১০ জানুয়ারী, ২০২৩
ছবি: সংগ্রহ
নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার রাইফুল ইসলাম, নিজ বাড়িতে বসতঘর না থাকায় শ্বশুরবাড়িতে বসবাস করেন, জীবিকার তাগিদে হয়েছিলেন প্রবাসী। সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিগ টিকিট র্যাফেল ড্রতে ১০৫ কোটি টাকা জিতেছেন।
এই সংবাদ এখন সবার জানা, তবুও পাল্টেনি তার জীবন চলার ধরন , বিলিয়নার হয়েছেন জেনেও আগের মতোই সংযুক্ত আরব আমিরাতে পিক আপ গাড়ি চালাচ্ছেন তিনি। তিনি আরব অমিরাতের আল আইন শহরে থাকেন। রাইফুল পেশায় একজন গাড়িচালক।
একেকটা টিকিটের দাম এক হাজার দিরহাম।
২০ বন্ধু মিলে নিয়মিত লটারির টিকেট কিনতেন, গত ১০ ডিসেম্বর তারা এই লটারির টিকিট কিনেছিলেন।
সম্প্রতি দেশীয় একটি টিভি চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আমি ইতিমধ্যে লটারি কতৃপক্ষকে বিশ জনের নাম জানিয়েছি, যেহেতু ২০বন্ধুর টাকায় টিকেট কিনতেন, প্রাপ্ত টাকা সমান ভাগে ভাগ করে নিতে চাই। কারো সাথে বেইমানি করার মন মানসিকতা আমার নেই।
বাকি জীবনটা জনসেবামূলক কাছে ব্যয় করবো ।
মসজিদ, মাদরাসা নির্মাণের পাশাপাশি কর্মহীনদের জন্য কাজ করবো। যাচাই বাছাই শেষে ফেব্রুয়ারীর ৩তারিখে
কতৃপক্ষ এই অর্থ তার হাতে তুলে দিবেন ।
র্যাফেল ড্র পাওয়া ব্যক্তি হলেন, হাতিয়ার চরকিং ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ চর ঈশ্বর গ্রামের হাজি আসলাম মিয়ার বাড়ির মৃত খুরশিদ আলমের ছেলে রাইফুল ইসলাম। তিনি ২০১১ সালে তিনি দুবাই পাড়ি জমান।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, রাইফুল ইসলামের বড় ভাই বাবুল উদ্দিন দ্বীপ উন্নয়ন সংস্থার চাকরি করতেন। বর্তমানে অসুস্থ হয়ে বাড়িতে আছেন। মেজ ভাই সাইফুল ইসলাম বাড়িতে থাকেন আর স্থানীয় একটি মসজিদে ইমামতি করেন। ছোট ভাই রুবেল উদ্দিন সৌদিআরব থাকেন পাঁচ বছর ধরে। বাড়িতে রাইফুলের কোনো বসতঘর নেই। বিয়ের পর থেকে স্ত্রী নিয়ে শ্বশুরবাড়িতেই থাকেন।
রাইফুলের স্ত্রী ইসরাত জাহান বলেন, ‘আমরা অনেক খুশি। আমার স্বামীকে আর বিদেশে থাকতে হবে না। আগামী ১০ জানুয়ারি তার দেশে আসার কথা ছিল। টিকিটও কেটেছেন। এখন আসতে দেরি হবে। তবে আমাদের দুই বছর আগে বিয়ে হয়। একটি মেয়ে সন্তানও আছে।
Good news
Good