২৫ মে, ২০২৩
ছবি: অপহরণকারী
ঝিনাইদহের হরিনাকুণ্ডু'র পাখিমারা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ২জন ছাত্রী অপহরন খবর পাওয়া গেছে। উপজেলার ১ নং ভায়না ইউনিয়নের পাখিমার গ্রামের শহিদুল ইসলামের মেয়ে আরজিনা খাতুন (১২) এবং বাপ্পী রহমানের মেয়ে বেবী খাতুন (১১) পাখিমারা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে (২২ মে সোমবার) সকালে নিখোঁজ হয়। অনেক খোজাখুজির পর নিরুপায় হয়ে পরিবারের সম্মতিক্রমে মেয়ের অভিভাবকেরা হরিণাকুন্ডু থানায় দুইটি হারানো জিডি করেন যাহার নং ১৩৮,১২৯। পরবর্তীতে অপহরনের মামলা করা হবে বলে জানাগেছে। সাংবাদিকদের সাথে আলাপচারিতায় ঘটনার লোমহর্ষক বিবরণ তুলে ধরেন পাখিমার গ্রামের শহিদুল ইসলাম,গতো ২২ মে তাহার মেয়ে প্রতিদিনের ন্যায় পাখিমারা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের যায় কিন্তু সোমবার স্কুল শেষ হয়ে গেলেও তাহাদের কোন খোঁজ খবর না পেয়ে ,বাধ্য হয়ে র্যাব ক্যাম্প ও থানায় হাজির হয়ে একটি জিডি করি। তিনি আরো জানায় জাকির এবং ইমন নামে আমাদের পাখিমারা গ্রামের লাল্টুর বাড়িতে এই দুইজন বাইরের ব্যক্তি কাজ করতো। বিভিন্ন সময়ে তাদের মেয়েদের নানা রকমের কুপ্রস্তাব সহ উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বলতো লোকমুখে শুনার পর একটু শাসন করতে গেলে লাল্টু তাহার উপরে ক্ষিপ্ত হয়, এবং বলে এর জ্বালা একসময় বুঝতে পারবে। এদিকে জাকির এবং ইমন নামের ঐ ব্যক্তি তাদের মেয়েকে উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে বিভিন্ন মোবাইল নম্বার দিয়ে ৪ লক্ষাধিক টাকার মুক্তিপন দাবি করেছেন বলে সাংবাদিকদের জানান আরজিনা খাতুনের পিতা শহিদুল ইসলাম।
বিল্ডিং নির্মানের ঠিকাদার আরিফ এর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান আরজিনা এবং জাকির রংপুর বিজ্ঞ আদালত থেকে কোর্ট মেরেজের মাধ্যমে বিবাহ করছে পারলে খোঁজ নাও এবং মেয়েকে উদ্ধার করেন। এমন ঘটনায় এলাকায় একটি চাঞ্চাল্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। পাখিমারা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী সাংবাদিকদের জানান,ওরা দুইজন বেবী এবং আর্জিনাকে গোপনে ডাকছিলো, তাদের কাছে গেলেই তারা আমার বান্ধীকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে চলে যায়।
ভায়না ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল ইসলাম তুষার জানান, ঘটনাটি শুনার পর খুব খারাপ লাগছিলো। স্কুলগামী ছাত্র;ছাত্রীদের সাথে এমন ঘটনা অত্যান্ত দুঃখজনক। এ ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তি দাবী করেছেন তিনি।
হরিণাকুণ্ডু থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবু আজিফ বলেন, তাদের মধ্যে এফেয়ার্স থাকতে পারে বলে ধারণা করছি। তবে থানায় একটি অভিযোগ এসেছে। অপরাধীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।