২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২
ছবি: ছবিঃ সংগৃহিত।
ফেনী জেলা শিক্ষক সমিতির
সভাপতি গঠনতন্ত্র না মেনে সভার আহবান
°সাধারণ বেসরকারি শিক্ষক- কর্মচারীদের ভোগান্তি
° সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে বিরাজমান দ্বন্দ্বের ফলে সমিতির নিয়মিত
কার্যক্রম স্থগিত
ফেনী জেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি ফকির আহাম্মদ ফয়েজ সমিতির গঠনতন্ত্রের ১৮.৪ ধারা মোতাবেক এক রিকুইজিশন সভার আহবান করেছেন। উক্ত সভাটি আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর শহরের বাঁশপাড়াস্হ শিক্ষক ভবনে হওয়ার কথা রয়েছে। সমিতির এক-পঞ্চমাংশ সদস্যদের স্বাক্ষরের পরিপ্রেক্ষিতে রিকুইজিশন সভার আহবান করেছেন জেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি।
জেলা শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোসাদ্দেক আলীর বিরুদ্ধে সভাপতির আনিত অভিযোগসমূহ নিম্নরূপঃ
সমিতির দোকান ঘর জামানত বাবদ পাঁচ লাখ টাকা সমিতির হিসাবে জমা না করে সাধারণ সম্পাদক নিজের হিসাবে জমা করেছেন এবং সাধারণ সম্পাদক কে অর্থ আত্মসাৎকারী
বলেছেন। শিক্ষক সমিতির শিক্ষক ও কর্মচারীদের প্রায় এিশ লাখ টাকা সমিতির সাধারণ সম্পাদক সহযোগিতা না করার কারণে শিক্ষক ও কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের টাকা বন্টন করতে পারছেন না। সাধারণ সম্পাদক জেলার দাগনভূঞা ব্যতীত বাদবাকি ৫ টি উপজেলায় শিক্ষক সমিতির কমিটির অনুমোদন দিয়েছেন।
গঠনতন্ত্রের ১৮.৪ ধারা মোতাবেক সভাপতির আহবানকৃত রিকুইজিশন সভাটি বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির গঠনতন্ত্র পরিপন্থী তাই উক্ত সভায় উপস্থিত না থাকার জন্য সাধারণ সম্পাদক মোসাদ্দেক আলীর আহবান।
সভাপতির আনিত অভিযোগের বিপক্ষে সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্য নিম্নরুপঃ
সাধারণ সম্পাদক মোসাদ্দেক আলী বলেন,তিনি সহ জেলা শিক্ষক সমিতির অর্থ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম মজুমদারের নামে যৌথ হিসাব ফেনী সাউথ ইষ্ট ব্যাংকে যাহার হিসাব নং ০০২৬১৩১০০০০০৫৬৯। জেলা শিক্ষক সমিতির দোকান ঘরের জামানত বাবদ গত ২০ সেপ্টেম্বর পাঁচ লাখ টাকা গ্রহণ করি এবং সাথে সাথে তথা ২০ সেপ্টেম্বর পাঁচ লাখ টাকা উক্ত যৌথ হিসাবে জমা করি। তাহার বিরুদ্ধে সভাপতির আনিত অভিযোগ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বানোয়াট বলে আখ্যায়িত করেন।
সমিতির সাধারণ সম্পাদক শিক্ষক ও কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের টাকা বন্টন প্রসঙ্গে বলেন, শিক্ষক ও কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের টাকা ফেনী জনতা ব্যাংকের করপোরেট শাখায় ৪টি হিসাবের মাধ্যমে জমা ও বন্টন করা হতো; কিন্তু বর্তমান সাধারণ সম্পাদক দায়িত্বভার গ্রহণের মাথায় সাবেক সদর উপজেলার সভাপতি ডি এম একরামুল হক ও সাধারণ সম্পাদক আলী হায়দার মিথ্যা-বানোয়াট যুক্তি দেখিয়ে ব্যাংকে আবেদন করেন তার ফলে উক্ত হিসাব সমূহ বন্ধ করে দেয়; যা অদ্যাবধি ও বন্ধ। শিক্ষক সমিতির বাদবাকি আরে ৪টি দোকান জামানত বাবদ সংগৃহীত অর্থ দিয়ে শিক্ষক ও কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের টাকা বন্টন করা হবে। সমিতির গঠনতন্ত্র মোতাবেক জেলার ৫টি উপজেলায় কমিটি গঠন করা হয়েছে। উক্ত কমিটি সমূহের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকদের নাম সম্বলিত চিঠি সমূহের অনুলিপি যথারীতি সভাপতির কাছে প্রেরণ করা হয়েছে।