৩০ মার্চ, ২০২৩
ছবি: হত্যার হুমকি দানকারী প্রতারক ও টাকা,স্বর্ণলংকার আত্মসাৎকারী জুয়েল
উল্লেখ্য জুয়েল রানা ব্রাংক ব্যাক টাঙ্গাইল জেলার সখিপুর ব্রাঞ্চে কর্মরত তার গ্রামের বাড়ির ঠিকানাঃ নিজপাড়া,বাজারপাড়া,ডোমেরহাট সংলগ্ন, ৩নং ওয়ার্ড ৭নং রামজীবন ইউনিয়ন সুন্দরগঞ্জ উপজেলা, গাইবান্ধা জেলায় অবস্হিত। তার পিতার নাম নুরুজ্জামান।
সে গত বেশ কিছুদিন ধরে এক গৃহবধূকে বিভিন্নভাবে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে হত্যার হুমকি দিয়ে গৃহবধূর স্বামী থেকে গৃহবধূকে পৃথক করে এবং গত ০৩/০৩/২০২৩ইং তারিখে গৃহবধূকে বিয়ে করবে বলে বের করে এনে তার এক খালার বাসায় গৃহবধূর চাকুরীর উপার্জনের টাকা এবং গৃহবধূর স্বর্ণলংকার আত্মসাৎ করে এবং গৃহবধূকে বেধড়ক মারধর করে রুমের মধ্যে দরজা লক করে রেখে জুয়েল এবং তার খালা ঘটনাস্হল থেকে পালিয়ে যায়।পরে স্হানীয় লোকজন টের পেয়ে তাকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে।
উক্ত ঘটনাটির বিস্তারিত ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচুর ভাইরাল হয়েছে এবং জুয়েল তা স্বীকার করেছে, কিন্তু সে দূর থেকে মুঠোফোনের মাধ্যমে তার আপনজনদের কাছে সব কিছু স্বীকার করে মিমাংসা করবে এটা মুখে বললেও এখনো সে পলাতক, নির্যাতিত গৃহবধূ তার সাথে বার বার কথা বলতে চাইলেও সে কোনভাবে তার সাথে কোন কথা বলতে ইচ্ছুক না। সে মোবাইল ফোনে কল রিসিভ করা মাত্র গৃহবধূর কন্ঠ শুনতে পেলে কল কেটে দেয়। এবং নিজ নাম্বার ছাড়া অন্যান্য নাম্বার থেকে কল দিয়ে এই অভিযোগ টি মেয়েকি উঠাই নিতে বলে এবং যদি সে উঠিয়ে না নেয় তবে তাকে এবং তার পরিবারের সদস্যের হত্যার হুমকি দেয়।
গৃহবধূ তার জীবনবাজি রেখে হত্যা হওয়ার পরোয়া না করে জুয়েল রানার কর্মরত অফিস ব্রাংক ব্যাক টাঙ্গাইল জেলার সখিপুর শাখায় স্বশরীরে এসবের পয়সালা করতে গত ২৭/০৩/২০২৩ ইং তারিখে যায়, এবং যে সময়ে গৃহবধূ তার অফসের সামনে দিয়ে ডুকে ঠিক ঐ সময়ে জুয়েল রানা অফিস থেকে বের হচ্ছিল তৎক্ষনাৎ গৃহবধূকে দেখে সে ভিতরে ডুকে যায় এবং তার সাথে কোনো কথা বলবে না বলে ঐখান থেকে চলে যেতে বলে এবং তবুও গৃহবধূ ঐখান থেকে না আসলে, পরবর্তিতে সিকিউরিটি দিয়ে ওখান থেকে অপমান করে মেয়েকে ঘটনাস্থল থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।
এবং পরবর্তীতে মেয়েটিকে ফোনে কল দিয়ে বলে অন্য কোনদিন যদি মেয়েটি অফিসে যায় তাহলে মেয়েটিকে সিনিয়র ম্যানেজারকে দিয়ে অপমান করাবে বলে ধমক দেয়, তার অফিসের সবাই তাকে ভালোবাসে এবং সে যেটা বলবে সবাই সেটা করবে আরেকদিন গেলে মেয়েটিকে লান্ছনার স্বীকার হতে হবে বলে হুমকি দেয় উল্লেখ্য জুয়েল রানা।
এবং জুয়েল রানা ফোন কলে মেয়েটিকে বলেন আমি তোমার টাকা এবং স্বর্ণলংকার কোনকিছুই ফেরত দিবো না কোনো মিমাংসাও করবো না তুমি কি করতে পারবা করো এসব বলেছেন এবং গালি দিয়েছেন । এবং মেয়েটির মোবাইল নাম্বার সবার কাছে ছড়িয়ে দিয়েছেন সবাইকে ফোন কলে গালি দিতে শিখিয়ে দিয়েছেন যার ফলে মেয়েটির নাম্বারে জুয়েলের পরিচিতজনেরা ফোন দিয়ে রাতারাতি বিভিন্ন খারাপ ভাষায় গালি দিচ্ছে।
উল্লেখ্য জুয়েল রানা অফিসের বাহিরে নিদিষ্ট কোন ভাষায় থাকছেন না, অফিস থেকে বের হলেই সে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন, তাই মেয়েটি তার অফিসে যেতে বাধ্য হয়েছেন। এবং সেখানে গিয়েও অপমানের স্বীকার হয়ে, হত্যার হুমকি পেয়ে নিরুপায় হয়ে সে সাংবাদিকদের ডেকে মুখ জবান দেন৷ তার মুখ জবানের ভিত্তিতে আমরা ঘটনা তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা জানতে পারি। মেয়েটি দেশবাসীর কাছে তার উপর ঘটে যাওয়া এমন প্রতারণার বিচার চেয়েছেন।