১৫ Jun ২০২৫
হোম স্বাস্থ্য সারাদেশ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি ও বাণিজ্য খেলাধুলা বিনোদন আন্তর্জাতিক ধর্ম ও জীবন লাইফ স্টাইল শিক্ষা প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান পরিবেশ চাকরি বা ক্যারিয়ার মতামত আইন-আদালত কৃষি ও প্রযুক্তি বিশেষ সংবাদ অপরাধ সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিশ্বকাপ ফুটবল
অপরাধ

ভোলাহাটে মুদিখানা দোকানে আগুন, দোকান সম্পূর্ণ ভস্মিভূত

১৩ ডিসেম্বর, ২০২২

মোঃ শরিফুল ইসলাম (শরীফ),
ভোলাহাট উপজেলা (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধি

ছবি: আগুন লাগিয়ে দোকানের ভস্মীভূত করার দৃশ্য

চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটে একটি মুদিখানা দোকানে গভীর রাতে কে-বা কারা আবারো আগুন লাগিয়ে সম্পূর্ণ ভস্মীভূত করেছে বলে প্রত্যক্ষ করা গেছে। সরজমিন ও থানা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার দলদলী ইউনিয়নের বারইপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন রাস্তার ধারে থাকা একটি টিন-কাঠের মুদিখানা দোকান রোববার দিবাগত রাত প্রায় পৌনে ১টার দিকে কে-বা কারা আবারো আগুন লাগিয়ে সম্পূর্ণ ভস্মীভূত করেছে। দোকান মালিক উপজেলার বারই পড়া গ্রামের মৃত গুলোর মন্ডলের ছেলে মোঃ নাসির হোসেন(৩৬)জানায়, প্রতিদিনের ন্যায় আমি রাত প্রায় ৯টার দিকে দোকান বন্ধ করে বাড়ী চলে গিয়ে খাওয়া শেষে ঘুমিয়ে পড়ি। ঐ রাতেই প্রায় পৌনে ১টার দিকে স্থানীয় সুলতান নামক ব্যক্তির মুখে আমার দোকানে আগুন লাগার কথা জানতে পেরে দোকানে গিয়ে দেখি, দোকান আগুনে সম্পূর্ণ ভস্মীভূত করেছে কে-বা কারা বলে কান্নায় জড়িয়ে পড়েন নাসির, নাসিরের মা ও বউ। তিনি আরো বলেন, দোকান আমি অতি কষ্টে এবং আমার প্রতিবেশীদের আর্থিক সহায়তায় ছোট্ট করে আবারো চালু করি দোকানটি। কোনমতে জোড়াতালি দিয়ে দোকানের আয় থেকে অতি কষ্টে মা, বউ ও ছেলেমেয়ে নিয়ে দিনাতিপাত করছিলাম। এরই মধ্যে আবারো আমার দোকানটি পুড়িয়ে দেয় শত্রুরা। আমি এখন কি করবো জানি না। এ নিয়ে আমার দোকানটি দু'দু'বার আগুনে সম্পূর্ণ পুড়িয়ে ভস্মীভূত করলো। আমি নিজেই আগের দোকানের জন্য চেয়ারম্যান, মেম্বার, থানা-পুলিশ করেও এখন পর্যন্ত কোন দান-প্রতিদান পায়নি। আবার নুতন করে গড়া দোকানটিতে ফের আগুন লাগিয়ে ছাই করে দিলো শত্রুরা। এখন আমার এ নুতন দোকানটি করাতে ৩০ হাজার টাকা ঋন নিয়েছি, আগের দোকান করতে ঋন করেছিলাম ৫০ হাজার টাকা। এই টাকাগুলো কিভাবে পরিশোধ করবো বলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়লো নাসির। উল্লেখ্য, গত দু'মাস পূর্বে ৫ অক্টোবর ২০২২ইং তারিখে একই কৌশলে আগুন লাগিয়ে আগের দোকানটি পুড়িয়ে ভস্মীভূত করে নাসিরের শত্রুরা। যার ক্ষয়ক্ষতির পরিমান ছিলো প্রায় দেড় লাখ টাকা। নাসির আরো বলে, এনজিও আশা'তে ৫০হাজার টাকা ঋন নিয়ে আগের দোকানটি চালিয়ে আসছিলাম। এ ঋন কিস্তির টাকা কিভাবে পরিশোধ করবো কোনো কুল-কিনারাহীণ পায় না। সরকারের কাছে আকুল মিনতি, আমাকে আর্থিকভাবে সহায়তা দেয়ার জন্য জোর দাবী জানাচ্ছি। এ ব্যাপারে ভোলাহাট থানায় লিখিতভাবে একটি অভিযোগ করা হয়েছে বলে জানান, থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ সেলিম রেজা। 

Related Article