১৫ Jun ২০২৫
হোম স্বাস্থ্য সারাদেশ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি ও বাণিজ্য খেলাধুলা বিনোদন আন্তর্জাতিক ধর্ম ও জীবন লাইফ স্টাইল শিক্ষা প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান পরিবেশ চাকরি বা ক্যারিয়ার মতামত আইন-আদালত কৃষি ও প্রযুক্তি বিশেষ সংবাদ অপরাধ সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিশ্বকাপ ফুটবল
অপরাধ

মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের শিকার দুই স্কুল শিক্ষার্থী

০৭ নভেম্বর, ২০২২

মোঃ শামীম হোসাইন,
সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার

ছবি: শালিসে বিচাররত অবস্থায় অভিযুক্তরা

পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলাধীন ৬নং ডাকুয়া ইউনিয়ন এর বাংলাবাজারে পান চুরির মিথ্যা অপবাদে দুই শিক্ষার্থীকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে।স্থানীয় ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জামাল মোল্লা (৪৬) এর নেতৃত্বে শনিবার বিকালে ডাকুয়ার বাংলাবাজারে শালিস বসিয়ে  ঐ দুই শিক্ষার্থীকে মারধর ও নির্যাতন করেন।এ ঘটনা জানাজানি হলে, এলাকাবাসি অভিযুক্তদের শাস্তি দাবি করেন।নির্যাতনের শিকার একই এলাকার মোঃ রফিকের ছেলে তরিকুল (১৫) সরকারি টেক্সটাইল কলেজের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী  ও মোঃ রাজ্জাক হাওলাদারের ছেলে রুম্মান (১৪) গলাচিপা পূর্ব  আটখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় মারধরের পর আহত দুই শিক্ষার্থীকে এলাকাবাসির সহায়তায় পরিবার উদ্ধার করে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীদের পরিবার জানায় জামাল মোল্লা তার দলীয় প্রভাবের কারনে এলাকার জনপ্রতিনিধিদের তোয়াক্কা না করে,তার ক্ষমতা বলে তার সঙ্গীয় বাহিনী নিয়ে এলাকায় প্রভাব খাটিয়ে, যে কোন ঘটনার শালিস বিচার করেন।এরই ধারাবাহিকতায় গত শনিবার ঐ এলাকার ননিবালা নামে এক পান চাষির পান চুরির অপরাধে ঐ দুই শিক্ষার্থীকে অভিযুক্ত করে ডাকুয়া ইউনিয়নের বাংলাবাজারে শালিস বসায়।এ সময় তাদেরকে লাঠি, বাঁশ দিয়ে জামাল মোল্লার নেতৃত্বে আলমাস মোল্লা, কামাল মোল্লা ও সোহেল প্যাদা বেধড়ক মারধর ও নির্যাতন করেন।জোরপূর্বক চুরির স্বীকারোক্তি আদায় করে এবং ফোনে পরিবারের কাছে ৩০ হাজার টাকা দাবি করেন।পরে শালিসিতে স্থানীয় ইউপি সদস্য হাজির হলে তিনি উল্টো জামাল মোল্লার পক্ষ নিয়ে ঐ দুই শিক্ষার্থীর উপর চড়াও হন এবং সাদা কাগজে মুচলেকা রেখে পরিবারেন কাছে তুলে দেন। পরে ঐ দুই শিক্ষার্থী জানায়, আমরা কোন পান চুরি করি নাই। আমাদেন বাবা-মা আমাদের এমন শিক্ষা দেয়নি যে পান চুরি করতে যাব।মারধরের শিকার এক শিক্ষার্থীর বাবা মোঃ রফিক বলেন আমি কাজে ছিলাম এমন সময় জামাল মোল্লা আমাকে ফোন করে বলে আপনার ছেলেকে পান সহ ধরছি। আমি তাদের অপেক্ষা করতে বলা সত্যেও তারা মারধর করে। আমার ছেলে কোন চুরির সাথে জড়িত ছিল না, তারা আমার ছেলেকে মিথ্যা অপবাদে মারধর করছে।মারধরের পরে ছেলে অসুস্থ হয়ে পরে তাই তাকে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করি। এলাকাবাসীর কাছে ঐ দুই শিক্ষার্থী সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা বলেন তারা অনেক ভাল ছেলে তাদের সম্পর্কে এলাকায় কোন প্রকার বদনাম নাই। তার পরে ও তাদের কে কেন মারধর করল আমরা এর সুষ্ঠ বিচার চাই।স্হানীয় ইউপি সদস্য জাকির খান বলেন, সালিসে আমি উপস্থিত ছিলাম না। শালিসের শেষে আমি গিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে তুলে দেই। কোন ধরনের মুচলেকা রাখা হয় নাই। অভিযুক্ত জামাল মোল্লা বলেন, এক চাষীর পান চুরির অভিযোগে স্হানীয় অনেক লোকের উপস্হিতিতে বিচার করা হয়েছে। তাদের কোন মারধর ও নির্যাতন করা হয়নি। তবে স্হানীয় পান চাষি ননিবালা বলেন, তিনি কোন অভিযোগ করেননি এবং তার পান চুরি হয়নি।

Related Article