৩০ নভেম্বর, ২০২২
ছবি: ১/ টাঙ্গাইল পাসপোর্ট অফিস। ২/ আবেদন ও টাকা পাঠানোর রশিদ
টাঙ্গাইল পাসপোর্ট অফিস মানেই দালাল চক্রের আস্তানা। ঘুষ বাণিজ্যের প্রধান কার্যালয় টাঙ্গাইল পাসপোর্ট অফিস। গ্রাহকের ভোগান্তির শেষ কোথায়??
একজন ভুক্তভোগী তার সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনা তারুণ্য ২৪ এর নিকট তুলে ধরেন। মোঃ আনিছুর রহমান জীবিকার তাগিদে যাবেন বিদেশে তার বিদেশে যাওয়ার জন্য পাসপোর্ট করতে হবে, সেজন্য যথারীতি নিয়ম মেনেই পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করেন এবং আবেদন জমা দিতে গতকাল ২৯ নভেম্বর ২০২২খ্রিঃ তারিখে টাঙ্গাইল পাসপোর্ট অফিসে যান। দীর্ঘ লাইন পাড়ি দিয়ে মোঃ আনিছুর রহমান যখন তার পাসপোর্ট এর আবেদনটি জমা দেন তখনই আবেদন জমা গ্রহনকারী কর্মকর্তা বলেন আবেদনটিতে ভূল আছে এটা সংশোধন করে নিয়ে আসেন। ই-পাসপোর্ট এর আবেদন সাবমিট করার পর সাধারনত সংশোধনের আর কোন উপায় ওয়েবসাইটে জনসাধারনের জন্য উন্মুক্ত থাকেনা, তাই কোন উপায় খুজে না পেয়ে টাঙ্গাইল পাসপোর্ট অফিসের কর্মচারী ঘুষ বাণিজ্যের প্রধান যে তার নাম সৈকত বলে পরিচয় দেন ( সৈকতের মোবাইল নম্বর 01756-831010 ) তার সাথে কথা বলেন। সে জানান ২০০০ টাকার বিনিময়ে সে তার সমস্যা সমধান করে দিবেন আর যদি আজকেই (২৯ নভেম্বর ২০২২) এটা করে দেন তাহলে নিবেন ২৫০০ টাকা। মোঃ আনিছুর রহমানের হাতে আর কোন উপায় না থাকায় এবং কাজটি তাড়াতাড়ি করার জন্য ২৫০০ টাকা সেই কর্মচারীকে দেন, তবুও ২৯ নভেম্বর ২০২২ ইং তারিখে সমস্যা সমাধান করতে না পারায় পরের দিন আবার আসতে বলেন। কিন্তু আজ ৩০ নভেম্বর ২০২২ ইং তারিখেও কোন সমাধান না পেয়ে বারবার ফোন করেন সেই কর্মচারীকে কিন্তু সে ফোন রিসিভ করে না।
পরবর্তীতে টাঙ্গাইল পাসপোর্ট অফিসের উপ পরিচালক মাসুম হাসান কে বিষয়টি জানানো হলে তিনি মোঃ আনিছুর রহমানের ভোটর আইডি কার্ডটি দেখে আবেদনটি মিলিয়ে দেখেন এবং বলেন আবেদনটি ঠিকই আছে এবং তিনি আবেদনটি গ্রহন করে পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পাঠান। সৈকতের ব্যাপারে তিনি বলেন এই নামে আমাদের এখানে কোন স্টাফ নেই।
এ সম্পর্কে সচেতন জনগন বলেন, এভাবে সঠিক আবেদন থাকা সত্ত্বেও কোন একটা বিষয় ভূল ধরে পাসপোর্ট অফিসের কিছু অসাধু কর্মচারী । সেটা সংশোধনের নামে হয়রানি করে এবং পরবর্তীতে ঘুষ নিয়ে থাকে। এটাই তাদের ঘুষ নেওয়ার পদ্ধতি।
সৈকত নামধারী কর্মচারীকে তার ফোন নম্বরের 01756-831010 মাধ্যমে খুজে বের করে শাস্তির অওতায় আনার দাবি জানান এবং সেই সাথে আবেদন ভূল হলে সংশোধনের একটা ব্যবস্থা রাখারও দাবি সচেতন মানুষের যাতে করে এই চক্রটি সংশোধনের নামে ঘুষ বাণিজ্য না করতে পারে।