০২ অগাস্ট ২০২৫
হোম স্বাস্থ্য সারাদেশ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি ও বাণিজ্য খেলাধুলা বিনোদন আন্তর্জাতিক ধর্ম ও জীবন লাইফ স্টাইল শিক্ষা প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান পরিবেশ চাকরি বা ক্যারিয়ার মতামত আইন-আদালত কৃষি ও প্রযুক্তি বিশেষ সংবাদ অপরাধ সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিশ্বকাপ ফুটবল
সারাদেশ / জাতীয় / রাজনীতি / আইন-আদালত / অপরাধ

ঘুষ না দেওয়ায় অতিরিক্ত ফি দিতে হয় দোহাজারী পৌরসভায়

২৩ Jul, ২০২৫

মোঃ আয়ুব মিয়া,
চন্দনাইশ উপজেলা ( চট্টগ্রাম ) প্রতিনিধি

ছবি: ব্যাংক রশিদ, ট্রেড লাইসেন্স (অভিযুক্ত বিধান বড়ুয়া)

ঘুষ না দেওয়ায় অতিরিক্ত ফি দিতে হয় দোহাজারী পৌরসভায়।

চট্টগ্রামের দোহাজারী পৌরসভায় ট্রেড লাইসেন্স করতে ঘুষ না দিলে অতিরিক্ত ফি দিতে হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে। পৌরসভার লাইসেন্স পরিদর্শক বিধান বড়ুয়ার বিরুদ্ধে সেবা প্রার্থীকে জিম্মি করে টাকা আদায়ের অভিযোগ করেছেন ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলী মৃধা লিটন। তিনি আরকান রোডস্থ মেসার্স কৃষি ভাণ্ডার প্রতিষ্ঠানের মালিক।

তিনি প্রতিনিধিকে অভিযোগ করে জানান, নিয়মিত ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন ফি বাবদ ১,৬২৫ টাকা দিয়ে তাঁর ছেলে মো. মুতাসিম ফুয়াদকে পৌরসভায় পাঠান। যথারীতি ২২ জুলাই (মঙ্গলবার) ব্যাংক রশিদ মারফত লাইসেন্স ফি ৫০০ টাকা, সাইনবোর্ড ফি ৫০০ টাকা, নতুন বই ফি ৫০ টাকা, ভ্যাট ৭৫ টাকা ও আয়কর বাবদ ৫০০ টাকাসহ সর্বমোট ১,৬২৫ টাকা জমা দিয়ে লাইসেন্সের আবেদন করেন।

পরদিন ২৩ জুলাই নবায়নকৃত নতুন লাইসেন্স আনতে গেলে বিধান বড়ুয়া ২,০০০ টাকা ঘুষ দাবি করেন। এ বিষয়ে কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, দোহাজারীর বাইরের ব্যবসায়ীদের নিকট অতিরিক্ত ২,০০০ টাকা দিতে হয়। রশিদ ছাড়া টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তিনি সাইনবোর্ড ফি বাবদ ৪,০০০ টাকা অতিরিক্ত ফি জমা দিতে রশিদ দেন।

তীব্র প্রতিবাদ করলে তিনি ৪,০০০ টাকা কেটে পরবর্তীতে ব্যাংক রশিদে ২,০০০ টাকা জমা করাতে বাধ্য করেন। তখন তিনি মুখ ফসকে বলে ফেলেন, "প্রতিবাদ না করলে ৪,০০০ টাকাই আদায় করতাম।"

বাধ্য হয়ে তিনি ট্রেড লাইসেন্স ছাড়া কীটনাশকের পাইকারি ও খুচরা বিক্রয় লাইসেন্স, বীজের লাইসেন্স, বিএডিসি লাইসেন্স, বাংলাদেশ সিড অ্যাসোসিয়েশন লাইসেন্সসহ প্রায় ৬-৭টি লাইসেন্স করতে না পেরে ব্যবসা বন্ধ করে পথে বসার হুমকির মধ্যে রয়েছেন বলে জানান।

অন্য কোনো উপায় না পেয়ে ঘুষের পরিবর্তে অতিরিক্ত ২,০০০ টাকা ব্যাংকে জমা দিতে জোরপূর্বক বাধ্য করা হয়। এ হয়রানির বিরুদ্ধে অভিযুক্ত লাইসেন্স পরিদর্শক বিধান বড়ুয়ার যথাযথ শাস্তির দাবি জানান তিনি।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিলে দোহাজারী পৌরসভা দুর্নীতিমুক্ত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

এ বিষয়ে বিধান বড়ুয়ার নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, সাইনবোর্ড ফি বাবদ প্রথমে কম জমা দেওয়া হয়েছিল, সেটি পুনরায় আদায় করা হয়েছে। অভিযোগকারী বাইরের লোক নিয়ে আসায় তাকে সুবিধাভোগী মনে করে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের কথা বলেছেন বলে স্বীকার করেন।

এ বিষয়ে দোহাজারী পৌরসভার পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শামসুদ্দিন জানান, বিষয়টি জেনে পরে মন্তব্য করবেন।

Related Article