০৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
ছবি: সংগৃহীত
Tesla : এই গাড়ির জন্য নতুন এক ধরনের ব্যাটারি তৈরি করছে টেসলা। নতুন এই ব্যাটারিতে খরচ সাধারণের তুলনায় প্রায় ৫০ শতাংশ কম হবে।
টেসলার বহু প্রতীক্ষিত সাইবারট্রাক এবং রোডস্টার এখনই বাজারে আসছে না।
কিন্তু ইলন মাস্ক ভারতের জন্য সুখবর নিয়ে আসছেন। দু’বছরের মধ্যে সস্তায় টেসলার বৈদ্যুতিন গাড়ি আসছে ভারতীয় বাজারে।
২০২৩ সালের মধ্যে ১৮ লাখ টাকায় বৈদ্যুতিন গাড়ি ভারতীয় বাজারে নিয়ে আসার পরিকল্পনা নিয়েছে টেসলা।
গাড়িতে এমন কিছু ফিচার থাকছে, যা শুনতে আপনি অবাক হয়ে যাবেন। অত্যাধুনিক এই গাড়িতে সম্ভবত কোনও স্টিয়ারিং থাকবে না। এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছেন টেসলা কর্ণধার ইলন মাস্ক। এই গাড়িটি সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় হতে চলেছে বলে জানিয়েছেন মাস্ক। এই গাড়ির জন্য নতুন এক ধরনের ব্যাটারি তৈরি করছে টেসলা।
নতুন এই ব্যাটারিতে খরচ সাধারণের তুলনায় প্রায় ৫০ শতাংশ কম হবে। উল্লেখ্য গতবছরই টেসলা ব্যাটারি ডে-তে ২৫ হাজার মার্কিন ডলারে (১৮ লাখ টাকায়) বৈদ্যুতিন গাড়ি বাজারে আনার কথা বলেছিলেন মাস্ক।
সম্প্রতি বৈদ্যুতিক গাড়ি সংক্রান্ত ম্যাগাজ়িন ‘ইলেকট্রেকে’ ভারতীয় বাজারে ১৮ লাখ টাকায় গাড়ি আনার কথা বলেছেন। তবে নতুন এই গাড়ির নাম কী হবে, তা অবশ্য এখনও ঠিক করা হয়নি। অনেকে অনুমান করছেন গাড়িটির নাম রাখা হতে পারে টেসলা মডেল-২।
আবার অনেকে মনে করছেন, কিছুদিন আগে টেসলার তরফে তাদের সাংহাইয়ের ওয়ার্কশপে যে হ্যাচব্যাক গাড়ি তৈরির কথা বলা হচ্ছিল, এটিই সেই গাড়ি। এই গাড়ি বিশ্বজুড়ে রফতানির পরিকল্পনা করেছে টেসলা।
উল্লেখ্য গতবছরই টেসলা ভারতে তাদের ওয়ার্কশপ তৈরি করেছে। নাম দেওয়া হয়েছে টেসলা ইন্ডিয়া মোটরস অ্যান্ড এনার্জি প্রাইভেট লিমিটেড। ভারতে এখন বৈদ্যুতিক গাড়ির চাহিদা বাড়ছে। ওলা থেকে শুরু করে একাধিক সংস্থা ভারতে বৈদ্যুতিন গাড়ি তৈরির দিকে জোর দিচ্ছে। এই সুযোগে ভারতীয় বাজারকে নিজেদের হাতে ধরতে চাইছে টেসলাও। আর সেই কারণেই ভারতে নিজেদের ওয়ার্কশপ খুলে ফেলেছে টেসলা। এদিকে কেন্দ্রীয় পরিবহন মন্ত্রক ইতিমধ্যেই টেসলার চারটি গাড়িকে ভারতীয় বাজারে নিয়ে আসার ছাড়পত্র দিয়ে দিয়েছে। যদিও কোন কোন মডেল ভারতীয় বাজারে আসছে তা এখনও জানা যায়নি। তবে টেসলার জন্য একটি সমস্যা থেকেই যাচ্ছে। টেসলার অন্যান্য গাড়িগুলির তুলনায় ২৫ হাজার মার্কিন ডলারের (১৮ লাখ টাকা) গাড়ি অনেকটা কম দাম ঠিকই।
কিন্তু এই ১৮ লাখ টাকার সঙ্গে বাকি সব খরচ মিলিয়ে একজন ভারতীয় ক্রেতার জন্য গাড়িটির দর উঠবে অন্তত ২৫ লাখ টাকা।
কিন্তু সমস্যা হল, প্রায় একই দামে বা এর থেকে সামান্য বেশি দামে বিএমডাব্লু, অডি, মারসেডিজ়, জাগুয়ারের মতো প্রথম সারির লাক্সারি গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থার একাধিক মডেল রয়েছে। দেখতেও অসাধারণ।
এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় বাজারে টেসলাকে জায়গা করতে হবে বিএমডাব্লু, অডি, মারসেডিজ়, জাগুয়ারের সঙ্গে একই লাক্সারি সারিতে। সেখানে বাজারে চলতি লাক্সারি গাড়িগুলির সঙ্গে টেসলা কতটা টেক্কা দিতে পারবে সেই প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে।
লেখক
আল মামুন
টাঙ্গাইল