০৬ ডিসেম্বর, ২০২২
ছবি: ফেনী কেন্দ্রীয় শহীদ মুক্তিযোদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভ।
আজ ৬ ডিসেম্বর ফেনী মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের পুরো সময় জুড়ে ফেনী জেলা ছিলো পাক্-হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার- আলবদরদের কর্তৃক হত্যা, লুট, অগ্নিসংযোগ ও ধর্ষণের ঘটনায় ক্ষত-বিক্ষত শিকার হয়েছিল ফেনীর সাধারণ জনগণ।
১৯৭১ সালের ঠিক এই দিনে বীর মুক্তিযোদ্ধারা সর্বাত্মক আক্রমণ চালিয়ে পাক হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে ফেনীর মাটিতে স্বাধীন বাংলার পতাকা উড়িয়ে উল্লাসে মেতে উঠেছিলো।
ফেনী অঞ্চলের মুক্তিযোদ্ধাদের অধিনায়ক লে. কর্ণেল (অব.) জাফর ইমাম বীর বিক্রমের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা ভারতের বিলোনীয়া ও তৎসংলগ্ন অঞ্চল থেকে ১০ ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের হয়ে অভিযান চালায়।
মুক্তিবাহিনী বিলোনিয়া, পরশুরাম, মুন্সিরহাট, ফুলগাজী হয়ে জীবনবাজী রেখে যুদ্ধ করতে করতে এগুতে থাকে।এসময় পাক হানাদার বাহিনী দিশেহারা হয়ে পিছু হটতে থাকে। একপর্যায়ে পাক হানাদারদের একটি অংশ নোয়াখালীর হয়ে কুমিল্লা সেনানিবাসের রাস্তায় এবং অপর অংশ শুভপুর ব্রিজের উপর দিয়ে চট্টগ্রামের দিকে পালিয়ে যায়।
পাক হানাদাররা ১৯৭১ সালের ৫ ডিসেম্বর রাতে কুমিল্লার দিকে পালিয়ে গেলে ৬ ডিসেম্বর ভোরে ফেনী হানাদারমুক্ত হয়।
তখন সর্বস্তরের মানুষ লাল সবুজের বিজয় নিশান নিয়ে ফেনী শহর ও গ্রামগঞ্জে আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠে। এরমধ্যে দিয়ে জেলাবাসী মুক্তিপায় পাক-বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার-আল বদরদের হত্যা, লুট আর নির্যাতনের হাত থেকে। সে সময় থেকে ফেনীর বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা উৎসবমুখর পরিবেশে প্রতি বছর এই দিনটি উদযাপন করে আসছে।