২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
হোম স্বাস্থ্য সারাদেশ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি ও বাণিজ্য খেলাধুলা বিনোদন আন্তর্জাতিক ধর্ম ও জীবন লাইফ স্টাইল শিক্ষা প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান পরিবেশ চাকরি বা ক্যারিয়ার মতামত আইন-আদালত কৃষি ও প্রযুক্তি বিশেষ সংবাদ অপরাধ সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিশ্বকাপ ফুটবল
সারাদেশ / অপরাধ

জোরপূর্বক বাড়ি দখল সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ছেলের বিরুদ্ধে বাবা-মা কে মারধরের  অভিযোগ

১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

আঃ হালিম সরদার,
গফরগাঁও উপজেলা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

ছবি: মানিক ও লিপি আক্তাররে আক্রমণ আহত বাবা ফজলুল হকের স্বাক্ষরের সময় বাবার ছবি।

ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পৌরশহরের ষোলহাসিয়ায় জোর করে   বাড়ি লিখে নিতে ছেলে কর্তৃক বাবা -মা কে মারধরের ঘটনায় মানিক (৩৩) মিয়া ও তার স্ত্রী লিপি আক্তারের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে।  গত ২৩ আগস্ট (শনিবার) আনুমানিক রাত ১২টার দিকে গফরগাঁও পৌরশহরের ষোলহাসিয়া ৪নং ওয়ার্ডের খান বাহাদুর ইসমাইল রোডস্থ   সোহরাব মার্কেট সংলগ্ন ৪ তলা বিশিষ্ট  ফজলুল হকের(৬৫) নিজ বাড়িতে এঘটনা ঘটে।  এতে গুরুতর আহত হয় ফজলুল হকের (৬৫)  স্ত্রী শামছুনাহান (৬০)। এঘটনায় বাবা ফজলুল হক বাদী হয়ে নিকস্থ গফরগাঁও থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন, অভিযুক্তরা হলো ছেলে মানিক মিয়া (৩৩) ও তার স্ত্রী লিপি আক্তার। 

 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে ফজলুল হক (৬৫) শামছুনাহান (৬০)। মানিক মিয়ার বাবা এবং মা।  প্রায় ১০ বৎসর পূর্বে লিপিকে বিবাহ করে ফজলুল হকের  ছেলে মানিক । পরে তাকে রেখে প্রবাসে চলে যায় মানিক।  বর্তমান ঠিকানায় প্রায় ২ শতাংশ জমি বিদ্যামান আছে। ফজলুল হকের  আরেক ছেলে রতন সেও থাকেন বিদেশ। সব মিলিয়ে তার ২ ছেলে এবং ৩ মেয়ে সবাই বিবাহিত। ফজলুল হকের ৪তলা বাড়িতে তার স্ত্রী শামছুনাহান এবং অভিযুক্ত ছেলের মানিক ও তার বউ একসাথে বসবাস করতেন।  আরেক ছেলে রতন সেও প্রবাসে থাকেন। 
 

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে,  ফজলুল হক তার  স্ত্রী শামছুনাহান (৬০) কে নিয়া অতিকষ্টে জীবন যাপন করছেন। । বর্তমানে তারা দুজনেই শারীরিক অসুস্থতা বোধ করছেন। অভিযোগে তিনি বলেন, আমি আমার রোজগারের অর্থসহ  প্রবাসী ছেলে রতনের কষ্টার্জিত টাকায় ৪ তলা বাড়ি নির্মান করে  বসবাস করছি। পারিবারিক সমস্যার কারনে ২ ইউনিট ভাড়া দিয়া সংসার চালাই। গত ২৩ আগস্ট (শনিবার) আনুমানিক রাত ১২টার দিকে  মানিক ও লিপি আমার স্ত্রী শামছুনাহানের সাথে অহেতুক ঝগড়া বিবাদ সৃষ্টি করে গালিগালাজ করে। তখন আমার স্ত্রী প্রতিবাদ করলে তারা ক্ষীপ্ত হয়ে  আমি ও আমার স্ত্রীকে এলোপাথারী মারপিট করে  জখম  করে। এবং  বাসা বাড়ি ভাংচুর করে  ৪০/৫০ হাজার টাকা পরিমানের  ক্ষতি সংগঠিত  করে। তখন আমি ও আমার স্ত্রীর ডাক চিৎকার শুনে  আশেপাশের লোকজন আসিয়া মানিক মিয়া (ছেলে) এবং লিপি আক্তারের (ছেলের বউ)  কাছ থেকে উদ্ধার করে। মারধর  থামাতে গিয়ে  গুরুতর আহত হন পলি আক্তার নামে ফজলুল হকের আরেক মেয়ে। পরে মানিক ও লিপির নির্যাতনে শরীরের বিভিন্ন অংশের জখম নিয়ে গফরগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে কয়েকদিন চিকিৎসার পর বাড়িতে ফিরেন পলি আক্তার।  

মানিকের সংগঠিত এই ঘটনায় ব্যপক আপত্তি ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী। এক পর্যায়ে  বাবা ফজলুল হক এবং মা শামসুন্নাহার এবং বোন পলি আক্তারকে মারধর করে  বাড়ি থেকে পালিয়ে   মানিক মিয়া  ও লিপি আক্তার।

 

ফজলুল হক আরো বলেন,  ইদানিং  মানিক প্রবাস থেকে ফিরে আমার বাসা তার নামে লিখে  দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে  নানাভাবে আত্যাচার নিযার্তন চালাচ্ছে। আমি ও আমার স্ত্রী বিবাদীদের এহেন আত্যাচার নীরবে সহ্য করি। বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের  হুমকির মধ্যে জীবন যান করিতছি। তারা যেকোন সময় আমি ও আমার পরিবারের অপর ছেলে-মেয়েদের মারপিট সহ যেকোন ধরনের  ক্ষতিসাধন করিতে পারে বলে আশংঙ্কা করছি। 

তবে   দীর্ঘদিন যাবত অসুস্থ  পিতা মাতার নিয়মিত খোজ রাখছেন না বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

 

এব্যপারে অভিযুক্ত  মানিক মিয়ার কাছে  জানতে চাইলে তিনি বলেন আমাদের বাড়িতে তৃতীয় পক্ষের হাত রয়েছে। আমি গত ১৭ বছর যাবত বিদেশ থেকে টাকা পাঠাই সংসারের জন্য।৷ স্ত্রীকে সাথে নিয়ে  তার পিতামাতাকে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন তিনি। 

 

গফরগাঁও থানার উপ পরিদর্শক মাহবুব আলম জানান অভিযোগের মাধ্যমে ঘটনাটি জানতে পেরেছি।  এব্যপারে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।  মামলার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

Related Article