২১ ডিসেম্বর, ২০২২
ছবি: ঘোপাল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নবনির্মিত ভবনের ছবি।
ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার ঘোপাল ইউনিয়নের প্রায় ১৫০ বছরের পুরনো ঘোপাল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। চার বছর ধরে বিদ্যালয়টি চলছে প্রধান শিক্ষক ও দুইজন সহকারী শিক্ষক ছাড়া। দীর্ঘদিন শিক্ষক সংকট থাকায় ব্যাহত হচ্ছে বিদ্যালয়টির শিক্ষা কার্যক্রম। এতে শিক্ষার্থীরা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তেমনি বাড়তি চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন দায়িত্বে থাকা অন্য দুইজন শিক্ষক। মাঝেমধ্যে এ দুইজন শিক্ষকের মধ্যে কেউ ছুটি কিংবা ট্রেনিংয়ে থাকলে বিদ্যালয় হয়ে যায় শিক্ষকবিহীন। দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়ের জন্য নতুন শিক্ষক নিয়োগ না দেওয়ায় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্যরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দ বলেন, উপজেলা শিক্ষা অফিস বরাবর ধারনা দিয়েও এ সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয় শিক্ষকের পদ শূন্য থাকায় প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক শৃঙ্খলাও ভেঙে পড়ছে। শিক্ষক স্বল্পতায় মানসম্মত ফলাফলের দিক দিয়েও পিছিয়ে পড়েছে শিক্ষার্থীরা। এ নিয়ে ক্ষোভর শেষ নেই অভিভাবকদের। চার বছর আগেও উক্ত বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল দুই শতাধিক। কিন্তু বর্তমানে প্রাচীন এ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা মাত্র ৬০ জন। শিক্ষক না থাকায় বিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থী অন্য বিদ্যালয়ে ভর্তি হচ্ছে ধারণা করেন এলাকার সুশীল সমাজ।
অভিভাবকরা জানান, শিক্ষক স্বল্পতার কারণে নিয়মিত পাঠদান না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা ভালো মানের ফলাফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাড়াতাড়ি করে কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে আগামী দিনে ঘোপাল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ভালো ফলাফল আসবে না। এ বিদ্যালয়ে প্রশাসনিক ও পাঠদান কার্যক্রম চলছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে এতে চরম ভোগান্তিতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। অন্য স্কুল থেকে সপ্তাহে একজন সহকারী শিক্ষক এসে ক্লাস করান কিন্তু কোনো কোনো সপ্তাহে তাদের দেখা মেলে না।
প্রতিদিনের পাঠদান কার্যক্রম চলছে কোনোভাবে জোড়াতালি দিয়ে।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রাজীব শর্মা জানান, ২০১৯ সালে প্রধান শিক্ষক ও দুইজন সহকারী শিক্ষক বদলির পর এখানে কোন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়নি। তাই চার বছর ধরে শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি লায়ন মো. মহসিন আলী জানান, প্রধান শিক্ষক ও দুইজন সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য থাকায় শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। দীর্ঘদিন পদ শূন্য থাকায় পাঠদান ও অফিসিয়াল কাজকর্ম করতে হিমশিম পোহাতে হচ্ছে দুইজন শিক্ষককে।