০২ অগাস্ট, ২০২৫
ছবি: গ্রেপ্তারকৃত ৬জন।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ওই নারীই অপহরণের শিকার ভুক্তভোগীর স্ত্রী। শনিবার (২ আগস্ট) দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
শুক্রবার (১ আগস্ট) ৯৯৯ নম্বরে ফোন পাওয়ার পর পুলিশ সন্ধ্যায় উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের পালপাড়া গ্রাম থেকে জিম্মি অবস্থায় থাকা স্বামী রহিম মিয়াকে উদ্ধার করে এবং ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করে। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় এই চক্রের মূল হোতা রাকিব হোসেন (১৮) নামের এক তরুণ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন:
উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের মীর দেওহাটা গ্রামের নাজিম উদ্দিনের ছেলে হাসান মোল্লা (৩৪), মৃত আতোয়ার হোসেনের ছেলে ইমরান হোসেন (২৫), রহিম সিকদারের ছেলে জহিরুল ইসলাম (২৪), কোদালিয়া গ্রামের খোরশেদ আলীর ছেলে মো. রানা (২০), বহুরিয়া গ্রামের মঙ্গল সিকদারের ছেলে আরিফ (৩৩), এবং গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানার তালচানা গ্রামের আলকেসের মেয়ে আকলিমা বেগম (৪০)।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, একই ইটভাটায় কাজ করতে গিয়ে নীলফামারী জেলার ডিমলা থানার খলিলুর রহমানের ছেলে আব্দুর রহিমের সঙ্গে আকলিমা বেগমের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং একপর্যায়ে তারা বিয়ে করেন। পরে ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেলে আব্দুর রহিম নিজ এলাকায় ফিরে যান। সেখানেও তার পূর্বের স্ত্রী রয়েছেন।
প্রায় ৬–৭ মাস ধরে আকলিমার সঙ্গে আব্দুর রহিম যোগাযোগ না করায়, তাকে ‘শায়েস্তা’ করার পরিকল্পনা করেন আকলিমা। এরপর ফোন করে তাকে মির্জাপুরে আসতে বলেন। আব্দুর রহিম আকলিমার ভাড়া বাসায় পৌঁছালে পলাতক রাকিব হোসেনের নেতৃত্বে অন্য অভিযুক্তরা তাকে মারধর করে এবং একটি বাড়িতে নিয়ে জিম্মি করে রাখে। পরে তার স্বজনদের ফোন করে ৪ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়।
জিম্মি আব্দুর রহিমের স্বজনরা ৯৯৯-এ ফোন করলে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশ দ্রুত অভিযান চালিয়ে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে।
মির্জাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম বলেন, “গ্রেপ্তারকৃতরা এলাকায় মাদক নির্মূল কমিটির নেতৃত্বের আড়ালে বিভিন্নভাবে চাঁদাবাজি করে আসছিল—এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে
Good news
Good