগঠনের প্রতি তার আগ্রহ ছিল। এই আগ্রহ থেকেই তিনি প্রতিষ্ঠা করেন “ঝলক ফাউন্ডেশন” – একটি মাদকবিরোধী সংগঠন, যার মাধ্যমে সমাজে ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টি করা সম্ভব হয়েছে। তিনি প্রতিমাসে গোলটেবিল বৈঠক, শোভাযাত্রা, মানববন্ধন, আলোচনা সভা ও বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান আয়োজন করেন। বিশেষ করে ২৬ জুন, ‘বিশ্ব মাদকবিরোধী দিবস’ উপলক্ষে সারাদেশে বড় আকারে কর্মসূচি পালন করার আগ্রহ তার বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

তিনি বহু সংগঠনের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত। এর মধ্যে রয়েছে সেবক, শুদ্ধচিত্ত বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন, জালালাবাদ সম্মাননা যুব অর্গানাইজেশন, সিলেট রত্ন ফাউন্ডেশন, গ্লোবাল কনজুমার এন্ড হিউম্যান রাইটস ফোরামসহ আরও অনেক সংগঠন। বিভিন্ন সামাজিক, মানবাধিকার, সাংবাদিকতা ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের উপদেষ্টা, সম্পাদক ও সদস্য হিসেবে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। এছাড়া তিনি দক্ষিণ সুদানের অনারারী ট্রেইড ও ইনভেস্টমেন্ট কাউন্সিলর হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।

আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও তার সক্রিয় অংশগ্রহণ রয়েছে। জাতিসংঘের সেমিনারে অংশ নিতে তিনি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করেছেন। ব্যক্তিগত জীবনে ড. জাহিদ অত্যন্ত ভদ্র, অমায়িক ও মানবসেবায় আগ্রহী। তার দানশীলতা ও পরোপকারী মনোভাব সমাজে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। তার অবিরাম প্রচেষ্টা ও নিষ্ঠা আমাদের মাদকমুক্ত একটি সমাজ গঠনের পথে অনুপ্রেরণা যোগায়।

Related Article