০৩ অগাস্ট ২০২৫
হোম স্বাস্থ্য সারাদেশ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি ও বাণিজ্য খেলাধুলা বিনোদন আন্তর্জাতিক ধর্ম ও জীবন লাইফ স্টাইল শিক্ষা প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান পরিবেশ চাকরি বা ক্যারিয়ার মতামত আইন-আদালত কৃষি ও প্রযুক্তি বিশেষ সংবাদ অপরাধ সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিশ্বকাপ ফুটবল
বিশেষ সংবাদ

কিশোর গ্যাং' থেকে ফিরিয়ে আনতে মুখরিত খেলার মাঠের বিকল্প নেই'

১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২

,

ছবি:

'কিশোর গ্যাং' থেকে ফিরিয়ে আনতে মুখরিত খেলার মাঠের বিকল্প নেই।

এই বাংলায় নানা খেলার আধিপত্য ছিল।কালের গহবরে বাংলা'র ঐতিহ্যর ধারক বাংলার শিশু-কিশোরদের মজার খেলা -

 কানামাছি, বৌছি, হা-ডু-ডু, গোল্লাছুট, ঢাংগুলি, মারবেল, হাঁসধরা, রশিটানা, নারিকেল গাছের ডাল দিয়ে ক্রিকেট ও পাতা নিয়ে পাখা বানিয়ে উড়ানো, ওপেন টি বায়োস্কোপ, মল্লযুদ্ধ, লাঠিখেলা, দাঁড়িয়াবান্ধা, লুকোচুরি, মোরগ লড়াই,  কুতকুত, বিস্কুট খেলা, যেমন খুশি তেমন সাজ, পুতুলের বিয়ে, চড়ইভাতি, এলাডিং বেলাডিং ইত্যাদি খেলা আজ বিলুপ্তির পথে।

খেলার মাঠগুলোতে এলাকার নানান পেশার মানুষ মাঠের চারপাশে এসে এসব খেলা দেখত। 

সূর্য ডোবার আগে খেলা বন্ধ করে যে-যার মতো বাড়িতে চলে যেত।খেলার মাঠের অভাবে কিশোর-কিশোরী খেলার পরিবেশ পাচ্ছে না। 

ফলে, তাদের মেধার বিকাশ হচ্ছে না যথাযথভাবে। 

খেলাধুলার সুষ্ঠু পরিবেশ না থাকায় অনেকেই মোবাইল গেইমিংয়ে আসক্ত হয়ে যাচ্ছে। জড়িয়ে পড়ছে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে। মোবাইল ও টিভির পর্দায় সময় কাটাচ্ছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। 

বিভিন্ন প্রলোভনে পড়ে তৈরি হচ্ছে কিশোর গ্যাং'।   একটি জাতি বির্নিমানে খেলাধুলার গুরুত্ব অপরিসীম।খেলাধুলার মাধ্যমে শরীর, মন উভয়ই ভালো থাকে। খেলাধুলা কিশোরদের মনে হার মেনে নেওয়া সক্ষমতা শেখায়, প্রতিপক্ষের প্রতি সহিষ্ণু আচরণ করতে শেখায়। 

খেলায় জিতলে তাদের আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়,নেতৃত্বের গুণাবলির বিকাশ ঘটে, খেলায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার কৌশল ভবিষ্যতে কিশোরদের অনেক সাহায্য করে। 

কাজেই, খেলার মাঠ ধ্বংসের মাধ্যমে শিশু-কিশোদের জীবনের এই সোনালি সময়কে ধ্বংস করে আর এর ফল হচ্ছে কিশের গ্যাং।

নগরায়ণের কারণে খেলাধুলা করার মাঠগুলোর যে ক্ষতি হচ্ছে, তার নেতিবাচক প্রভাব কিশোর গ্যাং'। যেন আমাদের করার কিছুই নেই! 

আমরা কিশোর-কিশোরীদের একটি সুন্দর পরিবেশ দিতে পারলে আগামীর সমৃদ্ধ ও সোনার বাংলাদেশ গড়ার কারিগর হবে তারাই।

গ্যাং'কালচারের নামে সারা দেশে কিশোরদের একটি অংশ ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে।তারা পাড়া-মহল্লার প্রভাবশালী, মাস্তান বা বড় ভাইদের হয়ে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ছে।  পাড়া-মহল্লায় নারীদের উত্ত্যক্ত করে।

ঝুঁকিপূর্ণ বাইক ও কার রেসিং তাদের ‘ফ্যাশন’।

তুচ্ছ ঘটনায় মারামারি ও ঝগড়া ফ্যাসাদে জড়িয়ে পড়ছে এসব কিশোর। 

এতে করে খুনোখুনির ঘটনাও ঘটছে। 

‘ভার্চুয়াল’ জগতে ‘সিক্রেট গ্রুপ’ তৈরি করে এরা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করছে। 

সেখানে ভয়ঙ্কর ‘সিক্রেট মিশনের’ খুঁটিনাটি বিষয়ের পরিকল্পনা করছে। 

এসব কিশোর গ্যাংয়ে'র রয়েছে বাহারি সব নাম। স্থানীয় বড় ভাইদের আর্শিবাদপুষ্ট এসব কিশোরদের অত্যাচারে রাজধানী, বিভাগীয়, জেলা এমনকি উপজেলার বাসিন্দারাও অতিষ্ঠ। 

বিদ্যমান পরিস্থিতিতে কিশোর অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ সরকারের সংশ্লিষ্টরা। সারাদেশের কিশোর গ্যাংয়ে'র ডিজিটাল ডাটাবেজ তৈরি করছে পুলিশ। দেশজুড়ে বেপরোয়া কিশোর গ্যাংয়ে'র উৎপাত, উপদ্রব, অত্যাচার, নির্যাতন ক্রমবর্ধমান হয়ে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাচ্ছে। কিশোর গ্যাংয়ে'র অপরাধ বৃদ্ধির প্রবণতা উদ্বেগজনক। 

 কিশোর গ্যাং' গড়ে উঠছে গ্রামে-গঞ্জে, পাড়া-মহল্লায়, শহরে-বন্দরে, মাঠে-ঘাটে  সর্বত্র। 

সারাদেশের কিশোর গ্যাংয়ে'র তালিকা তৈরি করে চলমান অভিযানকে বিশেষ অভিযানে পরিণত করে কঠোরহস্তে দমন করবে পুলিশ। এরই অংশ হিসেবে ফেনী'র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) নাদিয়া ফারজানা কর্তৃক গৃহীত ভিন্নধর্মী  পদক্ষেপ গ্রহণ করায় তিনি জেলার মানুষের নজর কাড়তে সক্ষম হয়েছেন।

বর্তমানে কিশোর গ্যাংয়ে'র আতংকের নাম ফেনী'র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) নাদিয়া ফারজানা। 

গত ৮ মার্চ ২০২২ সালে নাদিয়া ফারাজানা ফেনী'র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) হিসেবে যোগদান করেন নাদিয়া ফারজানা। 

জেলার কিশোর গ্যাং কে নির্মূল করার জন্য একেবারে ভিন্নধর্মী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) নাদিয়া ফারজানা, গত ৫ সেপ্টেম্বর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের জনপ্রিয় মাধ্যম ফেসবুকের  নিজ ফেসবুক ওয়ালে এমনই স্ট্যাটাস দিয়েছেন-স্ট্যাটাসটি নিম্নরূপঃ

"আপনি জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ী, স্কুলের প্রধান শিক্ষক, কলেজের অধ্যক্ষ, প্রবাসী।

প্লিজ, সিসিটিভি ক্যামেরা লাগান, স্পন্সর করেন, উদ্বুদ্ধ করেন। 

সিসিটিভি ক্যামেরা এখন অনেক সহজলভ্য। জন্মদিনের গিফট অন্য কিছু না দিয়ে একটা সিসিটিভি ক্যামেরা দিন। 

গলির মুখে, আন্ডার কনস্ট্রাকশন বিল্ডিং কাভার করে, মেয়েদের স্কুলের রাস্তা কাভার করে, মাদরাসার সামনে, মন্দিরের চারপাশ কাভার করে সব জায়গায়"।

গত ২০ আগষ্ট  নিজ ফেসবুক ওয়ালে দ্বিতীয়  স্ট্যাটাস দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) নাদিয়া ফারজানা-

স্ট্যাটাসটি নিম্নরুপঃ

"স্কুলের সামনে মেয়েদের উত্ত্যক্ত করে পার পেয়ে যাবা ভাবার কোন কারণই নাই।

ওয়ার্নিং দিচ্ছি। ফেনীর পাঁচগাছিয়া'র ঘটনাটি নজরে আনা হয়েছে।আশা করি বাকিরা বুঝতে পেরেছে। 

গত ১৩ সেপ্টেম্বর নিজের ফেসবুক ওয়ালে তৃতীয়  স্ট্যাটাস দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) নাদিয়া ফারজানা- স্ট্যাটাসটি নিম্নরূপঃ

ডেটাবেস তৈরি হয়ে গেছে। পর্যায়ক্রমে ডেকে আনছি, কথা বলছি।  অভিভাবকদেরকেও ডেকে আনছি ও কথা বলছি।

ফেনী সদর ও বাকি সব উপজেলায় একই প্রক্রিয়া চলমান। প্রতিদিন বিশেষ অভিযানে নতুন নতুন নাম যুক্ত হচ্ছে। সকল নামই ভেরিফাইড কারণ শত্রুতা করে অন্য কারো মাধ্যমে নাম ঢুকে যাওয়ার ব্যাপার ঘটে নাই। প্রতিটি গ্যাং এর নাম এবং গ্যাং সদস্যদের  নাম এলাকা ঘুরে ঘুরে, কর্মকান্ড দেখে তারপর তৈরি হয়েছে এবং হচ্ছে। ঐযে বললাম, এটা চলমান প্রসেস।  যাদেরকে অবজারভেশনে রাখছি, তারা নিজেরাও জানো। প্রথমবার কাউন্সেলিং.......   ঠিক আছে,  করলাম। পরের বার তো কাউন্সেলিং হবে না। ডিবি টীম, অন্যান্য স্পেশাল টীমকে  বেলা ভাগ করে এলাকায় এলার্ট করে রাখছি। 

ফোন নাম্বার দেয়া আছে, টেক্সট পাঠালে এ্যাকশান নেয়া হচ্ছে। শান্ত হয়েছে যারা, সাধুবাদ জানাচ্ছি। বাকিরা শান্ত হয়ে যাও। যার যেখানে থাকার কথা, সেখানে থাকতে বলা হচ্ছে। তুমি যদি রাস্তার ছেলে না হও, তোমার নিশ্চয়ই একটা জায়গা আছে।

নিজ ফেসবুক ওয়ালে কিশোর গ্যাং'য়ের 

উদ্দেশ্যে দেওয়া তিনটি স্ট্যাটাস জনমনে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।

জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) নাদিয়া ফারজানা কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপ সমূহ নিম্নরূপঃ

 ১.কিশোর গ্যাং কে কোন অবস্হায় জনজীবন বিঘ্নিত হয় এমন কাজ কোনভাবেই করতে দেওয়া হবে না। 

২. কিশোর  গ্যাংয়ে'র উদ্দেশ্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপারে'র হুশিয়ারীঃ

কিশোর গ্যাংয়ে'র খবর পেলেই তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে আইনের আওতায় আনবে এবং পুলিশের অভিযান চলমান।

৩. কিশোর গ্যাং' সদস্যদের উদ্দেশ্য ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) নাদিয়া ফারাজানা'র বিশেষ ছাড় প্রস্তাব/সুযোগঃ

ডাটাবেজ একটি নিয়মিত প্রক্রিয়া। কিশোর গ্যাং' কালচার থেকে বেরিয়ে আসতে পারো এবং নিজেকে শুধরে নিলে সেক্ষেত্রে ইতিমধ্যে ডাটাবেজে অন্তর্ভুক্ত  তোমার নাম ডিলিট করে দেওয়া হবে; It's your choice.

৪. ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) নাদিয়া ফারাজানা অভিভাবকদের উদ্দেশ্য বলেন, অনেক সময় দেখা যায় সন্তান কি করে তা অনেক অভিভাবক জানেই না। 

অনেক সন্তান অভিভাবকদের কথাও শুনতে চায় না এই সব কারণে কিশোর গ্যাং' কালচারের সাথে জড়িতদের অভিভাবকদের ডেকে এনে বোঝানোর চেষ্টা করছেন তিনি।

৫.কিশোর গ্যাং' নির্মূলে জেলা পুলিশ বদ্ধপরিকরঃ

জেলা পুলিশ সূত্র জানায়, সাম্প্রতিক সময়ে পুলিশের উদ্যোগে কিশোর গ্যাং' ডাটাবেজ তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয় এবং এলাকাভিত্তিক এসব তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। কিশোর গ্যাং কালচার থেকে বেরিয়ে আসতে পারো এবং নিজেকে শুধরে নিলে সেক্ষেত্রে ইতিমধ্যে ডাটাবেজে অন্তর্ভুক্ত  তোমার নাম ডিলিট করে দেওয়া হবে। 

জেলার সদর থানা, ফুলগাজী থানা, পরশুরাম থানা, ছাগলনাইয়া থানা,সোনাগাজী থানা, দাগনভূঁঞা থানাসহ মোট ছয়'টি থানা ও নিজ নিজ এলাকায় বিট অফিসারদের এ বিষয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

 ফেনী'তে কিশোর গ্যাংয়ে'র নির্মম হত্যাকাণ্ডসহ জঘন্যতম অপরাধ সংঘটনের বিবরণ ও

কিশোর গ্যাং' নির্মূলে জেলা পুলিশের পদক্ষেপ নিম্নে উপস্থাপন করা হলোঃ

ফেনী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করে আসছিল বখাটেরা। ক’দিন আগে এক ছাত্রীকে পথশিশুদের দিয়ে হেনস্থা করা হয়। বিষয়টি জেনে, গত ২১ আগষ্ট স্কুলের মূল ফটকে অভিযান চালায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।

ফেনী সরকারি কলেজে প্রবেশ-বের হওয়ার সময় ছাত্রীদের সাথে এমন ঘটনা চোখে পড়ে প্রায়ই। কোর্ট-বিল্ডিংয়ের অতি নিকটের একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়েও শিক্ষার্থীদের আসা-যাওয়ার পথে এমন নোংরা দৃশ্য নিত্যদিনের। শুধু শহরে নয়, এভাবে জেলা সদরসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ে'র উপদ্রবের শিকার সব বয়সী নারীরা। এসব ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে রয়েছে পুলিশ।ইভটিজিংয়ের খবর পেলে ঘটনাস্থলে ছুটছেন তারা। 

গত ৯ জুলাই ২০২২ সালে ফেনীর সদর উপজেলায় ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষ কিশোর গ্যাং’র ছুরিকাঘাতে আহত যুবক সজীব উল্লাহ (২০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। ১৫ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে সজীব উল্লাহের মৃত্যু হয়।

দাগনভূঁঞা উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের নুরুল্লাপুর ও সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের রতনপুর সংযোগ সড়কের ব্রিজের সামনে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে বিরোধ তৈরি হয়।

গত ৯ জুলাই সকালে একদল উচ্ছৃঙ্খল যুবক 

(কিশোর গ্যাংয়ে'র সদস্য'রা) তৌহিদ ও সজীব কে ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে। পরে দু’জনকে উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে সজীবের উল্লাহের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অপর যুবক তৌহিদকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ি নিয়ে যায়। ঘটনার ১৫ দিন পর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে সজীব উল্লাহের মৃত্যু হয়। 

ফেনী মডেল থানা'র পদক্ষেপঃ

ফেনী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নিজাম উদ্দিন বলেন, হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলাটি তদন্তাধীন। ওই মামলায় এক আসামিকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গত ২০ আগষ্ট ফেনী সদর উপজেলার  পাঁচগাছিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দুই

ছাত্রীদের  ইভটিজিং করার প্রতিবাদ করায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কে হুমকি-ধামকি ও গালাগালি করেন পাঁচগাছিয়া ইউনিয়ন ছাএলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ হোসেন ও ক্রীড়া সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন সায়েম। উক্ত ঘটনায় ইভটিজিং এর শিকার ছাত্রী'রা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও বার্তা ছড়িয়ে দিলে এলাকায় চরম ক্ষোভের জন্ম হয়।

 ফেনী সদর উপজেলা ছাত্রলীগে'র সাংগঠনিক ব্যবস্হাঃ

ফেনী সদর ছাত্রলীগে'র সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে উপজেলা ছাত্রলীগের জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক পাঁচগাছিয়া ইউনিয়ন ছাএলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ হোসেন ও ক্রীড়া সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন সায়েম সংগঠন পরিপন্থী কাজ করায় তাদেরকে উক্ত পদ থেকে সাময়িক বহিস্কার করা হলো। সংগঠন পরিপন্থী কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগে কেন স্থায়ীভাবে বহিস্কার করা হবেনা এই মর্মে ৭ দিনের মধ্যে লিখিত জবাব দেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়।

জেলা পুলিশের পদক্ষেপঃ

সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ইভটিজিং করায় স্থানীয় দুই বহিষ্কৃত নেতা রিয়াদ হোসেন ও ক্রীড়া সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন সায়েমের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন অএ স্কুলের প্রধান শিক্ষক।এরপর থেকে পুলিশ বহিস্কৃত দুইজন'কে হন্যে হয়ে খুঁজছে। 

কিশোর গ্যাং বন্ধ করতে শিশু-কিশোরদের জন্য ব্যক্তিগত, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে সুন্দর ও আনন্দঘন পরিবেশ তথা মুখরিত খেলার মাঠ ফিরিয়ে আনা।

খেলাধুলার পরিবেশের যেন বিঘ্ন না ঘটে সেদিকে মনোযোগ দেওয়া। 

মোটকথা, দখল-দূষণ থেকে মুক্ত করে খেলার মাঠের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করা হোক।

Related Article