২১ সেপ্টেম্বর, ২০২২
ছবি: ছবি: সংগৃহিত
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটে প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিনিয়র সাংবাদিক এম.এস.আই শরীফের মোটরসাইকেল ছিনতাই করলো তার পার্শ্ববর্তী প্রতিবেশী একই পরিবারের ৭/৮জনের একটি কুচক্রীদল। সে দলের মধ্যে গ্রুপলিডার তাহের, তার বউ, বেটি-বেটা ও বেটা বউরা। প্রেক্ষিতে থানায় দীর্ঘ সময় ব্যয় করেও সান্তনা দিয়েই ক্ষান্ত অফিসার ইনচার্জ মাহবুবুর রহমান।
ঘটনাটি ঘটেছে, উপজেলার দলদলী ইউনিয়নের মুশরীভূজা গ্রামে, গত সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে। পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে সাংবাদিক বাড়ীর বাইরে রাস্তায় আসলেই পুর্ব থেকে ওঁত পেতে থাকা ছিনতাইকারীর লিডার একই উপজেলার দলদলী ইউনিয়নের মুশরীভূজা গ্রামের (৭নং ওয়ার্ড) মৃত মোকবুল হোসেনের ছেলে তাহের আলী(৬৫), তার স্ত্রী রমিসা বেগম(৫৫), তাদের ছেলে জাহির(২৫), বাবুল মুয়াজ্জিন(২৩) ও এস্তাকুল(১৮)। এ ঘটনার অন্তরালের ছিনতাই কাজে সার্বিক সহায়তাকারী গোমস্তাপুর উপজেলার বাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের মৃত আলহাজ্ব গিয়াস উদ্দিনের ছেলে নজরুল হাজী(৭০)। ঘটনাস্থলেই হুকুমদাতা সারিদুল ইসলাম(৫৫), পিতা-মৃত হসি গাইচ্ছা ও সমির আলী(৪২), পিতা-মোঃ তোবজুল আলী, সর্বসাং-মুশরীভুজা, ভোলাহাটসহ ছিনতাইকারী গ্রুপলিডার তাহেরের ভাগ্নে সাংবাদিকের পথরোধ করে মোটরসাইকেল আটক করে প্রথমেই চাবি জোরপুর্বক ছিনিয়ে নেয়। পরে ছিনতাইকারীরা সকলেই একযোগে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ মোটরসাইকেল থেকে সাংবাদিককে টেনেহেচড়ে ধাক্কা দিয়ে ফেলে মোটরসাইকেল ও চাবি নিয়ে চলে যায়। উল্লেখ্য ঘটনার সময় উপস্থিত সকলেই ছিনতাইকারীসহ সবাইকে বলে সাংবাদিকের গাড়ী কেড়ে নেয়া হবে না, গাড়ী দিতে বললেও ঘটনাস্থলে শতাধিক মানুষজন থাকা সত্বেও কাউকেও তোয়াক্কা না করে সকলের সামনে গাড়ী নিয়ে চলে যায় তাহের ও দলের লোকেরা। এখানে আরো উল্লেখ্য যে। সাংবাদিক শরীফের স্ত্রীকেও ছিনতাইকারীরা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, ধাক্কাধাক্কি ও শ্লীলতাহানি করে বলে উপস্থিত সকলেই প্রত্যক্ষ করে। আরো উল্লেখ থাকে যে, এই তাহের ও তার বাহিনী নিয়ে গত পহেলা রমজানে অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে আওযামীলীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মরহুম আনিসুর রহমানের জানাজা থেকে আসার পথে ছিনতাইকারীর লিডারের বউ রমিসা বেগম সাংবাদিকের পথরোধ করে মোটরসাইকেলের চাবি ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হলে পরে তার পরিবারের সকলেই সাংবাদিকের বাড়ীতে প্রবেশ করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ সাংবাদিককে চড়-থাপ্পর মারতে উঠে এবং সাংবাদিকের স্ত্রীকেও শ্লীলতাহানি করে। এ ঘটনায় মোবাইলে থানা অফিসার ইনচার্জ মাহবুবুর রহমান এমরানের সাথে-০১৩২০-১২৫৬৭৩ নম্বরে যোগাযোগ করা হলে হলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরে সাংবাদিক সরাসরী তার সহকর্মী আলমগীরকে সাথে নিয়ে থানায় দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করার পর বাদ মাগরিব সে (ওসি) তার অফিসে আসেন। ওসি সাংবাদিক শরীফের একটু সৌজন্য আচরণ না করেই, সান্তনামুলক কথা দিয়ে বলেন, চেয়ারম্যানের সাথে আমার কথা হয়েছে, আপনি বাসায় ফিরে গাড়ী নিয়ে নিন। আর গাড়ী পাবার পর আমাকে একটি জিডি দিবেন। একথা বলেই বিদায় করেন সাংবাদিককে।