০৩ অগাস্ট ২০২৫
হোম স্বাস্থ্য সারাদেশ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি ও বাণিজ্য খেলাধুলা বিনোদন আন্তর্জাতিক ধর্ম ও জীবন লাইফ স্টাইল শিক্ষা প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান পরিবেশ চাকরি বা ক্যারিয়ার মতামত আইন-আদালত কৃষি ও প্রযুক্তি বিশেষ সংবাদ অপরাধ সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিশ্বকাপ ফুটবল
সারাদেশ

পতিত জমিতে মাল্টা চাষ করে সফলতা অর্জন করেছেন কৃষক তাজ উদ্দিন

০২ অগাস্ট, ২০২৫

সাকির আমিন,
সুনামগঞ্জ জেলা (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি

ছবি: পতিত জমিতে মাল্টা চাষ করে সফল কৃষক তাজ উদ্দিন।

সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার নোয়ারাই ইউনিয়নের রাজারগাঁও গ্রামে পতিত জমিতে মাল্টা চাষ করে সফল হয়েছেন কৃষক তাজ উদ্দিন। তিনি সকাল থেকে কৃষিকাজে মাঠে ঝাঁপিয়ে পড়েন।

দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকার পর প্রবাসজীবন ভালো না লাগায় দেশে ফিরে নিজ ইচ্ছা থেকেই মাল্টা চাষে আগ্রহী হয়ে ওঠেন তিনি। এ বছর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তৌফিক হোসেন খানের পরামর্শ ও সহযোগিতায় ১০ শতক জমিতে মাল্টা চাষ শুরু করেন তাজ উদ্দিন।

তার বাড়িটি টিলা প্রকৃতির হওয়ায় দীর্ঘসময় পানি জমে থাকার প্রবণতা নেই, ফলে ফলন ভালো হয়। তার বাড়িতে রয়েছে বারোমাসি আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, আনারস, মাল্টা, কমলা, পেয়ারা, আপেল, লটকন, শাকসবজি এবং একটি পুষ্টি বাগান।

ফসলের উন্নত জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় প্রদর্শনীর মাধ্যমে মাল্টা চাষ শুরু করেন তিনি। তাজ উদ্দিন মনে করেন, ইচ্ছাশক্তি ও প্রবল আগ্রহ থাকলে মাল্টা উৎপাদন সম্ভব।

টিলা ভূমিতে মাল্টা চাষ প্রায় ঝুঁকিমুক্ত। অতি বৃষ্টি, খরা বা অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগে এ ফলের তেমন ক্ষতি হয় না। কৃষি খাতে আধুনিকতার প্রসার ঘটায় পতিত জমিতে মাল্টা চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষক ও সাধারণ মানুষের মধ্যে।

মাল্টা চাষে শুরুতে মাটি, জৈব সার, ছাই, বালি, গোবর সার ও দানাদার কীটনাশক ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হয়। তবে মাল্টার চারা লাগানোর আগে ছত্রাকনাশক পানিতে শোধন করে নিলে ভালো ফলন পাওয়া যায়। পনেরো দিন আগে গর্ত করে তাতে জৈব সার ও গোবর দিতে হয়।

বাড়ির আঙিনা, আশপাশের ফাঁকা জায়গা অথবা ছাদেও মাল্টা চাষ করা যায়।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা জানান, এ বছর উপজেলায় প্রায় ৫ হাজার হেক্টর জমি পতিত পড়ে আছে। সোলার পদ্ধতিতে ৫ হেক্টর জমিতে মাল্টা চাষের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও কৃষকদের আগ্রহে ইতোমধ্যে ৫ হেক্টর জমিতে মাল্টা চাষ হয়েছে। হাওরাঞ্চলে এ পদ্ধতি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. তৌফিক হোসেন খান বলেন, “জনসাধারণের পুষ্টির চাহিদা পূরণে ফলমূল চাষাবাদে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। তবে ১৫ সেপ্টেম্বরের আগে মাল্টা তুলে বিক্রি করা যাবে না। অনেক কৃষক আগে মাল্টা তুলে ফেলেন, ফলে তারা লাভের বদলে ক্ষতিগ্রস্ত হন।”

সফল মাল্টা চাষি তাজ উদ্দিন বলেন, “সংসারের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হতে কৃষিকাজের বিকল্প নেই। কম সময়ে, স্বল্প পুঁজি ও সামান্য পরিশ্রমে সফলতা অর্জন করতে চাইলে মাল্টা চাষই উত্তম। ভবিষ্যতে বাণিজ্যিকভাবে মাল্টা চাষের পরিকল্পনা রয়েছে। এলাকার অনেকেই আমার দেখে মাল্টা চাষে উৎসাহিত হচ্ছেন।

Related Article
comment
মোঃ মনির হোসেন বকাউল
29-Sep-23 | 10:09

Good news

মোঃ মনির হোসেন বকাউল
10-Dec-23 | 04:12

Good