২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
ছবি: ভুক্তভোগী যুবলীগ নেতা।
রাজশাহী জেলার দুর্গাপুর উপজেলার গোপালপুর গ্রামে ১৫ টাকা কেজি মূল্যের সরকারি চাউল ওজনে কম দেওয়ার প্রতিবাদ করায় স্থানীয় ওয়ার্ড যুবলীগের প্রচার সম্পাদককে ভিলেনি কায়দায় তুলে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে।
বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) গোপালপুর বাজারে মনজুর রহমানের চা ষ্টলে ওই ঘটনা ঘটে।
উপজেলার ১ নং নওপাড়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের গোপাল পাড়া গ্রামের মনসুর রহমানের ছেলে, যুবলীগ নেতা মতিউর রহমান মতিন (৪০) কে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ সাইফুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে।
মারধরের শিকার যুবলীগ নেতা মতিউর রহমান মতিনের মাধ্যমে জানা যায়, মোঃ সাইফুল ইসলাম ৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি খাদ্য বান্ধব সরকারি ১৫ টাকা কেজি দরে চাল সরবরাহকারি স্থানীয় একজন ডিলার। সে অনুসারে তিনি কার্ডধারীদেরকে নির্ধারিত মূল্যে চাউল দিয়ে আসছেন। হঠাৎ কয়েকজন কার্ডধারীদের মাঝে, ডিলার সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে ওজনে চাল কম দেওয়ার বিষয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। এ বিষয়টি জানতে স্থানীয় ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য মেম্বার শহিদুল ইসলামের নিকট একই ওয়ার্ডের যুবলীগের প্রচার সম্পাদক মোঃ মতিউর রহমান মতিন বিষয়টি জানতে সেখানে গেলে সেখানে উপস্থিত ব্যাক্তিবর্গ হুমকি ধামকি দিয়ে মতিনকে পাঠিয়ে দেয়। পরবর্তীতে ডিলার সাইফুল তার সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে মতিনকে স্থানীয় চা দোকানি মঞ্জুরুলের চা স্টলে গিয়ে সেখানে ব্যাপক মারধর শুরু করে। পরে সেখান থেকে তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে সাইফুল ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা একটি রুমে আটকে রেখে ব্যাপক মারধর করে।
ভুক্তভোগী মতিউর রহমান মতিন বলেন, আমাকে নির্মম নির্দয় ভাবে মারধর করা হয়েছে। এবং অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করা হয়েছে। এমনকি আমাকে মাটিতে ফেলে উলঙ্গ করে পেটানো হয়েছে। তার ভিডিও ইতিমধ্যেই আপনারা হয়তো দেখেছেন। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচার চাই। আমাকে মারধর করেছে, সাইফুল ইসলাম (৪৫) সাইদুর মাস্টার (৪৭) শরিফুল ইসলাম (৩৮) এদের পিতা মৃত, তাছের আলী। এছাড়াও আরো যারা মারধর করেছে তারা হলেন, আব্দুর রাজ্জাক (৪৫) পিতা মৃত, দায়েম সরকার। মোজাম্মেল হক (৫০) জাহাঙ্গীর আলম (৪৫) পিতা সোলায়মান হক।
এই ঘটনায় স্থানীয় ৪ নং ওয়ার্ড সাধারণ সদস্য মেম্বার শহিদুল ইসলাম বলেন, সাইফুল ও তার সাথে আরো কয়েকজন মিলে মতিনকে তুলে নিয়ে গিয়ে ব্যাপক মারধর করে বিষয়টি সত্য।
এই ঘটনায় ১ নং নওপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শফিকুল আলম তিনি “তারুণ্য ২৪” কে বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি, এবং সেখানে আমি গিয়েছি, তাকে মারধরের ভিডিওটিও দেখেছি। এভাবে একজন প্রতিবন্ধী ছেলেকে মারধর করা কোনোভাবেই সাইফুলের ঠিক হয়নি। আর সত্যি কথা বলতে আমি সাইফুল এর সাথে চলতে পারিনি। এর আগেও আমি শুনেছি অনেককেই তিনি চাউল দেন না। বর্তমানে আহত মতিউর রহমান মতিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
এদিকে এ বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম ডিলার তিনি বলেন, আমি কাউকে মারধর করিনি বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যে উল্টো আমাকে ওরা মারধর করতে এসেছিলেন।
এই বিষয়ে এসআই শফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনা শুনে আমি সেখানে গিয়েছিলাম, ঘটনা সত্য।
দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজমুল হক বলেন, আমি বাহিরে ছিলাম বিষয়টি জানিনা। এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কেউ কোন অভিযোগ বা জিডি করতে আসেনি।