০৪ মে, ২০২৩
ছবি: গ্রেফতারকৃত আসামি আবুল খায়ের
ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার দক্ষিণ বল্লভপুর গ্রামের আপন বড় ভাইকে হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-৭।
এ নিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে ফেনী র্যাব ক্যাম্পে সংবাদ সম্মেলন করে র্যাব-৭ ফেনী ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার মো.সাদেকুল ইসলাম জানান, বুধবার ভোরে চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া এলাকা থেকে আপন বড় ভাইকে হত্যার দায়ে দায়েরকৃত মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি আবুল খায়েরকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭।
১৯৯৩ সালের ২৭ জুন তারিখে দুই সহোদর আবুল খায়ের ও আবদুল কাদের পৈত্রিক সম্পওির ভাগ-বন্টনকে কেন্দ্র করে তাঁদের আপন বড় ভাই আবু তাহেরকে ধারালো দা দিয়ে ঘাড়ে নির্মমভাবে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরবর্তীতে হাসপাতালে নেওয়ার পথেই আবু তাহের মৃত্যুবরণ করে।
এ ঘটনায় নিহতের বোন আমেনা বেগম বাদী হয়ে ছাগলনাইয়া থানায় আবুল খায়ের ও আবদুল কাদেরকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।১৯৯৬ সালে আদালত উক্ত মামলার রায়ে অভিযুক্ত ২ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত।
র্যাব-৭ ফেনী ক্যাম্পের কোম্পানী
কমান্ডার মো.সাদেকুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারকৃত আসামিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় বর্ণিত হত্যাকান্ডের পর আসামি আবুল খায়ের গত ২৮ জুন ১৯৯৩ সাল থেকে চট্টগ্রামের আনোয়ারা এলাকায় ২ বছর পালিয়ে থাকে।
পরবর্তীতে উক্ত মামলার আসামি আত্নগোপনের উদ্দেশ্য তার নিজ এলাকায় গেলে পুলিশ খোঁজাখুজি করায় সে আসাম হয়ে ভারত যাওয়ার পথে ভারতীয় সীমান্ত বাহিনী বিএসএফে'র হাতে গ্রেফতার হয়।
ভারতের শিলং কারাগারে ৬ মাস বন্দী থেকে পুনরায় বাংলাদেশে ফিরে আসে। পরবর্তীতে সিলেটে ৬ মাস আত্নগোপনে থাকার পর পুনরায় আবুল খায়ের চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থানার কমলাছড়ি এলাকায় ৩ বছর যাবৎ বসবাস করতে থাকে এবং উক্ত এলাকায় নিজের নাম পরিবর্তন করে মিজান নামে জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করে।
এরপর সে পটিয়া থানার কামাল বাজার এলাকায় দীর্ঘ ২৪ বছর যাবৎ মিজান নামে দিনমজুর ও অটোরিকশা চালানোর কাজে নিয়োজিত ছিল। দীর্ঘ ৩০ বছর সে তার পরিবার ও আত্নীয়-স্বজনের সাথে সম্পূর্ণভাবে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রাখে।
ফেনী র্যাব ক্যাম্পে সংবাদ সম্মেলন শেষে উক্ত মামলার গ্রেফতারকৃত আসামিকে ছাগলনাইয়া থানায় হস্তান্তর করা হবে বলে জনিয়েছেন, ফেনী র্যাব ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার মো.সাদেকুল ইসলাম।