অপরাধ
৩০ বছরেও প্রতিবন্ধী ভাতা না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন এক যুবক
১১ সেপ্টেম্বর, ২০২২
মোঃ শামীম হোসাইন,
সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার
ছবি:
আমি এক এতিম অসহায় শারীরিক প্রতিবন্ধী রাসেল আহমেদ খান-ময়মনসিংহ ত্রিশাল ১০নং মঠবাড়ী ইউনিয়ন থেকে বলছি? তবে আমি কিন্তু জন্ম থেকেই প্রতিবন্ধী ছিলাম না? আমার এই করুন পরিণতির জন্য সরকার অনুমোদিত একটি পোলিও টিকা বা একজন সরকারি অদক্ষ ডাক্তার দায়ী। তাই আমি আপনাদের সকলের সহানুভূতি ও সুদৃষ্টি কামনা করে সংক্ষিপ্ত ভাবে আমার ব্যর্থ জীবনের গল্পটুকু বলতে চাই- আজ থেকে প্রায় ৩০ বছর আগে,আমার বয়স যখন প্রায় ৩ বছর তখন একটি মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে একেবারেই বিষাক্ত হয়ে যাওয়া পোলিও টিকা আমার দুই পায়ে'ই পুস করলে,সেই পোলিও টিকা রিয়েকশন করে আমার দুই পা'ই অবস হয়ে যায়। যার কারনে,ছোটবেলা থেকেই প্রতিবন্ধী নামক অভিশপ্ত জীবন ভয়ে বেড়াচ্ছি। কিন্তু খুুুবই দুুঃখের বিষয় হলো যে, সেই সময়ও আমার পরিবারকে ন্যায্য অধিকার ও সুবিচার থেকে বঞ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্টরা। তারপর সরকারী ভাবে আমাকে অনেক আর্থিক সহযোগীতা করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকলেও আজও আমার প্রতিবন্ধীর ৩০ বছর পরেও এখন পর্যন্ত প্রতিবন্ধীর ভাতা ও কোন ধরনের আর্থিক সহযোগীতা পাইনি। সেই ছোট্টবেলা থেকেই অনেক দুঃখ কষ্টের মাঝে জীবনের সাথে যুদ্ধ করে দিন যাপন করছি আসছি। আমার একটি প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড করার জন্য বাবা বিগত ৩০ বছর ধরেই চেষ্টা করে ও ব্যর্থ হয়েছেন। তারপর আজ থেকে ৩ বছর আগে আমাদের ইউপি চেয়ারম্যান কুদ্দুস মড়ল(তেলকদূ নামে পরিচিত) তার কাছে যায়। আমার ভাতার কার্ডের জন্য গিয়ে দেখি উনার নেতৃত্বে ও সমাজসেবা অফিসারদের সহযোগীতায় প্রতিবন্ধী বিধবা,বয়স্ক ভাতার কার্ডের নাম করে চলছে এক অন্যরকম রমরমাহ ব্যবসা। একটা কার্ডের জন্য নেওয়া হচ্ছে চার থেকে ছয় হাজার টাকা। শিশু ও গর্ভকালীন ভাতা এবং সরকারি ঘরের ক্ষেত্রে আরো বেশী নিয়ে থাকে। এখানে বেশি টাকা ঘুষ দিয়েও অনেকেই ভুয়া কাগজ পেয়েছেন।অনেকেই ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে, স্বামী থাকা সত্ত্বেও বিধবা সহ বিভিন্ন কার্ড করে নিচ্ছে। তারপর আমার কাছেও খরচ দেখিয়ে ঘুষের টাকা চাওয়া হয়। আমি ঘুষের টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় তিনি উত্তেজিত হয়ে আমার সাথে খুুুব বাজে ব্যবহার করে। এমনকি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকেও চরম অপমান করেন। তারপর বাকদন্ডে জড়িয়ে এক পর্যায়ে আমি তাকে চ্যালেঞ্জ করি, যে আমি যেভাবেই পারি আপনাকে ছাড়াই কার্ড করবো এবং সেই কার্ডের জন্য একটা টাকাও আপনাকে খাইতে দিবনা। তারপর আমি সমাজ সেবা অফিসে টাকা দিয়েই অনেক কষ্ট করে কার্ডটি সম্পূর্ণ করি কিন্তু দুুঃখের বিষয় হলো যে, প্রায় ৩ বছর আগে কার্ড হওয়ার পরেও আমার হাতে এখন পর্যন্ত একটা টাকাও আসেনি। কারণ আমার ভাতার কার্ডিটি পরিষদে আসা মাত্রই তিনি আটকে রেখে প্রায় ৩ যাবত টাকা উত্তোলন করে এবং কার্ডটি বাতিল করে টাকা শূূন্য কার্ডটি আমার হাতে ফেরত দিয়েছে। শুধু তাই নয়, আমার এই ঘটনা ছাড়াও আরো অসংখ্য অনৈতিক অসামাজিক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত সে এবং তার সন্তানেরা, সন্ত্রাসী চাঁদাবাজি জমির দালালী থেকে শুরু করে যেকোন মাদক ব্যবসায় জড়িত আছে তারা। উনার হুকুমে তার ছেলে সন্ত্রাসী দিয়ে প্রকাশে দিনে মার্ডার করে এবং সবকিছুই তার ইশারাই চলছে। রাস্তাঘাটের কর্মসূচির টাকা ব্রিজ,কালবার,মসজিদ, মাদ্রাসা, করোনার টাকা সহ যেকোন সরকারি অনুদানের-টাকা ৯০% তার পকেটে চলে যায়। কোন সরকারি সেবা এখানে টাকা ছাড়া পাওয় যায় না। যদিও উনি বছর ২ আগে দুর্নীতির দায়ে গ্রেফতার হন, তার দুর্নীতির কারনে এবার নৌকার টিকেট পাননি। তাই দলের বিরুদ্ধে গিয়ে অবৈধ টাকা দিয়ে ভোট কিনে পাশ করেছে। এখনো চেয়ারম্যানের উত্তপ্ত লুটপাটে বা তাদের অমানবিক কর্মকাণ্ডে নিরহ মানুষ গুলো অতিষ্ঠ। কিন্তু এত কিছুর চাক্কশ প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও তাদের বিরুদ্ধে কেউ আইনি ব্যবস্থা নিতে পারেছেনা। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে এর সুষ্ঠ বিচার চাই।।