২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২
ছবি:
কুড়িগ্রামে চাকরিতে কোটা সুবিধা নেওয়ার জন্য স্ত্রীকে বোন বানিয়েছেন, মুক্তিযোদ্ধা আইনুল হকের ছেলে আনিসুর রহমান।
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার সন্তোষপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা আইনুল হক। তার ৮ ছেলে-মেয়ে এর মধ্যে আনিসুর রহমান বড় ছেলে। আনিসুর রংপুর বেতারে অফিস সহায়ক পদে কর্মরত রয়েছেন।
তার স্ত্রী সোনালী খাতুন একই জেলার উলিপুর উপজেলার গুনাইগাছ ইউনিয়নের নাগড়াকুরা গ্রামের মৃত রবিউল ইসলামের মেয়ে। ২০০৭ সালে সোনালী-আনিসুর দম্পতির বিয়ে হয়।
স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, সাপখাওয়া দাখিল মাদরাসায় বিয়ের পর ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষে অনিয়মিত শিক্ষার্থী হিসেবে ভর্তি হন সোনালী। শ্বশুর-শাশুড়িকে বানান বাবা-মা। এরপর জিপিএ ২ দশমিক ৯৪ পেয়ে ২০১৩ সালে উত্তীর্ণ হন তিনি। পরের বছর সেই সনদ ও ভুয়া জন্ম নিবন্ধন দেখিয়ে ভোটার হন। এতেও শ্বশুর মুক্তিযোদ্ধা আইনুল হককে পিতা ও শাশুড়ি জামিলা বেগমকে নিজের মা হিসেবে তথ্য দেন।
স্থানীয় গ্রাম পুলিশ জহুরুল হক নিশ্চিত করেছেন সোনালী খাতুন মুক্তিযোদ্ধা আইনুল হক এবং জামিলা বেগমের সন্তান নন, মূলত তাদের পুত্রবধূ। মুক্তিযোদ্ধা আইনুল হকের ছেলে খালেক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সোনালী খাতুন তার ভাবি। মুক্তিযোদ্ধার সুযোগ-সুবিধা পেতেই ভাই-ভাবি এমনটি করেছেন।
এ ব্যাপারে সন্তোষপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী লাকু বলেন, সোনালী নামে আইনুল হকের কোনো সন্তান নেই। এই নামে তার পুত্রবধূ আছেন। তিনি আনিছুর রহমানের স্ত্রী। এ ব্যাপারে আনিছুর রহমান জানান, স্ত্রীকে বোন বানানোর বিষয়টি ভুলবশত হয়েছে। এমনটি তার স্ত্রী করেছেন।
আর এ বিষয়ে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান আনিসুরের স্ত্রী সোনালী খাতুন।