৩০ Jun, ২০২৫
ছবি: ছাতকে মরা চেলা নদী থেকে বালি উত্তোলন না করতে কয়েকটি গ্রামের মানুষের প্রতিবাদ
ছাতকে মরা চেলা নদী থেকে বালি উত্তোলন না করতে কয়েকটি গ্রামের মানুষের প্রতিবাদ।
সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের উপর দিয়ে বয়ে গেছে মরা চেলা নদী এ নদীর কাটুমারা এঙ্গেল টু নামক স্থানে কতিপয় বালি খেকো ব্যবসায়ীরা প্রতিদিন সন্ধ্যা হতে ভোর পর্যন্ত অবৈধ ভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালি উত্তোলন করায় হুমকির মুখে রয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ের আওতাধীন ছাতক হতে ভোলাগঞ্জ পর্যন্ত স্থাপন কৃত পাথর বহনকারী রোপওয়ে লাইন।সরেজমিনে দেখা গেছে এঙ্গেল টু নামক স্থানে রোপওয়ে লাইনের নিচ থেকে বালি উত্তোলন করায় রুপ ওয়ের ট্রেসেল বা টাওয়ারের নিচের অংশে মাটি বা বালি না থাকায় টাওয়ার গুলি হেলে পড়ে অরক্ষিত ভাবে পড়ে আছে। এলাকাটিকে দিঘিতে পরিনত করে ফেলেছে।
এ ছাড়া মরা চেলা নদীর তীরে আশ্রয়ন প্রকল্পের ভূমিহীন দের সরকারি ঘরে দশ টি পরিবার বসবাস করলেও তাদের ঘরের পাশ থেকে বালি উত্তোলন করায় তাঁরাও আতঙ্কের মধ্যে পরিবারের লোকজন দের নিয়ে হুমকির মধ্যে রয়েছে।
প্রভাবসালী বালি ব্যবসায়ীদের ভয়ে কেউ মূখ খুলে কথা বলতে পারছেন না। এখানে সন্ধ্যা হতে ভোর রাত পর্যন্ত বালি উত্তোলনের ফলে ড্রেজার মেশিনের শব্দ দূষণের কারণে কাটুমারা, ময়না দ্বীপ,মুজিব নগর ভূমি হীনদের ঘর,সিপাহি টিলা, মৌলভীর গাও,পাথারী পুর ও রহমত পুর গ্রামের মানুষ বয়স্ক ও শিশুদের নিয়ে নিরাপদে ঘুমাতে পারছেন না।
এসব গ্রামের লোকজন প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করলেও কোন কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না।স্থানীয়রা জানান এখান থেকে বালি উত্তোলন করে কয়েক কোটি টাকার বালি প্রতিদিন জাহাজ ও বাল্কহেড স্টিল নৌকা বুঝাই করে বিক্রি করলেও সরকার কোন ধরনের রাজস্ব পাচ্ছে না।
প্রভাব সালী ব্যবসায়ী বালি খেকোরা প্রায় ৫০ থেকে ৬০ ফুট গভীর করে ফেলায় টিলা রকম ভূমি এখন দিঘিতে পরিনত করে ফেলেছে। গাছ পালা কেটে সাবাড় করে চুরি করে বিক্রি করে রাতারাতি আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়ে গেছে অবৈধ বালি ব্যবসায়ীরা।
অবৈধ বালি ব্যবসায়ীদের বালি উত্তোলনের প্রতিবাদে নোয়াগাও, পাথারিপুর, জৈন্তাপুর, খাদিম নগর ও কোচবাড়ি গ্রামের ক্ষতিগ্রস্থ লোকজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ছাতক থানা অফিসার ইনচার্জ বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়ে সোমবার সকালে থানার সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। অবৈধ বালি উত্তোলনের ফলে মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল, ঈদগাহ ও রাস্তা ঘাট হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়বে।
আশ্রয়ন প্রকল্পের ভুমি হীনদের ঘরে বসবাস কারি মোহাম্মদ কামাল হোসেন জানান ঘরের নিচ থেকে বালি নেওয়ায় যে কোন মুহূর্তে আমার ঘর ধ্বসে পড়েযেতে পারে। আমি আতঙ্কের মধ্যে আছি। বাংলাদেশ রেলওয়ে রুপওয়ে বিভাগের আই ডব্লিউ আব্দুন নূর জানান আমাদের লোকবল সংকট থাকায় তদারকি হচ্ছে না।আমি কর্মী পাঠিয়ে বিষয়টি তদন্ত করছি।
সহকারী কমিশনার ভূমি আবু নাছির জানান এটা আমাদের নজরে এসেছে সরেজমিন তদন্ত করেছি। আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম জানান অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালি উত্তোলন করে জীববৈচিত্র্য ধ্বংস কারিদের ছাড় দেওয়া হবে না।
Good news
Good