০৭ নভেম্বর, ২০২২
জোবায়ের আহমেদ, 
ছবি: ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় নদী পার হচ্ছে লোকজন ও যানবাহন
বগুড়া শেরপুর উপজেলার ভিতর দিয়ে বেশ কয়েকটি নদী বয়ে গেছে। এর ভিতরে সবচেয়ে বড় নদী হলো বাঙালী নদী। এই নদীতে বেশ কয়েকটি ঘাট রয়েছে যা নিয়ে মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। যার একটি হলো ঝাজর-বীলনোথার ঘাট।
ঘাটটি উপজেলার খামারকান্দী ইউনিয়নের পূর্ব সিমান্তে অবস্থিত। এই এলাকায় নদীটি শেরপুর ও ধুনট থানাকে পৃথক করে দিয়েছে। নদীর দুই পাড়ের মানুষেরই ভোগান্তি পোহাতে হয়। যেমন, পশ্চিম পার্শ্বে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যে কারণে শিক্ষার্থীরা থাকেন কষ্টে আর পূর্ব পার্শ্বে শহর কাছে হওয়ায় সাধারণ মানুষ সহ সবাই কষ্টে পরেন।
ব্রিজ হলে যেখানে ১ থেকে ২ মিনিটেই নদী পার হওয়া যেতো সেখানে সময় লাগে নুন্যতম ২০ থেকে ৩০ মিনিট। আর ছোটখাটো দুর্ঘটনা তো লেগেই থাকে। বিশেষ করে যখন বৃষ্টি হয় তখন নদীর খাড়া ঢাল বেয়ে উপরে উঠতে প্রায়ই যানবাহন সহ মানুষজন পা পিছলে নদীতে পড়ে যায়।
কেউ যদি নৌকায় ব্যতীত অন্য কোন মাধ্যম ব্যবহার করতে চায় তাহলে তাকে অন্তত ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার ঘুরে আসতে হবে যা সম্ভব না। রোগী ও তাদের পরিবারের জন্য এটা খুবই কষ্টের।
স্বাধীনতার ৫০ বছরে এ পর্যন্ত প্রত্যেক জনপ্রতিনিধি এখানে একটি ব্রিজ করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কিন্তু বাস্তবায়ন করেননি কেউ। এলাকাবাসী বলেন, "সবাই শুধু আশ্বাস দেয়। ভোটে বিজয়ী হওয়ার পর আর তাদের খুজে পাওয়া যায় না, এমনকি একবার দেখতেও আসে না।"
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে বিষয়টি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তারা বলেন, "এই ঝাঁজর-বিলনোথার ঘাটে তাদের একটি ব্রিজ তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে।"
তবে এটা নিয়ে কাজ শুরু হবে কবে নাগাদ এবিষয়ে কিছু বলেননি তারা।
