২৯ এপ্রিল, ২০২৩
ছবি: কালিনগর গ্রামে জমি সংক্রান্ত জের ধরে বাড়ি-ঘর ভাংচুর ও গুরুতর জখম
নওগাঁ মান্দায় কালিকাপুর ইউনিয়নের কালিনগর গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে বাড়ি-ঘর ভাংচুর ও গুরুতর জখম করে প্রতিপক্ষের লোকজন ফেলে রেখে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাটি গত ২৬/০৪/২৩ইং তারিখে সন্ধ্যা বেলা দল বেধে এসে অতর্কিত হামলা করে,বাড়ি-ঘর ভাংচুর করতে থাকে, বাধা দিলে তাদের উপর চলে পাশবিক নির্যাতন এক সময় মৃত ভেবে ফেলে চলে যায় হামলাকারীরা। তাদের কে নিকটাত্মীয়া উদ্ধারের চেষ্টা করলে তাদেরকেও বাধা প্রদান করে হামলাকারীরা।
নিরুপায় হয়ে ৯৯৯ রিং দিলে মান্দা থানা পুলিশ এস আই আমিনুলের নেতৃত্বে সঙ্গী য় ফোর্স তাদের উদ্ধার করে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে অবস্থা গুরুতর জখমের কারনে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রেরন করেন।
এব্যাপারে মান্দা থানায় একটি মামলা হয়েছে। মামলা সূত্রে জানা যায়, ১। মোঃ বাবুল শাহ (৪৫), ২। মোঃ আঃ রাজ্জাক শাহ (৪৯), ৩। মোঃ রেজাউল ইসলাম যে রেজু (৩৫), সর্বপিতা-মোঃ বিরাজ উদ্দীন শাহ, ৪। মোঃ সাদেক হোসেন (৩২), পিতা-মোঃ আঃ সামান, ৫। মোঃ কেরামত আলী (৩৪), ৬। মোঃ কায়েম উদ্দীন (২৭), উভয় পিতা- মোঃ আঃ গফুর শাহ, ৭। মোঃ মভির রহমান (২৮), পিতা-মোঃ আজিজুল হক ৮। মেঃ আনসার শাহ (ক) ৯। মোঃ মোকতার শাহ (৫৮) উজর পিতা-মৃত: যুগের সাধা দেওয়ান ১০। মোঃ মানিক হোসেন (২৫), পিতা-মোঃ আনাসার শহ, ১১। মোঃ রকেট শাহ (৩০), মোঃ মোকছার আলী, ১২। মোঃ শাহাদত হোসেন (৩২), পিতা-মে: রিয়াজ উদ্দীন শাহ, সর্বসাং- কালীনগর, থানা-মান্দা, জেলা- আসামীদের সহিত বাদীর৷ কোন বিরোধ ছিলোনা।জমিজমা নিয়ে সাইদুর মেম্বারের সাথে বিরোধ চলছিল।ঘর নির্মান করার জন্য বাদী প্রস্তুতি নেওয়ার সাইদুর মেম্বারের পক্ষে আসামী গন অতি উৎসাহী হয়ে এ হামলা চালায়।
উপরোক্ত আসামীগণ হাতে বাঁশের লাঠি, হাসুয়া, কোদাল ইত্যাদি নিয়া দলবদ্ধ হইয়া আলতাফুন্নেছা বেগম (৪৮), স্বামী মোঃ বাছের আলীর বাড়ী ও ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর করিয়া অনুমান ২,৫০,০০০/- (দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা চলে যাওয়ার সময়ে বাধা দিলে ২নং আসামীর হুকুমে ১নং আসামী তাহার হাতে থাকা হাসুয়া দিয়া আলতাফুন্নেছা বেগমকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথার মাঝখানে কোপ মারিয়া গুরুতর কাটা রক্তাক্ত জখম করে।
এবং আনোয়ারা বেগম (৪৫), বেগমের গলায় থাকা ১২ আনা গুনের সোনার চেইন, মূল্য ৬০,০০০/- টাকা টান মারিয়া ছিড়িয়া নেয়। ২নং আসামী তাহার হাতে থাকা হাসুয়া দিয়া আনোয়ারা বেগমকে হত্যার উদ্দেশ্যে কপালের বাম পাশে কোপ মারিয়া গুরুতর কাটা রক্তাক্ত জখম করে।
৫,৬১১ ও ১২ নং আসামীগণ তাহাদের হাতে থাকা বাঁশের লাঠি দিয়া আনোয়ারা বেগমকে এলোপাথারীভাবে মারপিট করিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফোলা জখম করে।
৩নং আসামী তাহার হাতে থাকা লোহার শাবল দিয়া আনোয়ারা হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় আঘাত করিলে আঘাতটি ঠেকাইলে বাম হাতের কব্জির উপর লাগিয়া গুরুতর হাড়ভাঙ্গা জখম হয়।
৪নং আসামী তাহার হাতে থাকা লোহার শাবল দিয়া আনোয়ারা বেগম এর বাম পায়ে আঘাত করিয়া গুরুতর হাড়ভাঙ্গা জখম করে। ১,২ ও ৩নং আসামীগণ ঘরে থাকা সোকেচের ড্রয়ার বাক্সের মধ্যে রক্ষিত মোট ১২,২০,০০০/- (বার লক্ষ বিশ হাজার) টাকা চুরি করিয়া নেয়। তাহাদের ডাক চিৎকারে ১। মোঃ ওয়াজেদ আলী (৬০), ২। মোঃ শহিদুল ইসলাম (৫০), উভয় পিতা-মৃত অহির উদ্দীন ৩। মোছাঃ জোসনা বেগম (৩৫), স্বামী- মোঃ মোস্তফা, সর্বসাং-কালীনগর, থানা- মান্দা, জেলা-নওগাঁসহ আরো অনেকে আগাইয়া গেলে আসামীগণ তাহাদের বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও প্রাণ নাশের হুমকী প্রদান করিয়া ঘটনাস্থল হইতে চলিয়া যায়।
সাইদুরের সাথে কথা হলে তিনি জানান,আমি ঘটনার সময় বাহিরে ছিলাম। আমি কিছু বলতে পারবোনা।তার নির্দেশে হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন আমি কাউকে হুকুম দেইনি পারার মানুষের রাস্তা বন্ধ করে ঘর করার প্রস্তুতি নেওয়াই পারার সকল লোকবাধা দিতে যেতে পারে।
মান্দা থানা অফিসার ইনচার্জ ভারপ্রাপ্ত ওসি তদন্ত মেহেদি হাসান জানান,বিষয়টি অবগত হয়ে দ্রুত অফিসার পাঠিয়ে তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। এবং মামলা গ্রহন করে আসামি ধরার চেষ্টা চলছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামিদেরকে গ্রেফতার করা হবে।
এদিকে আসামীদেন গ্রেফতার না করাই পুরো পরিবার আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।