২৪ ডিসেম্বর, ২০২২
ছবি: ২০১৪ সালে বিশেষ ব্যালন ডর ট্রফি হাতে পেলে।
নতুন হিসেবে ১২ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে (১৯৫৮-১৯৭০) ৫৮,৫৯,৬০, ৬১, ৬৩, ৬৪ ও ১৯৭০ সালে ব্যালন ডর দেয়া হয় পেলেকে।
বিশ্বকাপ জয়ের পর লিওনেল মেসি প্রজন্মের সেরা খেলোয়াড় কিনা সেটা নিয়ে তর্ক থেমেছে। আর্জেন্টাইন অধিনায়ককে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা তর্ক ‘পেলে, মেসি না ম্যারাডোনা?’ এর পালে হাওয়া লেগেছে নতুন করে।
মেসিভক্তদের দাবি ক্লাব ও জাতীয় দল মিলিয়ে এতো সাফল্য আর কোনো ফুটবলারের নেই। বিশ্বকাপের সঙ্গে মোট ৩৯টি শিরোপা জিতেছেন তিনি। জিতেছেন ৭টি ব্যালন ডর ।
পেলে ভক্তদের দাবি পেলের সময়ে ব্যালন ডর শুধু ইউরোপের খেলোয়াড়দের দেয়া হতো। যে কারণে বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়ের এ সম্মান পাননি ব্রাজিলের ক্লাব সান্তোসের হয়ে ফুটবল ক্যারিয়ারের অধিকাংশ সময় কাটানো পেলে।
তবে, ব্যালন ডরের প্রচলনকারী ফরাসি পত্রিকা ফ্রান্স ফুটবল জানিয়েছে, নতুন হিসেবে পেলেও মেসির সমান ৭টি ব্যালন ডর পেতেন।
সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে পত্রিকাটি জানিয়েছে। ২০১৬ সালে তারা একটি ‘ইন্টারন্যাশনাল রি-ইভালুয়েশন’ বা পুনর্মূল্যায়ন করেছিল যেখানে তাদের হিসেবে পেলে ৭টি ব্যালন ডর জিতেছেন।
নতুন হিসেবে ১২ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে (১৯৫৮-১৯৭০) ৫৮,৫৯,৬০, ৬১, ৬৩, ৬৪ ও ১৯৭০ সালে ব্যালন ডর দেয়া হয় পেলেকে।
ফুটবলে অবদান রাখায় ২০১৪ সালে পেলেকে বিশেষ ব্যলন ডর গ্রাঁ-প্রি ট্রফি দেয়া হয়।
পুনর্মূল্যায়নের পর ম্যারাডোনা ব্যালন ডর ট্রফি পেয়েছেন দুই বার। ১৯৮৬ ও ১৯৯০ সালে।
১৯৫৬ সালে ব্যালন ডর পুরস্কার দেয়া শুরু হয়। তবে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত শুধু ইউরোপের খেলোয়াড়দের এ ট্রফি দেয়া হতো। ১৯৯৬ সালে নিয়ম বদল করে এর প্রতিষ্ঠাতা ফ্রান্স ফুটবল ম্যাগাজিন। ওই বছর লাইবেরিয়ার জর্জ উইয়াহ সম্মানসূচক এ ট্রফি পান।