২১ নভেম্বর, ২০২২
ছবি: প্রতীকী।
টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে বাবার বাড়ির পূর্ব পাশের বনে ৪৫বছর বয়সী এক নারীর মরদেহ পাওয়া যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। নিহত নারী উপজেলার দেওপাড়া ইউনিয়নের মালেঙ্গা বড়চালা এলাকার আব্দুল গফুরের স্ত্রী সেলিনা বেগম।
আজ সোমবার ২১ নভেম্বর সন্ধ্যায় উপজেলার একই ইউনিয়নের মাকড়াইয়ের বাবার বাড়ির পূর্ব পাশের বন বেষ্ঠিত পাহাড়ি টিলা থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে ঘাটাইল থানা পুলিশ। সে ওই এলাকার মৃত কুবেদ আলীর মেয়ে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ঘাটাইল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাজ্জাদ হোসেন জানান, দুপুরে বাবার বসতবাড়ির টিলার পূর্ব পাশের বন বেষ্ঠিত টিলায় লাকড়ী কুড়ানো মহিলারা তাঁর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্বজনদের খবর দেয়। বাবার বাড়ি থেকে নিহতের স্বামীর বাড়ির দূরত্ব ২০০মিটারের মত হবে। স্থানীয়রা বিকালে থানায় খবর দিলে সন্ধ্যায় আমরা পৌঁছে সুরতহাল শেষে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরো জানান, নিহতের গলায় ওড়না দিয়ে কয়েকটা প্যাঁচ দেওয়া। ওড়নাটার অপর প্রান্ত বোরকার সাথে বাঁধা। তবে শরীরের আর কোথাও কোন আঘাতের চিহ্ন নেই। এপ্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মরদেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
নিহতের বড় ভাই আব্দুল মান্নান জানান, বড় ভাগ্নে তাঁর শ্বশুরকে সত্তর হাজার টাকা ধার দেয়। এর কিছুদিন পর বউ চলে যায়। বউ চলে যাবার পর বোন জামাই (নিহেতর স্বামী) পাওনা টাকা আদায়ে ছেলের শ্বশুরের বিরুেদ্ধ মামলা করে। এ মামলা নিয়ে ঝামেলায় ও বউ চলে যাওয়ার ঘটনায় ভাগ্নে ক্ষিপ্ত হয়ে নিজেদের (স্বামী-স্ত্রী) কিছু ছবি ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়। এর প্রেক্ষিতে ভাগ্নে বউ মামলা করলে এ মামলায় অপর এক ভাগ্নে জেলে রয়েছে। এ নিয়ে বোন ও বোন জামাইেয়র মধ্যে তিন মাস আগে ঝগড়া হয়। তখন থেকে বোন (নিহত নারী) আমাদের বাড়িতে রয়েছে। গত রােতে আমরা ভেবেছি সে স্বামীর বাড়িতে গেছে, সকালে খোঁজ করে ওখানেও পাওয়া যায়নি। পরে টাঙ্গাইলে অপর এক ভাইয়ের বাসায়ও খোঁজ করা হয়। দুপুরে গলায় ওড়না পেচানো অবস্থায় তাঁর মরেদহ বাড়ির পাশের টিলায় পড়ে থাকেত দেখে লাকড়ি কুড়ানো মহিলারা। আমার বোনকে কেউ হত্যা করেছে।
ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজহারুল ইসলাম সরকার জানান, এঘটনায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন। তদন্ত শেষে ও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।