১৫ Jun ২০২৫
হোম স্বাস্থ্য সারাদেশ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি ও বাণিজ্য খেলাধুলা বিনোদন আন্তর্জাতিক ধর্ম ও জীবন লাইফ স্টাইল শিক্ষা প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান পরিবেশ চাকরি বা ক্যারিয়ার মতামত আইন-আদালত কৃষি ও প্রযুক্তি বিশেষ সংবাদ অপরাধ সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিশ্বকাপ ফুটবল
কৃষি ও প্রযুক্তি

ভাসমান বেডে চাষ করে কৃষকের মুখে হাসি

২১ সেপ্টেম্বর, ২০২২

নূরুদ্দীন মুহাম্মদ,
বাগেরহাট সদর উপজেলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি

ছবি: ছবি: সংগৃহিত

ভাসমান বেডে সবজি ও মসলা চাষ গবেষণা সম্প্রসারণ ও জনপ্রিয়করণ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় সবজি চাষের সফলতায় কিষাণ-কিষাণীর মুখে ফুটে উঠেছে হাসি।

দরিদ্র কৃষক মনিরুলের সাথে পাল্লা দিয়ে হাসছে বেডে জন্ম নেয়া গাছের বিভিন্ন রকম শাক সবজি। মনিরুলের সাফল্য দেখে তার আশপাশের পরিচিত কৃষকরাও এখন ভাসমান বেডে সবজি চাষে আগ্রহী।

সরেজমিনে বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের পাগলা উত্তরপাড়া গ্রামের কৃষক মনিরুলের বাড়ীর কাছের বিলে গিয়ে দেখা যায় বেড়ীবাধা ঘেরের মাঝে  ভাসমান বেডে চাষ হচ্ছে চাল কুমড়া,লাউ, ঢেঁড়শ কলমিশাক সহ হলুদের চাষ। একের পর এক সারিবদ্ধ ভাবে সাজানো বেডে হাতছানি দিচ্ছে তরতাজা সবজি ও শাক। সার কীটনাশক ছাড়া উন্নত আধুনিক পদ্ধতিতে সামান্য শ্রমে প্রাপ্ত ফসলে মনিরুলের সংসারে দৈনন্দিন কাচা তরিতরকারির হিসাব পুরন ও আর্থিকযোগ পরিবর্তন এনে দিয়েছে সাংসারিক অবস্থার।

কৃষক মনিরুল ইসলাম (৩৫) জানান, বাড়ীর পাশে ঘেরের মধ্যে উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে ও সার্বিক সযোগিতায় আমি এই চাষ করেছি। বিলে পানি না থাকার সময় কচুরিপানা জমিয়ে কৃষি অফিসার নাসরুল মিল্লাত স্যারের কথায় বেড তৈরি করেছিলাম। বৃষ্টিতে পানি জমে গিয়ে পানি বেড়ে গেলে বেড গুলিও পানির উপর ভাসতে থাকবে এমন করে তৈরি করা হয়েছিল বেড। যাতে ফসলের কোন ক্ষতি না হতে পারে ক্ষতি হয়নি, একটু উচু করে নেট দিয়ে মাচাও করেছিলাম সেই গরম কালে। সামনে শীত। পুরো বর্ষাকাল ধরে শাকসবজি বিক্রি করলাম। খরচ আমার হয়নি বললেও চলে। আটটা বেডে ফসল হচ্ছে। বেড তৈরির সময় কৃষি অফিস নগদ টাকা সহায়তা দিয়েছিল। বীজও দিয়েছিল। দিয়েছিল বালাই ব্যাবস্থাপনার সরঞ্জামও।

জেলার উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, ভাসমান বেডে সবজি ও মসলা চাষ গবেষণা সম্প্রসারণ ও জনপ্রিয়করণ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় সবজি চাষের সফলতা আনয়নে এ প্রকল্পেরই অধীনে কৃষক  মনিরুলকে সার্বিক সহায়তা ও পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে। মনিরুলের মত ফকিরহাটে অসংখ্য মানুষের মাছের ঘের সহ ভাসমান বেডে সবজি চাষ করার মত জমি রয়েছে। সেগুলোকে কাজে লাগিয়ে কৃষিকে বানিজ্যিক রুপে ফুটিয়ে তুলতে আমাদের প্রয়াস অব্যাহত রয়েছে। মনিরুলের মত অনেক কৃষক ফকিরহাটে ভাসমান বেডে সবজি চাষে হাত রাখছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার নাসরুল মিল্লাত জানান, পাগলা উত্তরপাড়া গ্রামের বিলে কচুরিপানা দিয়ে ভাসমান ধাপে যেমন শাকসবজি উৎপাদন করা হচ্ছে তেমনি তা উপজেলার অন্যান্য ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামেও হচ্ছে। ‘‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার একটি নির্দেশনা হলো, প্রতি ইঞ্চি জমি আবাদের আওতায় আনতে হবে, সেই উপলক্ষে উপজেলার কৃষি অফিসার নাসরুল মিল্লাত সকল কৃষাণ-কৃষাণীদের কৃষি খামারে উৎসাহিত করেছেন।

Related Article