১৫ Jun ২০২৫
হোম স্বাস্থ্য সারাদেশ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি ও বাণিজ্য খেলাধুলা বিনোদন আন্তর্জাতিক ধর্ম ও জীবন লাইফ স্টাইল শিক্ষা প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান পরিবেশ চাকরি বা ক্যারিয়ার মতামত আইন-আদালত কৃষি ও প্রযুক্তি বিশেষ সংবাদ অপরাধ সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিশ্বকাপ ফুটবল
অপরাধ

ধুনটে বিয়াইয়ের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ

০৩ অগাস্ট, ২০২৩

মুঞ্জরুল হক,
ধুনট উপজেলা (বগুড়া) প্রতিনিধি

ছবি: ধুনটে বিয়াইয়ের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ

কর্জের টাকা ফেরত দিতে তালবাহানা করায় বিয়াইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করছে এনামুল হক নামের এক ব্যাক্তি। এনামুল হক ধুনট উপজেলার কালেরপাড়া ইউনিয়নের হেউটনগর গ্রামের মৃত মহির উদ্দিনের ছেলে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ধুনট থানায় এ অভিযোগ দায়ের করে।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, এনামুল হকের ছেলে খোকন মিয়া গাবতলী উপজেলার বালিয়াদিঘী ইউনিয়নের তল্লাতল্লা গ্রামের শাহজাহান আলীর মেয়ে সুবর্ণা আক্তার কে বিবাহ করে। বিবাহের সময় ১,৯০,০০০/- (এক লক্ষ নব্বই হাজার) টাকা দেন মোহর ধরা হয়। বিবাহের আসরেই নগদ ৪০,০০০/- (চল্লিশ হাজার) টাকা পরিশোধ করে। 

পরবর্তিতে কণের বাবা শাহজাহান আলী বেয়াই এনামুল হকের বাড়িতে আসে। তখন এনামুল হক ১ ভরি ওজনের সোনার মালা বেয়াইয়ের হাতে তুলে দেয়। যাহার মূল্য ৯০,০০০/-(নব্বই হাজার) টাকা। পরে বেয়াই শাহজাহান আলী বিদেশে যাওয়ার কথা বলে এনামুল হকের নিকট থেকে ২,০০,০০/- (দুই লক্ষ) টাকা কর্জ নেয়ার প্রস্তাব করে। 

বেয়াইয়ের কথায় রাজি হয়ে সরল বিশ্বাসে কর্জ সংক্রান্ত টাকা প্রদান করেন এনামুল হক। টাকা কর্জ দেওয়ার পর থেকে ২ বেয়াইয়ের মাঝে সম্পর্কের অবনতি ঘটতে থাকে। এরূপচলাকালে বেয়াই শাহজাহান আলীর কাছ থেকে কর্জের টাকা ফেরত চায় এনামুল হক। 

কিন্তু বেয়াই শাহজাহান আলী কর্জের টাকা পরিশোধ করতে নানা ভাবে তালবাহানা করে। এমতাবস্থায় মোট টাকার মধ্যে ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা দিবে বলে এনামুল হককে জানায়। পরে এনামুল হক তার প্রতিবেশী ভাই ইসমাইল হোসেন কে সাথে নিয়ে গত ১ আগষ্ট  মঙ্গলবার বিকেলে টাকা আনতে বেয়াই শাহজাহান আলীর বাড়ীতে যায়। সেখানে টাকা না দেয়ার অজুহাতে এনামুল হককে নানা ভাবে ভয়ভীতি দেখায়।

এনামুল হক জানান, টাকা আনতে গেলে সন্ধ্যা অনুমান সাড়ে ৭টার দিকে আমার সঙ্গে যাওয়া ভাই ইসমাইলকে বাহিরে ডেকে নিয়ে যায়। বেয়াই শাহজাহান আলীসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৫/৬ জন দেশীয়  অস্ত্রে সজ্জিত হইয়া ঘরের ভিতরে পবেশ করে এবং আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি সহ হত্যার ভয়ভীতি ও মারধর করে। 

তারা একপর্যায়ে অস্ত্রের মুখে আমাকে জিম্মি করে কাজীর নিকট থাকা ভলিয়ম বইয়ের পাতায় সহ তিনশত টাকা মূল্য মানের ননজুডিসিয়াল ষ্ট্যাম্পে জোরপূর্বক সাক্ষর করে নেয় এবং আমার নিকট থাকা একটি বাটন ফোন ছিনিয়ে নেয়। পরে আমার ডাক চিৎকারে গ্রামের লোকজন ঘটনাস্থলে এগিয়ে আসলে বিবাদীগণ আমাকে ছেড়ে দেয়। তখন কৌশলে আমার সঙ্গে থাকা ইসমাইল হোসেনকে নিয়ে দ্রুত ওই বাড়ীতে চলে আসি। বিষয়টি গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে কথা বলে বৃহস্পতিবার দুপুরে ধুনট থানায় অভিযোগ দায়ের করি।

ধুনট থানার এসআই শহিদুল ইসলাম জানান, এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Related Article