২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২
ছবি:
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটে সাংবাদিকের মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের ঘটনার ৫দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ বা সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি না দেয়ার কারণে সাংবাদিক পরিবার অনাহারে-অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছে।
সম্প্রতি গত ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২ ইং তারিখে সাংবাদিক এম.এস.আই শরীফ তার পেশাগত দায়িত্ব পালনে ঐদিন বিকেল সাড়ে ৪টায় তার বাড়ী হতে বাইরের রাস্তায় আসার সাথে সাথে পুর্ব হতে ওঁৎ পেতে থাকা কিছু সন্ত্রাসীর দল সশস্ত্র বাহিনী সাংবাদিকের পথরোধ করে। পরে তাকে নানান অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ সাংবাদিককে ধাক্কা দিয়ে জোড় পুর্বক চাবিসহ মোটরসাইকেল ছিনতাই করে। এরা হলো, একই উপজেলার মুশরীভূজা গ্রামের মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে তাহের আলী(৬৫), তার সন্ত্রাসী স্ত্রী রমিসা বেগম(৫৫), তাদের ছেলে-জাহির (২৭), বাবুল মুয়াজ্জিন(২২) ও এস্তাকুল(২০) এবং সন্ত্রাসীদের তাহেরের ভাগ্নে, গোমস্তাপুর থেকে ভাড়া করে আনা জৈনক মেয়ে-সোহাগী(১৯)সহ তারা অতর্কিত সাংবাদিকের উপর হামলা চালিয়ে নানা অস্ত্রের মুখে ভয়ভীতি দেখিয়ে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে করতে সাংবাদিককে গাড়ী থেকে নামাতে না পারায় এক পর্যায় তাকে জোড়ে ধাক্কা দিয়ে মোটরসাইকেল ও চাবিসহ নিয়ে চলে যায়। এ সময় শতাধিক মানুষ উপস্থিত থাকলেও দু'একজন বাঁধাপ্রদাণ করলেও সকলেই নিরাবতা পালন করে ঘটনাটির তামাশা দেখে, ছিনতাইকারীদের কোনপ্রকার বাঁধা দেয়নি।
এ অবস্থায় ভোলাহাট থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুবুর রহমান এমরানকে তার মোবাইলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরে সাংবাদিক তার সহকর্মী আলমগীরকে সাথে নিয়ে তাৎক্ষনিক থানায় গেলে তিনি (ওসি) ঘুমিয়ে থাকায় তাকে বিরক্ত না করে তাকে সে-ই বাদ মাগরিব অফিসে সাক্ষাৎ করতে গেলে, তিনি মনে হলো এ ঘটনা তিনি পুর্বে থেকেই জানেন। তাই তিনি সাংবাদিককে শান্তনার বানী বললেন, চেয়ারম্যানের সাথে আমার কথা হয়েছে। তার সাথে দেখা করে গাড়ীটা হাতে করেন। আর এক সময় আমাকে এ ব্যাপারে একটি জিডি কপি দিবেন, আমি ব্যবস্থা নিবো বলেই সাংবাদিককে পাঠিয়ে দেন। তাহলে একজন স্বাধীন নাগরিক স্বাধীন দেশে চরাচল করাও বন্ধ করে দিতে ওসির কথা অনুযায়ী। কারণ, সাংবাদিককে যেভাবে তার গাড়ী থেকে টেনে হেচড়ে নামিয়ে, জোড়পুর্বক চাবি কেড়ে নিয়ে সাংবাদিককে গলা ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দিলো সন্ত্রাসীরা। আর এর জন্য থানায় জিডি বা মামলা দিতে গেলে ওসি সাহেব কোনটাই রিসিভ না করে শান্তনার বানী দিয়ে যদি পাঠিয়ে দেন, একজন সাংবািদককে। তাহলে একজন সাধারণ পাবলিক গেলে তো তার স্থানই থানায় বা পুলিশ-প্রশাসনের কাছে।
প্রত্যক্ষ করা গেছে, ভোলাহাট থানায় বাহির থেকে কোন সাংবাদিক আসলে তাকে তাদের চা-চক্র থেকে শুরু করে বিদায়ের সময় সাংবাদিকদের হাতে ভাল একটা নজরানা গুঁজে দেন ওসি।
সেখানে আমাদের ভোলাহাট থানার একজন সিনিয়র সাংবাদিক যার বয়সের সাথে তুলনা করলে ওসি বরং অনেক ছোট হবেন এবং ভোলাহাট উপজেলার সকল সাংবাদিকদের চেয়ে অনেক অনেক বয়সে বড়। বলতে বাঁধা নেই, যখন কোন সাংবাদিক (যার দ্বারায় উপকার হবে) তার দরবারে গেলে কত আদর-আপ্যায়ন আর পকেটে টু-পাইস ভরে দেয়া এগুলো চলছে দেদারসে। এতে কারো কোন মাথা নেই। চলছে থানায় বিচার-শালিসের মালিশ। বাদীর কাছেও টাকা আদায়, বিবাদীর কাছেও টাকা আদায়, এতো হলো নিত্যনিদের কাজ যা প্রতিদিনই প্রত্যক্ষ করা গেছে। আর এদের সাথে জড়িয়ে রয়েছে, দলীয় নেতাকর্মীরাও। যার সাহসেই থানা-পুলিশ এ বিচার কার্জের কাজটা করতে অদম্য সাহস পেয়েছে, যার দরুন চালিয়ে চলেছে প্রতিদিনই এ ধরনের কারবার।
যাইহোক, সাংবাদিক শরীফের ক্ষেত্রেও তাই ঘটেছে। কারণ, এ বিচারে (সাংবাদিকের) কোন মাথা ভরে লাভালাভ নেই। তাই যেনোতেনো করে সাংবাদিককে বিদায় দেয়া। আমাদের গাঁইয়া ভাষায় একটা কথায় বলে তেলীর মাথায় তেল সবাই ঢালে। আসলে সাংবাদিক শরীফের কাছে তো থানা-পুলিশ নগদ নারায়ণ পাবে না তো। তাই দু'টা মিষ্টি মিষ্টি কথা শুনিয়ে বিদায় দেয়া যায়। কিন্তু ঐ মুহুর্তে এ ধরনের ঘটনা নিয়ে কোনো হোমড়া-চোমড়ার দল বা টাকাওয়ালাদের মধ্যে কেউ আসতো, তাহলে ওসি কেনো, থানার সকলে বড় গাড়ী নিয়ে সুব্যবস্থা করতো। কথাগুলো বলছি, আমি নিজেই ভুক্তভোগী এবং সেই হতভাগা গরীব-অসহায় মোঃ শরিফুল ইসলকম শরীফ। যার পরিচয়টুকুই আছে, যে সে একজন প্রকৃত সৎ নিষ্ঠাবান ন্যায়-পরায়ণ ধার্মিক সাংবাদিক। তাকে কে সহায়তা করবে। তাকে সহায়তা করার মত মহান আল্লাহ্ আছেন। মহান আল্লাহর কাছে বিচার দিয়েছি, হে আল্লাহ্ তুমি এর ন্যায্য বিচার করো। কারণ, এ ঘটনায় শুধু আমি একাই হ্যাস্ত-ন্যাস্ত হয়নি, আমার সাথে আমার স্ত্রীকেও তাহেরের একটা মুয়াজ্জিন বেটা রয়েছে, সে বলে আমার স্ত্রীকে হাতে লাঠি নিয়ে, এ লাঠি তোর ই….. মধ্যে ঢুকাবো। এমনকি মানুষের মধ্যে আমার স্ত্রীকে শ্লীলতাহানি করতেও তারা ছাড়েনি। আর প্রতিদিনের অর্থাৎ ঘটনার দিন হতে অদ্যাবধি নেক্কারজনক অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ঐ পরিবারের সকলেরই।