১৫ Jun ২০২৫
হোম স্বাস্থ্য সারাদেশ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি ও বাণিজ্য খেলাধুলা বিনোদন আন্তর্জাতিক ধর্ম ও জীবন লাইফ স্টাইল শিক্ষা প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান পরিবেশ চাকরি বা ক্যারিয়ার মতামত আইন-আদালত কৃষি ও প্রযুক্তি বিশেষ সংবাদ অপরাধ সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিশ্বকাপ ফুটবল
সারাদেশ / অপরাধ

ধুনটে গ্রাহকের ১৩ লাখ টাকা নিয়ে লাপাত্তা স্বপ্নের সেবা এনজিও

১৪ মার্চ, ২০২৩

মুঞ্জরুল হক,
ধুনট উপজেলা (বগুড়া) প্রতিনিধি

ছবি: ধুনট থানা, বগুড়া

বগুড়ার ধুনটে বিভিন্ন পণ্য দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকের ১৩ লাখ টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়েছে 'স্বপ্নের সেবা' নামের একটি এনজিও সংস্থা। এনজিও সংস্থাটি উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নের মরিচতলা, মানিকপোটল, গোপালনগর, জাংলাদাহ, ভান্ডারবাড়ি, চরপাড়া, বড়বিলা গ্রামের ২শত গ্রাহকের কাছ থেকে বিভিন্ন পণ্য দেওয়ার নামে প্রায় ১৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে গা ঢাকা দিয়েছে। এ সংক্রান্ত এনজিও'র কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে ধুনট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছে আব্দুল হাকিম সাইদ নামের এক গ্রাহক।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মরিচতলা গ্রামের খলিল মন্ডল এর ছেলে শাহিদ (৩৮) তাহার বাড়িতে স্বপ্নের সেবা নামের এনজিও কার্যালয় স্থাপন করে। ১৪ই মার্চ মঙ্গলবার সকালে গ্রাহকরা বিভিন্ন পণ্য নিতে শহিদের বাড়িতে এসে এনজিও অফিসটি তালাবন্ধ দেখতে পায়।

এ সময় ভুক্তভোগী গ্রাহকরা সেখানে অবস্থান নেয়। পরে ওই সংস্থাটির কর্মকর্তা মরিচতলা গ্রামের খলিল মন্ডল এর ছেলে শহিদ, জামাত আলীর ছেলে রাসেল, মৃত আয়েন উদ্দিনের ছেলে আবুল খলিল, মানিকপোটল গ্রামের মফিজ প্রামানিকের ছেলে কামরুল ইসলাম, গোপালনগর গ্রামের মৃত রুস্তম আলীর মেয়ে রোমা খাতুনের নামে ধুনট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করে আব্দুল হাকিম সাইদ নামের এক গ্রাহক।

প্রতারণার শিকার গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রায় ৬/৭  মাস যাবত ‘স্বপ্নের সেবা' নামের একটি এনজিওর কয়েকজন মাঠকর্মী নিয়ে বিভিন্ন পণ্য দেওয়ার নামে ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নের মরিচতলা সহ কয়েকটি গ্রামের প্রচারণা চালায়। এনজিওর ম্যানেজার শহিদ মোট ২শত জন গ্রাহকদের কাছ থেকে পণ্য হস্তান্তর বাবদ ৬ হাজার টাকা করে উত্তোলন করেন। এভাবে ১৪-১৫ জন এনজিও'র মাঠ কর্মী গ্রাহকের কাছ থেকে প্রায় ১৩ লাখ টাকা সংগ্রহ করে সংস্থাটি। ১৪ই মার্চ মঙ্গলবার সকালে বিভিন্ন পণ্য দেওয়ার দিন ধার্য করে সংস্থাটি। ওই দিন সকালে বিভিন্ন গ্রাম থেকে পণ্য নিতে আসা গ্রাহকরা এনজিওর ঠিকানা অনুযায়ী শহিদ এর বাড়িতে গিয়ে অফিস ঘরটি তালাবদ্ধ দেখতে পায়।

ভুক্তভোগী আব্দুল  হাকিম সাইদ  বলেন, আমি একজন অটোচালক। অটো কেনার জন্য ২০ হাজার টাকার মধ্যে ৬ হাজার টাকা দিয়েছি। আমি সহ আমাদের এলাকার সহজ সরল সাধারণ পরিবারের কমপক্ষে ২শত ব্যক্তির কাছ থেকে প্রায় ১৩ লক্ষ টাকা নিয়েছে এনজিওটি। শহিদ আমার গ্রামের মানুষ তার বাড়িতে অফিস করেছে বলাতেই আমাদের বিশ্বাস হয়েছিল। এ ঘটনার সঙ্গে আমাদের এলাকার আরও ৪ জন ব্যক্তি জড়িত আছে বলেও জানান তিনি। 

আরেক ভুক্তভোগী আব্দুস সালাম বলেন, আমি একজন কৃষক। আমাকে তেল, ডাল, কালাই, চিনি সহ মোট ৪১টি পণ্য দেওয়ার কথা বলে আমার কাছ থেকে ৬ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়েছে।

এ বিষয়ে স্বপ্নের সেবা দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহিদ এর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তার মোবাইল নাম্বার বন্ধ থাকায় মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

ধুনট থানার এসআই জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এনজিও সংক্রান্ত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Related Article