১৫ Jun ২০২৫
হোম স্বাস্থ্য সারাদেশ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি ও বাণিজ্য খেলাধুলা বিনোদন আন্তর্জাতিক ধর্ম ও জীবন লাইফ স্টাইল শিক্ষা প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান পরিবেশ চাকরি বা ক্যারিয়ার মতামত আইন-আদালত কৃষি ও প্রযুক্তি বিশেষ সংবাদ অপরাধ সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিশ্বকাপ ফুটবল
অপরাধ

শেরপুরে বৃদ্ধ দম্পতির মরদেহ উদ্ধার

২৮ মার্চ, ২০২৩

তৌহিদুর রহমান,
শেরপুর জেলা (শেরপুর) প্রতিনিধি

ছবি:

শেরপুর সদরে  বসতঘর থেকে বৃদ্ধ স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে সদর থানা পুলিশ। 

আজ ২৮ মার্চ  মঙ্গলবার দুপুরে সদর উপজেলার বলাইয়েরচর ইউনিয়নের ফকিরগঞ্জ গ্রাম থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহতরা হলেন, ওই গ্রামের মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে মো: শামসুল হক (৮৫) ও তার স্ত্রী  ছায়েরা বেগম (৭৮)। মৃত শামসুল হক এক ছেলে ও দুই মেয়ের জনক ছিলেন।

এদিকে পুলিশের ধারণা, পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রীকে হত্যার পর নিজে বিষপানে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন শামছুল হক।

নিহতদের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সোমবার রাতে শামছুল হক ও তার স্ত্রী ছায়েরা বেগমের নিজ ঘরে ঘুমাতে যান। পরদিন মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে তাদের নাতি মো. সাদিকুল (১২) ডাকাডাকি করলে দরজা না খোলায় পরিবারের সদস্যরা দরজার ফাঁক দিয়ে ঘরে ঢুকে তাঁদের লাশ দেখতে পায়। পরে খবর পেয়ে  সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

নিহতের ছেলে মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, বৃদ্ধ শামসুল হক পারিবারিক কলহের কারণে কিছুদিন থেকে মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। স্ত্রী ছায়েরা বেগমের সঙ্গে তাঁর ঝগড়াঝাঁটি লেগেই থাকত। এ নিয়ে গত দুই মাস আগে বাপের বাড়ি চলে যায় ছয়েরা বেগম। এরপর গত এক সপ্তাহ আগে তিনি স্বামীর বাড়ি ফিরে আসেন।  আসার পর থেকেই আবারও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ফের ঝগড়া শুরু হয়।

রফিকুল ইসলাম আরও বলেন, ‘বাবা মাঝেমধ্যেই মাকে মারধর করতেন। বাবাকে ডাক্তারের কাছে নিতে চাইলেও যেতেন না। কাল বাবা বলছে, রাতে আমি জীবন চিল্লায় চলে যাব। আমি মরলে আমার বাবার পাশে আমারে কবর দিস।’


সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল জানান, নিহত শামছুলের মুখে বিষের গন্ধ পাওয়া গেছে। আর ছায়েরা বেগমের কানের ভেতর রক্ত দেখা গেছে। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, স্ত্রীকে হত্যার পর বৃদ্ধ শামছুল হক বিষপানে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজুর প্রক্রিয়া চলছে।

শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক  বলেন, ‘নিহত স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়াঝাঁটি ও মনোমালিন্য ছিল বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় আপাতত অপমৃত্যুর মামলা নেওয়া হচ্ছে। মরদেহের ময়না তদন্তের রিপোর্ট ও তদন্তের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Related Article