২২ অগাস্ট, ২০২৫
ছবি: ফাইল ফটো
ঝিনাইদহ শহরের প্রাণকেন্দ্র বেপারী পাড়ার এক গর্বিত সন্তান সাব্বির আহমেদ জুয়েল। এক চিরতরুণ, উদ্যমী ও সমাজসচেতন যুবক হিসেবে তিনি পরিচিত সবার কাছে। তাঁর জীবনচর্যা ও পথচলা অনেক তরুণের জন্য প্রেরণার উৎস হয়ে উঠেছে।
শিক্ষাজীবনে তিনি ছিলেন মেধাবী ও পরিশ্রমী। ঝিনাইদহ আল-হেরা হাই স্কুল থেকে এসএসসি ও সরকারি কে সি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করার পর ভর্তি হন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানে মনোবিজ্ঞান বিভাগ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেন তিনি। বর্তমানে পেশাদার মনোবিজ্ঞানী হিসেবে কাজ করছেন, তবে তাঁর মূল পরিচয় মানবিকতার অঙ্গনে।
ছোটবেলা থেকেই জুয়েল ছিলেন দুরন্ত, কৌতূহলী ও সাহসী। নতুন কিছু করার নেশায় ছুটে বেড়ানোই ছিল তাঁর স্বভাব। ছাত্রজীবনে প্রতিষ্ঠা করেন “রুটস সাইন্স ক্লাব”। বৈজ্ঞানিক কৌতূহল ও আবিষ্কারের প্রতি ভালোবাসারই ছিল এর ভিত্তি। সেই উদ্যোগ আজও প্রমাণ করে তিনি ছিলেন সৃজনশীল চিন্তা ও ইতিবাচক কর্মযজ্ঞের অগ্রপথিক।
সমাজসেবায়ও তাঁর অবদান অসামান্য। অসুস্থ মানুষের চিকিৎসা খরচ জোগাড় করা, দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানো কিংবা করোনাকালীন মহাদুর্যোগে ঝুঁকি নিয়ে অসহায়দের সহায়তা করা—এসব কাজের মাধ্যমে তিনি হয়ে উঠেছেন সবার প্রিয় ‘জুয়েল ভাই’। এলাকায় বিপদ-আপদে মানুষের প্রথম আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছেন তিনি।
পরিবারের শেকড়ও শিক্ষার আলোয় আলোকিত। তিনি ঝিনাইদহ আল-হেরা হাই স্কুলের সহকারী শিক্ষক (অব.) গোলাম হাবীবে রসুলের বড় সন্তান। বাবার শিক্ষার আদর্শ আর মায়ের স্নেহের লালনে বেড়ে ওঠা জুয়েল আজ সমাজের জন্য এক অনন্য দৃষ্টান্ত।
সাব্বির আহমেদ জুয়েল শুধু নিজের স্বপ্ন নয়, আশেপাশের মানুষের স্বপ্নকেও বাঁচিয়ে রাখার নাম। তাঁর পথচলা হোক আরও সুন্দর, আলোকিত এবং আশীর্বাদে ভরা—এমনটাই প্রত্যাশা ঝিনাইদহবাসীর।