১৫ Jun ২০২৫
হোম স্বাস্থ্য সারাদেশ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি ও বাণিজ্য খেলাধুলা বিনোদন আন্তর্জাতিক ধর্ম ও জীবন লাইফ স্টাইল শিক্ষা প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান পরিবেশ চাকরি বা ক্যারিয়ার মতামত আইন-আদালত কৃষি ও প্রযুক্তি বিশেষ সংবাদ অপরাধ সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিশ্বকাপ ফুটবল
সারাদেশ / জাতীয়

গাইবান্ধার ফুলছড়ি ও সাঘাটা হানাদার মুক্ত দিবস আজ

০৪ ডিসেম্বর, ২০২২

মো:তৌহিদুল ইসলাম,
পলাশবাড়ী উপজেলা (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি

ছবি: মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি সৌধ

১৯৭১ সালের এই দিনে ফুলছড়ি ও তিস্তামুখ রেলওয়ে ফেরিঘাট এলাকা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কবল থেকে মুক্ত করেন মুক্তিযোদ্ধারা। গাইবান্ধা জেলার প্রথম এলাকা হিসেবে ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলা হানাদার মুক্ত হয়।
যুদ্ধ চলাকালে ফুলছড়ি ও সাঘাটাকে মুক্ত করতে গিয়ে পাকবাহিনীর সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধে ৫ মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। এছাড়া সম্মুখযুদ্ধে ২২ পাকসেনা নিহত হন। নিহত বীর মুক্তিযোদ্ধারা হলেন- আফজাল হোসেন, কবেজ আলী, যাহেদুর রহমান বাদল, ওসমান গণী এবং আব্দুল সোবহান।
এই ৫ শহীদ মুক্তিযোদ্ধার লাশ সাঘাটা উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের খামার ধনারুহা প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সমাহিত করা হয়। পরবর্তীতে সগুনা নাম পরিবর্তন করে এলাকাটিকে মুক্তিনগর ইউনিয়ন নামকরণ করা হয়। শহীদদের স্মরণে ধনারুহা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানে কবরের পাশেই নির্মাণ করা হয় স্মৃতি সৌধ।
স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা জানান, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ১৯৭১ সালের ২৩ এপ্রিল তৎকালীন ফুলছড়ি সিও অফিসের চার কিলোমিটার দূরে তিস্তামুখ রেলওয়ে ফেরিঘাট এলাকায় ঘাঁটি স্থাপন করে। ক্যাম্প থেকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আশপাশ এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়, আওয়ামী লীগ সমর্থক ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোকজনের বাড়িতে হামলা ও লুটপাট চালায়। এক পর্যায়ে তারা বেশ কিছু বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ করে। নারীদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। আর এই হামলা, নির্যাতন থেকে এলাকাকে বাঁচতে হামলা করি আমরা। আর এই হামলায় পরাজিত হয় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী।

Related Article