১৫ Jun ২০২৫
হোম স্বাস্থ্য সারাদেশ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি ও বাণিজ্য খেলাধুলা বিনোদন আন্তর্জাতিক ধর্ম ও জীবন লাইফ স্টাইল শিক্ষা প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান পরিবেশ চাকরি বা ক্যারিয়ার মতামত আইন-আদালত কৃষি ও প্রযুক্তি বিশেষ সংবাদ অপরাধ সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিশ্বকাপ ফুটবল
অপরাধ

স্বামী-স্ত্রীকে কান ধরানোর অভিযোগ উপজেলা বিএমডিএ’র প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে

২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

মোঃ শরিফুল ইসলাম (শরীফ),
ভোলাহাট উপজেলা (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধি

ছবি: সংগৃহিত।

চাঁপাইনবাবেগঞ্জের ভোলাহাটে উপজেলা বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-বিএমডিএ’র সহকারি প্রকৌশলী মোঃ নাইমুল হাসানের বিরুদ্ধে গভীর নলকূপের নারী অপারেট ও তার স্বামীকে অফিসে ডেকে কান ধরে উঠবস করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ৯ ফেব্রুয়ারি রাত প্রায় ৯টার দিকে ভোলাহাট বিএমডিএ অফিসে। 

এদিকে ঘটনাটির প্রতিকার চেয়ে ভূক্তভোগী নারী স্থানীয় জাতীয় সংসদ সদস্যসহ বিএমডিএ’র নির্বাহী পরিচালক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন। পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি’২৩) দুপুরে বিষয়টির মিমাংসা করে দিয়েছেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য মুহা. জিয়াউর রহমান জিয়া। 

অভিযোগে জানা গেছে, ভোলাহাট উপজেলার গোহালবাড়ী ইউনিয়নের জয়দেবপুর মৌজার ৬৪৭ নং দাগের ২০১ নং গণকূপের নিয়োগকৃত নারী অপারেটর একই ইউনিয়নের কুমিরজান গ্রামের মোঃ সাইফুদ্দিনের স্ত্রী মোসাঃ সখিনা বেগম তার পরিচালিত গভীর নলকূপে পানির সাথে বালি ও পাথর উঠলে তা পূনঃস্থাপনের জন্য গত ৭ জানুয়ারি’২৩ বরেন্দ্র বহুমূখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ রাজশাহীতে গণকূপ প্রতিস্থাপন বাবদ ১ লাখ টাকা জমা দেন। পরে গভীর নলকূপটি দ্রুত প্রতিস্থাপন না হলে শতাধিক ধানী জমিতে বোরো ধান চাষাবাদ ব্যাহত হওয়ার আশংকায় বার বার ভোলাহাট বিএমডিএ’র সহকারী প্রকৌশলী মোঃ নাইমুল হাসানের সাথে যোগাযোগ করেন তিনি। তারপরেও বিলম্ব হওয়ায় তিনি বিভিন্ন ব্যক্তির মাধ্যমে সুপারিশ করালে সহকারী প্রকৌশলী ক্ষিপ্ত হয়ে উপরোক্ত তারিখে রাত ৯টার দিকে বরেন্দ্র অফিসে ডেকে পাঠান।

পরিপ্রেক্ষিতে ঐ নারী অপারেটর তার স্বামীকে নিয়ে অফিসে গেলে তাদের উভয়কে অফিস কক্ষে আটকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন সহকারী প্রকৌশলী মোঃ নাইমুল হাসান। পরে তাকে ও তার স্বামীকে কান ধরে উঠবস করানোর পর তাকে হুমকি দিয়ে বলা হয়, এরপর অফিসে আসলে অপারেটর থেকে তাকে বাতিল করা হবে। এদিকে সোমবার দুপুরে স্থানীয় এমপি মুহা. জিয়াউর রহমান জিয়া ভোলাহাট গেলে স্থানীয়রা এর প্রতিকার চেয়ে তার কাছে স্মরণাপন্ন হয়। ফলে স্থানীয় এমপি সহকারী প্রকৌশলীকে ডেকে বিষয়টি আপোষ-মিমাংসা করে দেন। বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে সংসদ সদস্য বলেন, তাদের কান ধরানো হয়েছিলো এবং বিষয়টির মিমাংসা করে দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে সহকারী প্রকৌশলী মোঃ নাইমুল হাসানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগের কথা সম্পূর্ণ অস্বীকার করে বলেন, এনিয়ে একটু ভুল বুঝাবুঝি হয়েছিলো যা মিমাংসা হয়ে গেছে। 

Related Article