২৩ Jun, ২০২৫
ছবি: ছাতক জালালিয়া ফাজিল মাদ্রাসা কামিল শ্রেনিতে উন্নিত হওয়ায় ছাত্র -ছাত্রীদের মধ্যে আনন্দের বন্যা।
ছাতক জালালিয়া ফাজিল মাদ্রাসা কামিলে উন্নিত হওয়ায় শিক্ষর্থীদের মধ্যে আনন্দের বন্যা।
সুনামগঞ্জের ছাতক জালালিয়া ফাজিল মাদ্রাসা কামিল শ্রেনীতে উন্নিত হওয়ায় মাদ্রাসার শিক্ষার্থী শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে বইছে আনন্দের বন্যা। শতাধিক বছর আগে ১৯২১ সালের পহেলা জানুয়ারি জরাজীর্ণ কুটিরে সল্প সংখ্যক ছাত্র -ছাত্রীদের নিয়ে দ্বীনি শিক্ষার প্রত্যয় নিয়ে এ প্রতিষ্টানটি যাত্রা শুরু করলও এর গুরুত্ব ছিল অপরিসীম। তৎকালীন সময়ে ছাতক -দোয়ারাবাজার ও কোম্পানি গঞ্জের মানুষের মধ্যে ইসলামি শিক্ষার প্রয়োজনিয়তা দেখা দেয় ব্যাপক ভাবে।
প্রতিষ্টানটির ফলাফল ভাল হতে থাকলে ১৯৯৮ সালের পহেলা জানুয়ারি দাখিল শ্রেনিতে উন্নিত হয় এবং ২০০২ সালের পহেলা জুলাই আলিম শ্রেনিতে উন্নিত হয়ে প্রতিষ্টানটির শিক্ষার মান আরও বাড়তে থাকলে ২০১৭ সালের পহেলা জুন ফাজিল শ্রেনির অনুমোদন লাভ করে। সর্বশেষ গত বছরের ১৪ মার্চ মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল আহাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ য় সংবিধির অনুচ্ছেদ ১৩ (গ) অনুযায়ী গঠিত পরিদর্শন কমিটির দাখিল কৃত প্রতিবেদনের আলোকে অনুচ্ছেদ ১৩( ঙ) মোতাবেক গত মে মাসের ২৯ তারিখ ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদ্রাসা পরিদর্শক (অতিরিক্ত দ্বায়িত্ব) মোঃ আইউব হোসেন সাক্ষরিত এক পত্রের মাধ্যমে কামিল (স্নাতকোত্তর) হাদিস বিভাগ প্রাথমিক পাঠদানের অনুমতি প্রদান করা হয়।
মাদ্রাসায় ২১ জন শিক্ষক ও ১১ শ ১ জন শিক্ষার্থী নিয়ে আরও ভাল ফলাফলের আশায় এগিয়ে যাচ্ছে। মাদ্রাসার ভূমিদাতা ও প্রতিষ্টাতা হাজী ফজল উদ্দিনের দৌহিত্র ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসুর সাবেক নাট্য বিষয়ক সম্পাদক বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ডা. আফসার উদ্দিন জানান ইসলামি শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে প্রতিষ্টানটি ক্রমেই এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা সকলেই এগিয়ে আসলে ধর্মীয় শিক্ষার প্রসার ঘটবে।ইসলামি শিক্ষা অর্জনে মানুষ আরও উৎসাহিত হবে। মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল আহাদ জানান মাদ্রাসাকে কামিল শ্রেনিতে উন্নিত করতে পুরু ছাতক বাসীর অবদান রয়েছে তাই আমি সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মাদ্রাসার অবকাঠামো উন্নয়নের দিকে নজর দেওয়ার আহবান জানাই।
Good news
Good