২২ অগাস্ট, ২০২৩
ছবি: সাইফুদ্দিনের খুনি আসামী আশরাফুল ইসলাম
কক্সবাজার শহরে আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুদ্দিন হত্যার ঘটনায় হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজে শনাক্ত হওয়া মূল অভিযুক্ত আশরাফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে তাকে গ্রেপ্তারের করে হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ি।
গ্রেপ্তার আশরাফুল ইসলাম (১৮) কক্সবাজার পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পাহাড়তলী ইসলামপুর এলাকার মোহাম্মদ হাশেমের ছেলে। পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, ঘটনার পর পুলিশ হোটেল থেকে কিছু সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করেছে। ওই ফুটেজের সূত্র ধরে পুলিশ ঘাতককে চিহ্নিত করতে সক্ষম হন। পরে সোমবার মধ্যরাতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এদিকে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আশরাফুল ইসলামকে গ্রেপ্তারের একটি ভিডিও ফুটেজ প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। ওই ভিডিও ফুটেজে রোববার মাগরিবের নামাজের পর সাইফুদ্দিনকে খুন করার বিষয়ে তাকে স্বীকারোক্তি দিতে শোনা যায়।
সোমবার সকালে কক্সবাজার শহরের হলিডের মোড় সংলগ্ন আবাসিক হোটেল সানমুনের দ্বিতীয় তলার ২০৮ নম্বর কক্ষে মিলে আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুদ্দিনের মরদেহ। তার হাত বাঁধা অবস্থায় পাওয়া মরদেহটির শরীরে কয়েকটি ধারালো অস্ত্রের আঘাত এবং শরীরের নানা অংশে জখম রয়েছে।
পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, হোটেল থেকে সংগ্রহ করা ভিডিও ফুটেজ দেখে ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিকে পুলিশ শনাক্ত করতে সক্ষম হন। পরে সোমবার মধ্যরাতে প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনায় জড়িত সন্দেহ করা ওই ঘাতকের অবস্থান পুলিশ নিশ্চিত হন।
এ তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির সামনে অস্থায়ী তল্লাশী চৌকি স্থাপন করা হয়। টেকনাফমুখি একটি বাসে তল্লাশীর সময় পুলিশ আশরাফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে। নিহত সাইফুদ্দিন (৪৫) কক্সবাজার শহরের ঘোনার পাড়া ০৯ নং ওয়ার্ডের অবসরপ্রাপ্ত আনসার কমান্ডার আবুল বশরের ছেলে।
তিনি কক্সবাজার পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক এবং কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগসহ নানা ইউনিটের সাবেক ছাত্রনেতা ছিলেন। বর্তমানে প্রাক্তন ছাত্রলীগ পরিষদ কক্সবাজার জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক।
এদিকে সাইফুদ্দিনের খুনিতে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে কক্সবাজারে মিছিল করেছে সাবেক ছাত্রনেতারা সহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।