১৫ Jun ২০২৫
হোম স্বাস্থ্য সারাদেশ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি ও বাণিজ্য খেলাধুলা বিনোদন আন্তর্জাতিক ধর্ম ও জীবন লাইফ স্টাইল শিক্ষা প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান পরিবেশ চাকরি বা ক্যারিয়ার মতামত আইন-আদালত কৃষি ও প্রযুক্তি বিশেষ সংবাদ অপরাধ সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিশ্বকাপ ফুটবল
অপরাধ

ফেনীতে শিক্ষিকা ধর্ষণ মামলার আসামী এসআই আলাউদ্দিনকে খুঁজে পাচ্ছে না পুলিশ, বন্ধ মুঠো ফোন

১১ ডিসেম্বর, ২০২২

কামরুল আরেফিন,
ফেনী জেলা (ফেনী) প্রতিনিধি

ছবি: অভিযুক্ত ফেনী জেলা পুলিশের ডিএসবি শাখার উপ-পরিদর্শক মো. আলাউদ্দিন।

ফেনী জেলা পুলিশের ডিএসবি শাখার উপ-পরিদর্শক মো. আলাউদ্দিনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন একটি বেসরকারী স্কুলের শিক্ষিকা। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন এ ভুক্তভোগী।  স্কুল শিক্ষিকা লন্ডন প্রবাসীর স্ত্রী। দায়েরকৃত মামলাটার দায়িত্ব পান ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহাফুজুর রহমান। কিন্তু মামলার পাঁচদিন অতিবাহিত হলেও আসামির হদিছ মিলছে না। সূএে জানা যায়, এসআই আলাউদ্দিন কক্সবাজার সদর উপজেলার লামাছি পাড়ার কাশেম উদ্দিনের ছেলে। বর্তমানে তিনি ঢাকার  উওরা এসবি শাখায় একটি প্রশিক্ষণে যোগদান করার কথা থাকলেও সেখানে তিনি নেই।
পাশাপাশি তার মুঠোফোনও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে তাকে আইনের আওতায় আনতে সবরকম চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানা যায় কিন্তু তার খোঁজ মিলছে না।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষিকা বলেন, আলাউদ্দিন পুলিশে চাকুরী করার সুবাধে তাকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে। মামলার পর পুলিশ চাইলে তাঁকে গ্রেফতার করত পারতো কিন্তু করেননি। অভিযুক্ত মো. আলাউদ্দিন বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করতেছে এবং বিদেশে চলে যাওয়ায় জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে।
উক্ত বিষয়টি মামলার দায়িত্ব প্রাপ্ত কমকর্তাকে অবগত করেছেন মামলার বাদী।  আসামি গ্রেফতার না হওয়ার কারণে বর্তমানে নিরাপওাহীনতায় ভুগছে ভুক্তভোগী শিক্ষিকা।
মামলার তদন্ত কমকর্তা মাহফুজুর রহমান বলেন, মামলাটি রুজুর পর সর্ব্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আইনানুযায়ী মামলার কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে মামলার বাদীর মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। মামলার  তদন্তের স্বার্থে এর বেশি তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন মামলার তদন্ত কমকর্তা মাহফুজুর রহমান। 
অভিযুক্ত মো. আলাউদ্দিন  প্রথম বিয়ের কথা গোপন রেখে ২০২০ সালের ২২ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের একটি কাজী অফিসে মামলার বাদীকে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করেন। বিয়ে করার পর এসআই আলাউদ্দিন ভুক্তভোগী শিক্ষিকাকে স্ত্রীর মর্যাদা না দিয়ে এবং সামাজিক স্বীকৃতির কথা বললে বিভিন্ন টালবাহানা দেখাতেন। দাম্পত্য জীবন চলমান থাকা অবস্হায় ২০২১ সালের ২৮  ফেব্রুয়ারি  মামলার বাদী বুঝতে পারেন তিনি গর্ভবতী হয়েছেন। উক্ত বিষয়টি এসআই আলাউদ্দিন জানতে পারলে মামলার বাদীকে মারধর করেন এবং ঔষধ প্রয়োগের মাধ্যমে গর্ভপাত করাতে বাধ্য করেন। ঘটনাটি সংঘটিত হওয়ার ফলে অভিযুক্ত শিক্ষিকা মানসিক ও শারীরিকভাবে ভেঙ্গে পড়েন। স্ত্রীর স্বীকৃতি প্রাপ্তির জন্য ভুক্তভোগী শিক্ষিকা অতিরিক্ত চাপ প্রয়োগ করলে এসআই আলাউদ্দিন বিগত ২০২১ সালের ৩ মার্চ উক্ত শিক্ষিকাকে তালাক দেন।
তালাক দেওয়ার এক মাস পর পুনরায় মামলার বাদীকে বিরক্ত করা শুরু করেন আলাউদ্দিন। এছাড়াও উক্ত শিক্ষিকা বাসা থেকে বের হলে তাঁর পেছনে মোটর সাইকেল যোগে ফলো করতেন,  বাসার সামনে দাঁড়িয়ে থাকাসহ বিভিন্নভাবে হয়রানী করতেন আলাউদ্দিন। 
২০২২ সালের ১২ নভেম্বর রাতে জোরপূর্বক ভুক্তভোগীর বাসায় গিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করেন অভিযুক্ত মো. আলাউদ্দিন। একপর্যায়ে ধর্ষণের বিষয়ে কাউকে বললে আলাউদ্দিন ও শিক্ষিকার মধ্যকার আপওিকর দৃশ্য সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল করাসহ  হত্যার হুমকি দেন আলাউদ্দিন। আরেও উল্লেখ যে, গত ২৩ নভেম্বর সকালে শিক্ষিকা বাদী হয়ে পুলিশের ডিএসবি শাখার উপ-পরিদর্শক মো. আলাউদ্দিনের বিরুদ্ধে ফেনী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।

Related Article