১৫ Jun ২০২৫
হোম স্বাস্থ্য সারাদেশ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি ও বাণিজ্য খেলাধুলা বিনোদন আন্তর্জাতিক ধর্ম ও জীবন লাইফ স্টাইল শিক্ষা প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান পরিবেশ চাকরি বা ক্যারিয়ার মতামত আইন-আদালত কৃষি ও প্রযুক্তি বিশেষ সংবাদ অপরাধ সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিশ্বকাপ ফুটবল
প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান

হ্যাকার কাকে বলে? হ্যাকিং প্রতিরোধের উপায় কি

০৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

মোঃ আল মামুন,
বিশেষ প্রতিনিধি (আইসিটি)

ছবি: হ্যাকারের ভিন্নতা

হ্যাকার কাকে বলে ? (What is hacker)
হ্যাকার হলো সে ব্যক্তি যিনি কম্পিউটার, প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ, নেটওয়ার্কিং স্কিল ইত্যাদি বিষয়ে গভীর পারদর্শী এবং যিনি কম্পিউটার সিস্টেমকে পুরোপুরি হ্যাক করে সমস্ত ডেটা হাতিয়ে নেয়। এবং হ্যাকাররা পরবর্তীকালে কম্পিউটার এর মালিক কে ব্ল্যাকমেইল করে টাকা হাতিয়ে নেয়। তারা বলে টাকা দিলে আমি ডেটা গুলো ফেরত দিবো এইভাবে মূলত ব্ল্যাকমেল করে।  
অর্থাৎ হ্যাকার বলতে এককথায় বোঝায় যে কম্পিউটার হ্যাক করে তাকে হ্যাকার বলে। তবে সব হ্যাকারই খারাপ নয় ভালো হ্যাকার ও আছে ও খারাপ হ্যাকার ও আছে। 
যেসব হ্যাকার মূলত মানুষদেরকে ক্ষতি করার চেষ্টা করে টাকা পয়সা বিভিন্ন ধরনের তথ্য হাতিয়ে নেয় তারা হচ্ছে খারাপ হ্যাকার। 
এছাড়া অনেক ভালো হ্যাকার নিরাপত্তার স্বার্থে, ভালো কাজের জন্য হ্যাক করে থাকে। কোন হ্যাকার যদি বিনা অনুমতিতে কোন কিছু হ্যাক করে বা কম্পিউটার সিস্টেমের ডাটা চুরি করে তাহলে কিন্তু সেটা বেয়াইনী বলে গণ্য হবে। এমনকি তাদের আইনত শাস্তি হতে পারে । আশাকরি হ্যাকার কি বা হ্যাকার কে এ বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।

হ্যাকার কত প্রকার ও কি কি ?
সাধারণত হ্যাকার তিন প্রকারের হয়।

১. ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকার (Black hat hacker)
ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকাররা আপনার পারমিশন ছাড়া নিজের স্বার্থ লাভের জন্য বিভিন্ন রকমের অবৈধ (illegal activities) কাজ করে থাকে যেমন কম্পিউটার সিস্টেম হাক করা, পাসওয়ার্ড হ্যাক করা, ব্যাংকের সার্ভার হ্যাক করা, ডেবিট কার্ড ও ক্রেডিট কার্ডের তথ্য চুরি করা, ব্যাংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়া ইত্যাদি। 
এই হ্যাকাররা আপনার সিস্টেম হ্যাক করে আপনার ডেটা নষ্ট বা ধ্বংস করে দিতে পারে। ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকার কি আশা করি এই বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।


২. হোয়াইট হ্যাট হ্যাকার (White hat hacker) এই ধরনের হ্যাকাররা কোন অবৈধ (illegal) কাজ করে না। আপনার পারমিশন নিয়ে বৈধভাবে হক করে থাকে আপনার সিকিউরিটি কে আরো মজবুত করার জন্য।  
বড় বড় IT কোম্পানিতে High security প্রদান করে হোয়াইট হ্যাট হ্যাকাররা। আশাকরি হোয়াইট হ্যাট হ্যাকার কি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।


৩. গ্রে হ্যাট হ্যাকার (Grey hat hacker)
এধরনের হ্যাকাররা বৈধ (legal) ও অবৈধ (illegal) দুই ধরনের কাজ করতে পারে। আপনার সিস্টেমকে হাক করে ডাটা চুরি বা ধ্বংস করতে পারে , চাইলে এই ধরনের হ্যাকাররা হাই সিকিউরিটি Provide  করতে পারে । 
এরা মূলত অনুমতি না নিয়ে সিস্টেমের নিরাপত্তা রক্ষার জন্য হ্যাক করে থাকে কিন্তু এরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে  কোনরকম ক্ষতি করে না বা ডেটা চুরি করে না । এরা অবৈধ কারণ পারমিশন না নিয়েই এ গুলো করে । আশা  করি গ্রে হ্যাট হ্যাকার কি বিষয়টা বুঝতে পেরেছেন।

হ্যাকিং প্রতিরোধের উপায় : 
আপনার ডিভাইস, আপনার সিস্টেমকে হ্যাকিং থেকে বাঁচার জন্য আরো সিকিওর করে তুলতে হবে। কোন কোন উপায়ে আপনার ডিভাইস সিস্টেম কে হ্যাকিং থেকে বাঁচার জন্য আরো বেশি secure করে তুলবেন সেগুলো নিচে আলোচনা করবো। 


১. অপরিচিত ই-মেইল বা মেসেজের লিংকে ক্লিক করবেন না :
অনেক সময় হ্যাকাররা বিভিন্ন রকম প্রলোভন দেখিয়ে ই-মইল বা মেসেজের মাধ্যমে লিংক শেয়ার করে অনেকেই সেই প্রলোভনে পা দিয়েছে লিংকে ক্লিক করে দেয় এবং সে সঙ্গে সঙ্গে কিন্তু আপনার ডিভাইসের কন্ট্রোল হ্যাকাররা নিয়ে নেয়। 
সুতরাং ভেবে চিন্তে ভেরিফাই করে তবে কোন লিংকে ক্লিক করবেন। 


২. টু স্টেপ ভেরিফিকেশন অন করুন : 
আপনার ইমেইল আইডি ফেসবুকে অবশ্যই two step verification অন করে রাখেন। কেউ যদি আপনার ই-মেইলের ফেসবুকের পাসওয়ার্ড জেনেও যায় তাহলে কিন্তু  সেই ব্যক্তি ফেসবুক ইমেইল খুলতে পারবে না ।


৩. অনলাইনে ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করা থেকে বিরত থাকুন: অনলাইন যেমন ফেসবুক ইনস্টাগ্রাম টুইটার এইসব সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যক্তিগত তথ্য কম শেয়ার করার চেষ্টা করুন ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করলে হ্যাকাররা আপনার গতিবিধি বুঝতে পারে।  


৩. কঠিন পাসওয়ার্ড দিন: আপনার কম্পিউটার, মোবাইলে, ই-মেইলে সব সময় hard পাসওয়ার্ড দেওয়ার চেষ্টা করুন । আমাদের কমন পাসওয়ার্ড আমরা দিয়ে থাকি যেমন-জন্ম তারিখ, সাল, ১-৯ পর্যন্ত সংখ্যা নিজের নাম, এই সমস্ত পাসওয়ার্ড দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। পাসওয়ার্ড এ সব সময় @, নাম্বার, বড় হাতের অক্ষর, ছোট হাতের অক্ষর সিম্ভল চিহ্ন ব্যবহার করুন। 


৪. অন্যের ডিভাইসে Facebook,  email এইগুলো লগইন করা থেকে বিরত থাকুন : 
আপনারা কখনোই অন্য ডিভাইসে ইমেইল বা ফেসবুক অ্যাকাউন্ট লগইন করবেন না তাদের সার্ভারে কিন্তু আপনার পাসওয়ার্ড থেকে যায়। ভুলেও লগইন করলে  লগআউট করে দিবেন।


৫. ভেরিফাই করে অ্যাপ ডাউনলোড করুন :
আপনারা সবসময় গুগল প্লে স্টোর বা অ্যাপ স্টোর থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করার চেষ্টা করবেন।  third-party অ্যাপস আপনারা কোন ব্রাউজার থেকে না ডাউনলোড করার চেষ্টা করবেন বা অ্যাপস ডাউনলোড করার আগে ভালোমতো ভেরিফাই করুন, রেটিং চেক করুন রিভিউ দেখুন তারপর অ্যাপ ডাউনলোড করুন।


৬. অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করুন : 
আপনার কম্পিউটার সিস্টেমকে ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য অবশ্যই আপনারা অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করুন। কম্পিউটারে ভাইরাস আক্রমণ প্রতিরোধ করে এন্টিভাইরাস।

লেখক পরিচিতি

মো. আল মামুন

প্রযুক্তি গবেষক

টাঙ্গাইল

Related Article
comment
ডা. সাইফুল ইসলাম
17-May-23 | 12:05

good