১৫ Jun ২০২৫
হোম স্বাস্থ্য সারাদেশ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি ও বাণিজ্য খেলাধুলা বিনোদন আন্তর্জাতিক ধর্ম ও জীবন লাইফ স্টাইল শিক্ষা প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান পরিবেশ চাকরি বা ক্যারিয়ার মতামত আইন-আদালত কৃষি ও প্রযুক্তি বিশেষ সংবাদ অপরাধ সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিশ্বকাপ ফুটবল
অপরাধ

নওগাঁর মান্দায় তরমুজ চুরি, গাছ কর্তন ও মারধরের থানায় অভিযোগ

১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

ছবি: তরমুজ ফল ও গাছের ক্ষয়ক্ষতি

নওগাঁর মান্দায় মারধর ও রাতের আধাঁরে ৫০-৬০ টি তরমুজ এবং গাছ কর্তনের দায়ে থানায় অভিযোগ  করেছেন এক কৃষক। সে উপজেলার ভারশোঁ  ইউনিয়নের পাকুড়িয়া
(ঝাকাপাড়া) গ্রামের মোঃ ওয়াজেদ আলী।

শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) মান্দা উপজেলায় পাকুড়িয়া (ঝাকাপাড়া) গ্রামে রাতে এ চুরির ঘটনা ঘটে। এতে ওই কৃষকের প্রায় ৪০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ভারশোঁ  ইউনিয়নের পাকুড়িয়া গ্রামের মোঃ ওয়াজেদ আলীর ১ বিঘা জমির ফলন্ত  তরমুজ চুরি, মারধর ও গাছ উপড়ে ফেলার অভিযোগে সোমবার (১১সেপ্টম্বর ) রাতে একই গ্রামের মোঃ ফিরোজ এবং তার পিতাঃ মোঃ আমজাদ হোসেন (চৌকিদার)  দু-জনের নাম দেখিয়ে বাদী হয়ে কৃষক মোঃ ওয়াজেদ আলী মান্দা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

এছাড়া চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার (১১সেপ্টম্বর) রাত ৯ঃ ৩০ মিনিটে পাকুড়িয়া শহীদ বাজার জনৈক মুক্তার এর মুদিখানা দোকানের সামনে বিবাদীদ্বয় মোঃ ফিরোজ এবং তার পিতা মোঃ আমজাদ (চৌকিদার) পথরোধ করে হঠাৎ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত ভাবে কৃষক মোঃ ওয়াজেদ আলীকে এলোপাতাড়ি ভাবে কিলঘুষি মেরে পালিয়ে যায়। এসম অস্ত্রের আঘাতে ডান চোখের উপরে গুরুতর আঘাত লেগে রক্তক্ষরণ হওয়ায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জুরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন।

পরে বিবাদীদ্বয় ওইদিন রাতে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে তরমুজসহ পাটল গাছ উপড়ে ফেলে। এতে ৪০ হাজার  টাকার ক্ষয় ক্ষতি হয়।

প্রতিপক্ষ মোঃ ফিরোজ বলেন, আমাকে যে চুরির অপবাদ দিয়েছে তা মিথ্যা, বানোায়াট এর কোন ভিত্তি নেই। আমি কোন তরমুজ চুরি ও গাছ কাটার বিষয়ে কিছুই জানি না।  সোমাবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাতে ৯ টার সময় আমি ও আমার বাবার সঙ্গে জমিতে মেশিন দিয়ে ধান কাটা শেষ করে পাকুড়িয়ার শহীদ বাজারে আসি। এসময় কৃষক মোঃ ওয়াজেদ আলী, মুক্তার এর মুদিখানা দোকানের সামনে হঠাৎ অতর্কিত ভাবে আমাদেরকে কিলঘুষি এবং ইট দিয়ে আমার বাবাকে আঘাত করে। এসময় গুরুতর আঘাতে ডান চোখের নিচে রক্তক্ষরণ হয় এবং পরে বাসায় নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দিই।

এ ব্যাপারে মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মোজাম্মেল হক কাজী বললেন, থানায় দুপক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তারা  যদি নিজেদের মধ্য সমস্যা সমাধানে না আসে। তাহলে তাদের প্রতি বিস্তারিত জেনে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Related Article